মোদির জীবনের সবচেয়ে খারাপ বছর এটিই!

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | May 30, 2021 06:32 pm
নরেন্দ্র মোদি

নরেন্দ্র মোদি - ছবি সংগৃহীত

 

ভারতে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। কিন্তু ক্ষমতার দ্বিতীয় বার্ষিকীতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে পদ্ম শিবির। যদিও সরকার স্থাপনের দ্বিতীয় বছরে মোদি ভক্তরা ছবি থেকে পোস্ট শেয়ার করেছেন। কিন্তু নেই কোথাও কোনো উদযাপনের বিজ্ঞাপন। মোদি শাসনের সাত বছরের বার্ষিকীতে গত সপ্তাহে অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে একটি রিপোর্ট।

সেই রিপোর্টে মোদিকে ‘কোভিড চলাকালীন দৃঢ় ও সংবেদনশীল নেতৃত্বের’ জন্য প্রশংসা করা হয়েছে। প্রাক-কোভিড মাসে মোদি দূর-দূরান্তের দেশগুলোতে ভ্রমণ করেছিলেন। সবচেয়ে স্মরণীয়ভাবে হিউস্টনে ‘হাওডি মোদি’ ছিল যেখানে তিনি আশা করেছিলেন যে নিউ ইয়র্কের ভারতীয় প্রবাসীরা তাকে সমর্থন করবেন। কিন্তু ২০১৪ সালের মতো ওই অনুষ্ঠানে ভিড় থাকলেও স্বতঃস্ফূর্ততা অনুপস্থিত ছিল।

এর বেশ কিছু কারণও রয়েছে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে তিন তালাক উঠিয়ে দেয়া, ৩৭০ ধারা বিলোপ, নাগরিকত্ব আইনে সংশোধন করে মুসলমানদের বাদ দিয়ে অন্য ধর্মের শরণার্থীরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য এগিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভারতীয় মুসলমানরা এটিকে বিপদ হিসেবেই দেখেছে। এই ঘটনায় এমনকী দাঙ্গাও দেখেছে দিল্লি।

কোভিড নিয়েও সমস্যা পড়েছে মোদি সরকার। প্রথম দফায় আচমকা লকডাউন এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্ভোগ ভালো চোখে নেয়নি দেশ। শত শত কিলোমিটার হেঁটে যেতে বাধ্য হওয়ার মাঝেই প্রাণহানি হয়েছিল একাধিকের। তবে জানুয়ারিতে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামকে দেয়া এক ভাষণে মোদি বলেছিলেন ভারত কোভিডকে এমনভাবে পরাজিত করেছে যাতে অন্যান্য দেশ অনুপ্রাণিত হয়। কিন্তু সংশয়ে ছিলেন ভারতীয়রাই।

এরপর টিকা সমস্যা, পশ্চিমবঙ্গের ভোটে পরাজয় তো আছেই। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সতর্কতা ভুলে হরিদ্বারে কুম্ভমেলায় সম্মতি, কোভিড আবহে পশ্চিমবঙ্গে ভোটে প্রচার ইত্যাদি মিলিয়ে ভারত যে ভয়াবহ সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছিল সেখানে প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন এমনটাই বলা হয়েছে। এছাড়াও কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের আন্দোলন। এখন পর্যন্ত কৃষকদের সন্তুষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছেন মোদি।

রাজনৈতিক জীবনের এমন খারাপ বছর সাম্প্রতিক সময়ে দেখেননি মোদি। ভারত থেকে বিশ্বের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। তাই কি উদযাপন বন্ধ?

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


অনাথদের সাহায্য করতে হলে এখন করুন! মোদি সরকারের ‘মাস্টারস্ট্রোক’ নিয়ে খোঁচা পিকের
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় অনাথ হয়েছে বহু শিশু। মা-বাবা-অভিভাবকদের হারিয়ে পথে-পথে দিন কাটছে তাদের। অনিশ্চত তাদের ভবিষ্যৎও। শনিবার সেই সমস্ত শিশুদের দায়িত্ব নেয়ার কথা ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। টুইট করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। তবে এই নিয়েই এবার কেন্দ্রকে তীব্র কটাক্ষ করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর । অনাথ শিশুদের সাহায্যের দরকার এখন। অথচ তাদের ১৮ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। দিশেহারা অনাথ শিশুরা প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতি নিয়েই বাঁচুক।

শনিবার টুইটে প্রধানমন্কী লিখেছিলেন, অজস্র শিশু করোনার কারণে নিজের বাবা-মাকে হারিয়েছে। সরকার এদের খেয়াল রাখবে। এরা যাতে সুস্থ এবং সুন্দর জীবন অতিবাহিত করতে পারে, তা নিশ্চিত করবে। পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে এদের শিক্ষা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সাহায্যও করা হবে।
অনাথ শিশুদের পাশে দাঁড়াতে মোদি সরকারের নয়া এই সিদ্ধান্তকে খোঁচা দিয়েই রোববার পরপর দুটি টুইট করেন প্রশান্ত কিশোর। প্রধানমন্ত্রীর টুইটটি রিটুইট করে সেখানে লেখেন, সরকার ব্যর্থতা এবং করোনার জন্য যে শিশুরা নিজেদের মা-বাবাকে হারিয়েছে তাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখানোটা মোদি সরকারের নিজস্ব মাস্টারস্ট্রোক। ওই অনাথ শিশুদের এখনই সাহায্যের দরকার। কিন্তু তারা এখনই সেটা পাবে না। বদলে তাদের অপেক্ষা করতে হবে ১৮ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত। ততদিন প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের উপরেই ভরসা রাখতে হবে তাদের।

পরবর্তী আরেকটি টুইটে পিকে লেখেন, বিনামূল্যে শিক্ষার অধিকার সংবিধানেই রয়েছে। কিন্তু এই শিশুদের মোদির প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত আরও একবার সেই একই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য। এর পাশাপাশি আয়ুস্মান ভারত প্রকল্প নিয়েও টুইটে খোঁচা দেন তিনি। লেখেন, আয়ুষ্মাণ ভারত প্রকল্পে এই শিশুদের স্বাস্থ্যবিমা নিশ্চিত করা হয়েছে। অথচ আয়ুষ্মাণ ভারত প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ৫০ কোটি দেশবাসীর স্বাস্থ্যবিমার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে বলে দাবি। অথচ প্রয়োজনের সময় এই প্রকল্পে হাসপাতালের শয্যা বা অক্সিজেন কিছুই পাওয়া যায়নি।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us