পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরাও পাবে না ভারতের নাগরিকত্ব!

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | May 29, 2021 02:10 pm
অমিত শাহ ও মমতা

অমিত শাহ ও মমতা - ছবি সংগৃহীত

 

২০১৯ সালে ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস হওয়ার পর উত্তাল হয়েছিল আসমুদ্রহিমাচল। এরপর আসামে নাগরিকত্ব তালিকায় বহু হিন্দুর নাম বাতিলে প্রশ্ন উঠেছিল সিএএ কার্যকরিতা নিয়ে। এরপর থেকেই স্থগিত হয়েছে এই প্রক্রিয়া। কিন্তু শুক্রবার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানান হয়েছে যে অ-মুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়ার কাজ শুরু হবে।

আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এবং গুজরাট, গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিসগড়, হরিয়ানা, পাঞ্জাবের মতো রাজ্যর ১৩ জেলায় বসবাসকারী হিন্দু, শিখ, জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ভারতীয় নাগরিকত্বের আবেদন করার বিজ্ঞপ্তি শুক্রবার জারি করেছে কেন্দ্র। এই পর্বে এই সুযোগ পাচ্ছেন গুজরাটের মোরবি, রাজকোট, পাটন ও বদোদরার বসবাসকারী অ-মুসলিমদের পাশাপাশি রাজস্থানের ঝালোর, বারমের, সিরোহি, উদয়পুর, পালির অ-মুসলিম বাসিন্দারা। আর পাচ্ছেন ছত্তিশগড়ের দুর্গ ও বালোদাবাজার, পাঞ্জাবের জলন্ধর এবং হরিয়ানার ফরিদাবাদের অ-মুসলিমরা।

কিন্তু নেই পশ্চিমবঙ্গের নাম। বিধানসভা ভোটের সময় নাগরিকত্ব আইনের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের শরণার্থীদের আশ্বাস দিলেও প্রথম পর্বে রাখা হয়নি মমতা ব্যানার্জির পশ্চিমবঙ্গের নাম।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সিএএ ২০১৯-এর মাধ্যমে ভারতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, শিখ ও পার্সিদের সহজেই নাগরিকত্ব দেয়ার প্রক্রিয়া করা শুরু করা হচ্ছে।

অমিত শাহের নিয়ন্ত্রণে থাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরর জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন এবং ২০০৯ সালে নিয়ম অনুযায়ী এই নির্দেশকে কার্যকর করতে বলা হয়েছে। কারণ, ২০১৯ সালে আইনে পরিণত হলেও, এখনও পর্যন্ত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)- সংক্রান্ত নিয়ম প্রণয়ন করেনি কেন্দ্র। বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এখানে এসেছেন, তারা আবেদন করতে পারবেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আগত মানুষদের করা আবেদনের সত্যতা প্রথমে যাচাই করে দেখবেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব কিংবা জেলাপ্রশাসকরা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, তবেই তাদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে নাম নথিভুক্ত করে নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেয়া হবে’।

জামিনের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কাজে ফিরলেন ফিরহাদ, আজ একাধিক কর্মসূচি

কোভিড পরিস্থিতিতে কলকাতাবাসীকে সেবা দিতে পারবেন না বলে গ্রেফতারের পর কেঁদে ফেলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত বহু টালবাহানার পর নারদ মামলায় গৃহবন্দি দশা কেটেছে। শুক্রবারই মিলেছে জামিন। বিলম্ব না করে এর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কাজে মেনে পড়েছেন কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার রাতেই ৭৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছেন তিনি। জানা গেছে শনিবার হাইড রোড ধরে তারাতলা পর্যন্ত রাস্তা পরিদর্শন করবেন তিনি। দুপুরে যোগ দেবেন ‘টক টু কেএমসি’ অনুষ্ঠানেও। তার আগে বেলা ১২টা নাগাদ কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র গিয়ে ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি ঘুরে দেখেছেন।

আমফান বা আগে কোভিড পরিস্থিতিতে রাস্তায় দেখা গিয়েছিল ফিরহাদ হাকিমকে। মানুষের নানা সমস্যার সমাধান করেছেন তিনি। কিন্তু এবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা করোনার বাড়বাড়ন্তের সময় তাকে দেখা গেল না। থাকতে পারলেন না কলকাতাবাসীর পাশে। এপ্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান বলেন, ‘আমি অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছিলাম। তবে রাস্তায় মেনে কাজ করতে পারিনি। তবে আমার হৃদয় সবসময় মানুষের কাজের জন্যই ছিল।’

নারদ মামলায় গত ১৭ মে মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরনিগমের পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম সহ চার হেভিওয়েট নেচা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাদের নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়ে অ্যারেস্ট মেমোতে সই করায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। স্বাভাবিকভাবেই কোভিড পরিস্থিতিতে পাঁচ বছরের পুরনো নারদ-মামলা রাজ্য রাজনীতিতে চর্চার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে।

শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ ফিরহাদ হাকিমদের শর্ত সাপেক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে। তারপরই কাজে মেনে পড়েন কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। করোনা-ইয়াশের মতো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কলকাতা তথা রাজ্যবাসীর কাছে পরিষেবা পৌঁথে দেয়াই এখন তার মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us