ইউহানের ৩ গবেষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন?

অন্য এক দিগন্ত | May 25, 2021 07:38 am
ইউহানের ৩ গবেষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন?

ইউহানের ৩ গবেষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন? - ছবি : সংগৃহীত

 

করোনাভাইরাস কী?‌ তার অস্তিত্ব তখনো টের পায়নি গোটা বিশ্ব। করোনাকে গোটা বিশ্ব যখন চিনল, তার আগেই নাকি চীনের ইউহান প্রদেশের সেই ল্যাবের কয়েকজন গবেষকের শরীর খারাপ হতে শুরু করে। দেখা যায় নানা উপসর্গ। যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চলে গিয়েছিলেন ৩ গবেষক। তারও এক মাস পর বিশ্বে কামড় বসায় করোনা। অর্থাৎ সবার আগে ইউহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির গবেষণাগারেই প্রথম টের পাওয়া গিয়েছিল করোনার অস্তিত্ব। চীনের ইউহান নিয়ে শোরগোল ফেলে দেওয়া তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই বলে এসেছিলেন, চীনের ওই ল্যাব থেকেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছে করোনা।

রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৯ সালের নভেম্বরে ইউহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির তিন গবেষক প্রতিনিয়ত হাসপাতালে যেতেন। জানা গেছে, তাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছিল। তিন গবেষকই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চাইছিলেন। মারণ ভাইরাসের উৎস নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে যে তদন্ত চলছে চীনের ইউহান প্রদেশে, সেই সংক্রান্ত জরুরি বৈঠকের ঠিক আগেই এমন অজানা তথ্য প্রকাশ্যে আনল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। যদিও সরকারিভাবে এখনো কোনো বিবৃতি দেয়নি জো বাইডেন প্রশাসন। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে বলা হচ্ছে, কোভিড–১৯ ছড়িয়ে পড়ার আগের দিনগুলো নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। ইওরোপীয় দেশগুলি ফের প্রশ্ন তুলেছে, তাহলে চীনই কি করোনার উৎস?‌ হু’‌র সঙ্গে একত্র হয়ে করোনার উৎস সন্ধানে কাজ করছে একাধিক ইওরোপীয় দেশ।

গোপন তথ্য এভাবে প্রকাশ্যে চলে আসায় ক্ষিপ্ত চীন। পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে হু’‌র তদন্তকারী দল ইউহানের ওই ল্যাবরেটরি পরিদর্শনের পরও এ ধরনের রিপোর্ট পেশ একেবারেই কাম্য নয়। মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, আমেরিকা ওই ল্যাবের গোপন তথ্য হাতাতে চাইছে। চীন পাল্টা বলেছে, বিশ্ববাসীর নজর অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছে আমেরিকা।

চীন অবশ্য এই অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছে। যদিও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের পর শোরগোল আরও বাড়ল করোনার উৎসস্থল নিয়ে।


ভারতে পাওয়া করোনার স্ট্রেনের জন্য টিকার দুই ডোজ জরুরি, বলছে ব্রিটেন
ভারতে করোনাভাইরাসের যে নতুন স্ট্রেন বা প্রজাতি পাওয়া গেছে তার মোকাবিলা করতে টিকার দুটি ডোজ দিতেই হবে, বলছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দপ্তর। বি.১.৬১৭.২ নামক স্ট্রেনটিকে এর আগেও সতর্ক করেছিল ব্রিটেন। এবার বলা হল, এই স্ট্রেনের প্রভাবে করোনা হলে তার উপসর্গ বন্ধ রোধ করতে দুটো ডোজ নেয়া প্রয়োজন।

দেশে এই মুহূর্তে টিকার আকাল। প্রথম পর্যায়ে ৩০ কোটি ভারতবাসীর টিকাকরণ করানোর কথা ছিল, দুই ডোজ দিতে দরকার ছিল ৬০ কোটি। অথচ সেই কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ৪৫-ঊর্ধ্ব এবং ১৮-৪৫ বয়সীদের টিকাকরণ চালু করে দেয় কেন্দ্র সরকার। ফলে ওই ৩০ কোটির বেশিরভাগই দুই ডোজ পায়নি।

পরিসংখ্যান বলছে, দেশে এখন পর্যন্ত দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন ৪.৩ কোটি মানুষ যা মোট জনসংখ্যার তিন শতাংশ মাত্র। এক ডোজ নিয়েছেন ১৫ কোটির সামান্য বেশি। সুতরাং নতুন স্ট্রেনের হাত থেকে বাঁচতে ভরসা শুধু সতর্কতাই।

ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে বি.১.৬১৭.২ স্ট্রেনের বিরুদ্ধে দুই ডোজ কার্যকারিতা ৮১ শতাংশ। সেখানে এক ডোজে তা নেমে দাঁড়ায় ৩৩ শতাংশে। অর্থাৎ এই মুহূর্তে যারা টিকা একেবারেই নেননি তারা তো বটেই, যারা এক ডোজ নিয়েছেন তারাও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।

সূত্র : আজকাল


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us