যে ৩ লক্ষণ দেখলে বুঝবেন, আপনার করোনা সংক্রমণ গুরুতর
করোনাভাইরাস - ছবি : সংগৃহীত
শুরুতে অনেকের মৃদু উপসর্গ থাকতে পারে। তাই বেশির ভাগ মানুষ আন্দাজ করতে পারেন না, করোনাভাইরাস তাদের শরীরে ঠিক কতটা প্রভাব ফেলছে। কিংবা কতটা গুরুতর হয়ে উঠতে পারে তাদের শারীরিক পরিস্থিতি। কিন্তু কয়েকটা বিষয়ে সচেতন থাকলে আপনি আন্দাজ করতে পারবেন যে কোভিডের প্রভাব ধীরে ধীরে গুরুতর হচ্ছে। মোটামুটি ৫ থেকে ৭ দিনের (প্রথম উপসর্গ দেখা দেয়ার পর থেকে) মধ্যে এগুলো বোঝা যেতে পারে। মারাত্মক হওয়ার আগেই যে লক্ষণগুলো নিয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
জ্বর না কমা
সকলের না থাকলেও বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে সংক্রমণের সবচেয়ে বড় উপসর্গ জ্বর। চিকিৎসকদের মতে, জ্বর কতটা থাকছে, কত বেশি হচ্ছে, এগুলো প্রথম ২-৩ দিন খুব ভালো করে মেপে দেখতে হবে। যদি ৫ দিনের পরও দেখেন, দেহের তাপমাত্রা কমছে না, তা হলে সেটা চিন্তার বিষয়। যারা বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন, তারা দ্রুত যোগাযোগ করুন চিকিৎসকের সঙ্গে। অনেকের শুরুতে জ্বর থাকে না। কিন্তু ৫ দিনের পর হঠাৎ জ্বর হলেও জানাতে হবে চিকিৎসককে। প্রথম দিকে যাদের অল্প জ্বর হয়ে সেটা মিলিয়ে গিয়েছিল, হঠাৎ করে যদি তাদের ফের জ্বর হয়, তা হলেও মনোযোগ দিতে হবে সে দিকে।
কাশি না সারা
যদি সারাক্ষণ গলা খুশখুশ করে এবং প্রচন্ড কাশি হয়, তা হলে সতর্ক হন। কোনো রকম কফ ছাড়াই যদি ভীষণ কাশি হয়, সঙ্গে শ্বাসকষ্ট বোধ করেন, তা হলে বুঝতে হবে কোভিড আপনার ফুসফুস এবং শ্বাসনালীতে ভালোই ছড়িয়ে গিয়েছে। এতে কোভিডের দীর্ঘকালীন প্রভাব বেশি হতে পারে। কফ ছাড়া কাশি হলে সেটা নিউমোনিয়ারও লক্ষণ হতে পারে। কোভিডের সঙ্গে নিউমোনিয়া হলে তার মারাত্বক প্রভাব পড়বে শরীরে। তাই এই লক্ষণগুলোর দিকে বিশেষ নজর দিন।
বুকে ব্যথা
কোভিড সাধারণত শ্বাসনালীর উপর অংশ প্রভাব ফেলে। যদি হঠাৎ করে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, বা জ্বালা ভাব হয়, তা হলে ধরে নিতে হবে শ্বাসনালীর নিচের অংশেও ধীরে ধীরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। যেকোনো সময় যদি এই ধরনের কোনো ব্যথা ওঠে, বিলম্ব না করে ডাক্তারকে জানান। যত দেরি করবেন, কোভিড তত গুরুতর হয়ে উঠবে, এবং সারতেও অনেকটা সময় নেবে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
এক মিনিটেই করোনা শনাক্তের নতুন কিট
করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে সিঙ্গাপুরে এমন এক পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হয়েছে, যাতে একটি কিটের মাধ্যমে নিঃশ্বাস নিয়ে এক মিনিটেই ফল জানা যাবে। এই ‘ব্রেদালাইজার কিট’ তৈরি করেছে সিঙ্গাপুরের একটি নতুন কোম্পানি ব্রেদোনিক্স।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের সাথে যুক্ত এই কোম্পানিটি বলছে, তারা এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করছে। মালয়েশিয়ার সাথে দেশের সীমান্ত পয়েন্টগুলোতে এই প্রযুক্তিটির পরীক্ষা শুরু করার জন্য তারা কাজ করছে।
করোনা শনাক্ত করতে বর্তমানে যে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয় তার পাশাপাশি এই শ্বাস-প্রশ্বাস বিশ্লেষণের পরীক্ষাটিও চলবে বলে জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
গত বছর এর যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়েছিল সেখানে ৯০ শতাংশ সঠিক ফল এসেছিল বলে জানিয়েছিল কোম্পানিটি।
এই পদ্ধতিতে একবার ব্যবহার করে ফেলে দেয়া হয় (ডিসপোজেবল) এমন মাউথপিস ব্যবহার করা হয় এবং এমনভাবেই এটি তৈরি করা হয়েছে যেন কোনোভাবেই তার মাধ্যমে দূষণ বা সংক্রমণ না ঘটে ।
ডিভাইসটিতে ফুঁ দেয়ার পরে এর প্রযুক্তি কোনো ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসের রাসায়নিক যৌগগুলো বিশ্লেষণ করে দেখে ওই ব্যক্তি ভাইরাসে সংক্রমিত কি না।
আর এই পরীক্ষায় পজিটিভ ফল এলে ওই ব্যক্তিকে পিসিআর সোয়াব টেস্টও করানোর প্রয়োজন আছে। এমনটি বলছে কোম্পানিটি।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই কিট ব্যবহারের আগ্রহ দেখতে পেয়েছে ব্রেদোনিক্স। তাই এ নিয়ে তারা নানা ধরনের আলোচনা করছেন।
ইন্দোনেশিয়া ও নেদারল্যান্ডসে ইতোমধ্যে একই ধরনের ব্রেদালাইজার টেস্ট চালু হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি