করোনার উপসর্গ থাকলেও কেন পরীক্ষায় ধরা পড়ছে না?

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | May 27, 2021 02:54 pm
করোনার উপসর্গ থাকলেও কেন পরীক্ষায় ধরা পড়ছে না?

করোনার উপসর্গ থাকলেও কেন পরীক্ষায় ধরা পড়ছে না? - ছবি সংগৃহীত

 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের উপসর্গ পুরোদস্তুর রয়েছে, তার পরও কোভিড পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ আসছে— এমন কথা অনেকেই বলছেন। কিন্তু আদৌ কি তা সম্ভব? কী বলছেন চিকিৎসকেরা?

এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য প্রথমেই দেখে নেয়া দরকার কোন কোন পদ্ধতিতে কোভিডের পরীক্ষা করা হয়। কোভিড পরীক্ষার জন্য সবচেয়ে প্রচলিত দুই পদ্ধতি হলো : ‘আরটি-পিসিআর’(রিয়্যাল-টাইম রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমের‌্যাস চেন রিয়্যাকশন) এবং ‘আরএটি’ (র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টিং)। এর মধ্যে ‘আরটি-পিসিআর’-কে অনেক বেশি ভরসাযোগ্য বলে ধরে নেয়া হয়। এবং সেই পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ এলে শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব নেই বলেই ধরা হয়।

কিন্তু এই ‘আরটি-পিসিআর’ ১০০ শতাংশ সঠিক নাও হতে পারে। এমনই বলছেন গবেষকেরা। এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এর চিকিৎসক অজিত ঠাকুর এক সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ কোভিড আক্রান্তের পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ আসার আশঙ্কা রয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি নমুনা সংগ্রহ এবং নমুনা পরীক্ষার ত্রুটির কথা বলেছেন।

এর পাশাপাশি কোভিড পরীক্ষার ‘ভুল’ ফল আসার পিছনে অনেকে ‘ভাইরাল লোড’-এর কথাও বলেছেন। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে করোনাভাইরাস না থাকলে অনেক সময় সংক্রমণ হওয়ার পরও পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ আসতে পারে।

এক সময় অনেকে দাবি করছিলেন, নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসকে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা ধরতে পারছে না। কিন্তু হালে সরকারের তরফে বলা হয়েছে, এই দাবি মোটেই ঠিক নয়। ফলে এই মুহূর্তে পরীক্ষা পদ্ধতির সীমাবদ্ধতাকেই ‘ভুল’ ফলের কারণ বলছেন চিকিৎসকেরা।

সংক্রমণ হালকা না গুরুতর, উপসর্গ কোন ইঙ্গিত দিচ্ছে

করোনার উপসর্গ নিয়ে মাঝেমাঝেই চিন্তা বাড়ছে। সাধারণ সর্দি-জ্বর কিংবা পেটের গোলমাল হলেও কি পরীক্ষা করানো প্রয়োজন? এমন কথা সর্বক্ষণ মনে হচ্ছে। কোনটা সাধারণ জ্বর আর কোনটা করোনা? এ সব ভেবে নাজেহাল সকলেই। তার উপরে আবার হালকা উপসর্গ আর গুরুতর উপসর্গের মধ্যে পার্থক্য বুঝে পদক্ষেপ করতে পরামর্শ দিচ্ছেন অনেকে। এমন সময়ে জেনে রাখা জরুরি, এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য কী?

দেশে ৮০ শতাংশ করোনা রোগীর উপসর্গ হাল্কা সংক্রমণের। বাড়িতে নিভৃতবাসে থেকে, ভাল ভাবে খাওয়াদাওয়া করলেই সেরে ওঠা সম্ভব। হালকা জ্বর, শুকনো কাশি, ক্লান্তি, মাথা ব্যথা, স্বাদ-গন্ধ অনুভব না করার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এ ছাড়া, গলায় অস্বস্তি, সর্দিও দেখা দিচ্ছে কারও কারও ক্ষেত্রে।

যাদের জ্বর বাড়ছে, তাদের মাঝারি ধরনের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। ১০০-এর উপরে জ্বরের সঙ্গে গায়ে ব্যথা, অতিরিক্ত ক্লান্তি এবং ঘন ঘন কাশির দমক থাকছে।

মাঝারি উপসর্গ থেকে গুরুতরতেও চলে যাচ্ছে অনেক রোগীর শারীরিক অবস্থা। তখন তাঁদের অনেকের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। এর সঙ্গে বুকে চাপ, আচ্ছন্ন ভাব, কথা বলতে বা বুঝতে না পারার মতো সমস্যাও হচ্ছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে শরীরে কোন উপসর্গ দেখা দেবে, তার অনেকটাই নির্ভর করে বয়স, প্রতিরোধশক্তি ও সামগ্রিক শারীরিক অবস্থার উপরে। তবে মাঝারি বা গুরুতর উপসর্গ দেখা দিলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us