আমিরাত রওনা হতে বিমানে উঠতেই দেয়া হলো না সরফরাজদের
আমিরাত রওনা হতে বিমানে উঠতেই দেয়া হলো না সরফরাজদের - ছবি : সংগৃহীত
পিএসএল নিয়ে জটিলতা কাটতে চাইছে না কিছুতেই। স্থগিত হয়ে যাওয়া মওশুমের বাকি ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজন করার অনুমতি পেয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড পিসিবি। যদিও এখন পর্যন্ত সমস্ত ক্রিকেটারদের ওদেশে উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
পিসিবি ঠিক করেছিল যে লাহোর ও করাচি থেকে ২৫ মে দু'টি চাটার্ড বিমানে আবু ধাবি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে পিএসএলে অংশ নিতে চলা প্রত্যেককে। তবে এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখন পর্যন্ত লাহোর ও করাচির হোটেলে কার্যত বন্দি হয়ে রয়েছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ।
আসলে পিসিবির চার্টার্ড বিমান আমিরাতে অবতরণের অনুমতিই পায়নি প্রাথমিকভাবে। বিশেষ করে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যে সমস্ত সম্প্রচার কর্মীর আমিরাতে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল, তাদের বিমান অবতরণের অনুমতি মেলে দেরিতে। শেষমেশ বেশিরভাগ ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও পিসিবি কর্তারা চার্টার্ড বিমানে আমিরাতে পৌঁছলেও পাকিস্তানে রয়ে গিয়েছিলেন ১৬ জন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ, যাদের মধ্যে নাম রয়েছে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদও।
রোববার করাচি ও লাহোর থেকে যে সব ক্রিকেটারদের বাণিজ্যিক বিমানে আবু ধাবি রওনা হওয়ার কথা ছিল, তাদের মধ্যে মাত্র ৫ জনকেই বিমানে চড়ার অনুমতি দেয়া হয়। সরফরাজসহ ১১ জনকে বিমানেই চড়তে দেয়া হয়নি। ফলে বাধ্য হয়েই সরফরাজদের হোটেলে ফিরে যেতে হয়, যেখানে তারা গত ২৪ মে থেকে আটকে রয়েছেন। পিসিবি যদিও রোববার রাতেই বাহরাইন হয়ে সরফরাজদের আমিরাতে উড়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে।
১৮ বছরের তরুণকে বিশেষ বার্তা মোহম্মদ আমিরের
অনেক স্বপ্ন ছিল ১৮ বছরের পাকিস্তানি ক্রিকেটারের চোখে। কিন্তু নিয়ম ভাঙার অভিযোগে তার স্বপ্নগুলো একেবারে ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। পিএসএল থেকে বাদ পড়ে মানসিকভাবে একেবারেই ভেঙে পড়েছেন ১৮ বছরের নাসিম শাহ। তিনি উর্দুতে নিজের যন্ত্রণার কথাই টুইট করে লিখেছিলেন। আর তার উত্তরেই পিএসএলের দল করাচি কিং-এর বাঁ হাতি পেসার মোহম্মদ আমির পাল্টা মেসেজ করে তাকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেছেন।
পিএসএল থেকে বাদ দেয়ার পর টুইটে আমির লেখেন, ‘আমি কঠোর পরিশ্রম করেছিলাম এবং পিএসএল খেলতে উদগ্রীব হয়ে ছিলাম। আমি গ্রুপের সমস্ত নির্দেশ ঠিক করেই অনুসরণ করেছিলাম। জানি না এই মেসেজটি কী ভাবে মিস হয়ে গিয়েছে। আমি ক্রিকেট খেলতে চাই, ক্রিকেট আমার জীবন এবং আমি বলে বোঝাতে পারব না, আমার মনে এখন কী চলছে।। আল্লাহ আমাকে শক্তি দিক, যাতে আমি আবার ফিরে আসতে পারি।’
এরই উত্তরে মোহম্মদ আমির পাল্টা টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘জীবনে বড় কিছু পাওয়ার আগে আল্লাহ আমাদের ছোট ছোট পরীক্ষা নেন। আশা করছি, তুমি একটা সময়ে খুব সাফল্য পাবে। মনকে শক্ত করো।’ নিঃসন্দেহে এই মেসেজটি ১৮ বছরের ক্রিকেটারকে উজ্জীবিত করবে।
আসলে লাহোর ও করাচি থেকে পিএসএলের জন্য যে সব ক্রিকেটারদের ২৬ মে আবু ধাবি উড়ে যাওয়ার কথা, তাদের প্রত্যেককে বলা হয়েছিল টিম হোটেলে পৌঁছে নেগেটিভ পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট জমা দিতে। এই রিপোর্ট কোনো ভাবেই যেন ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় আগের না হয়।
নাসিম টিম হোটেলে পৌঁছে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন, সেটা ছিল গত ১৮ মে'র। তড়িঘড়ি নাসিমকে হোটেলের অন্য ফ্লোরে আইসোলেশনে পাঠায় বোর্ড। পরে মেডিক্যাল টিমের পরামর্শ মতো নাসিমকে টুর্নামেন্ট থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস