বিশ্বায়নের যুগে ফিলিস্তিন : ইসরাইল চাইলেও গিলতে পারবে না

বিশ্বায়নের যুগে ফিলিস্তিন : ইসরাইল চাইলেও গিলতে পারবে না - ছবি : সংগৃহীত
আপনি যদি ড্যারন আসেমগলু ও জেমস এ রবিনসনের Why Nations Fail বইটি পড়ে থাকেন, এর ৭-১৯ নম্বর পৃষ্ঠায় মেক্সিকো ও নিউ গ্রানাডা (আধুনিক কলাম্বিয়া)সহ বিভিন্ন অঞ্চলকে স্প্যানিসদের কর্তৃক সেইজ বা দখল করার ঘটনাগুলো জানতে পারবেন। এই বইয়ের ১৪ নম্বর পৃষ্ঠায় লেখক স্প্যানিশদের কর্তৃক নিউ গ্রানাডা অর্থাৎ বর্তমান কলাম্বিয়াকে দখল করার একটি মর্মান্তিক ঘটনা উল্লেখ করেন।
সেখানে বলা হয় স্প্যানিশরা নিউ গ্রানাডার ওই অঞ্চলের সকল স্বর্ণ, রৌপ্য, হীরা ও মণিমুক্তা জব্দ করার জন্য প্রথমে সেখানকার রাজা বগোতাকে বন্দী করেন। রাজা বগোতাকে বন্দী করার উদ্দেশ্য ছিল সেখানকার সকল স্বর্ণ ও রৌপ্য কব্জা করা। রাজা বগোতা তাদের কাছে মুক্তি চাইলে তারা একটা ঘর দেখিয়ে একটা সময় বেঁধে দেন এবং বলেন, এই সময়ের মধ্যে এই ঘরটা তুমি স্বর্ণ ও মণিমুক্তায় ভরাট করে দিবে। রাজা বগোতা মুক্তি পাওয়ার জন্য আর কোনো উপায় না পেয়ে তার টেরিটরির লোকদের দিয়ে সেটাকে পূর্ণ করতে বলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার পরও ঘরটি স্বর্ণ ও মণিমুক্তায় ভরাট হয়নি। এর শাস্তি হিসেবে তারা রাজা বগোতার পেটে পশুর গরম চর্বি মাখিয়ে দিত। তার দুই হাত দু'জন স্প্যানিশ সৈন্য ধরে রাখতো। তার পা দুটোকে লোহার রড দিয়ে বেঁধে রেখে পায়ের পাতায় আগুনের প্রচণ্ড তাপ দেয়া হতো। এভাবে আস্তে আস্তে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছিল।
নিউ গ্রানাডা ছিল আমেরিকা দ্বীপের একটা অংশ। তখনকার সময়ে স্পেন ও পর্তুগালের একটা অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা চলছিল। যুদ্ধের সরঞ্জামাদি কে কত বেশি বাড়াতে পারে এবং কে কত বেশি অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হতে পারে, সেই জন্য স্প্যানিশ রানি ইজাবেলা ও পর্তুগালের রাজা প্রথম ম্যানুয়েল ও তার স্ত্রী মারিয়া অব এরাগনের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা চলছিল। কে কত বেশি নিউ ওয়ার্ল্ড (বর্তমান আমেরিকা/নতুন নতুন দ্বীপ) আবিষ্কার করতে পারে এবং সেখানকার বিভিন্ন খনিজ পদার্থ যেমন স্বর্ণ, রৌপ্য ও মণিমুক্তাগুলো দখল করে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হতে পারে। এরই একটা অংশ হিসেবে স্প্যানিশ কর্তৃক মেক্সিকো ও নিউ গ্রানাডাকে দখল করা হয়। যার শিকার হয়েছিলেন রাজা বগোতার মতো এরকম হাজারো রেড ইন্ডিয়ান নেতা ও সাধারণ মানুষ। স্বর্ণ, মণিমুক্তা ও র' মেটারিয়্যালস দখল করার পর যখন স্প্যানিশ, ব্রিটিশ ও পর্তুগিজরা ওই দ্বীপগুলো থেকে চলে যেত তখন সেখানে তারা গুটি বসন্ত ছড়িয়ে দিত। এর পর আমেরিকার সেই দ্বীপগুলোর রেড ইন্ডিয়ানরা গুটি বসন্তে মারা যেত। এই ঘটনা সবারই জানা। আজকের যে আমেরিকা সেটা হচ্ছে পৃথিবীর ইতিহাসে দখলদারিত্বের চরমতম উদাহরণ। আমেরিকান বলতে কোনো আদিবাসী নেই, এরা সবাই হলো ব্রিটিশ, স্প্যানিশ, ফ্রে ও পর্তুগিজ দখলদার যারা সেখানে অন্যায়ভাবে রেড ইন্ডিয়ানদের মেরে নিজেদের জন্য নিউ ওয়ার্ল্ড তৈরি করে নিয়েছিল।
আজকে আপনি যেই কলাম্বাসকে আমেরিকার আবিষ্কারক বা ভাস্কো দ্যা গামাকে ভারত আবিষ্কারের নায়ক হিসেবে জানেন। আসলে তারা কেউই নায়ক ছিলেন না, তারা ছিলেন ভিলেন ও সাম্রাজ্যবাদীদের এক একটা এজেন্ট। যারা নতুন নতুন দ্বীপ আবিষ্কার করে সেখানকার মানুষদের মেরে সকল র' মেটারিয়েলস ও খনিজ পদার্থ হাতিয়ে নিতো। তারা কিভাবে নায়ক হয়? আবিষ্কার বলা হবে তখন, যখন সেখানে কোনো অধিবাসী থাকবে না; যেহেতু সেখানে অধিবাসী ছিল এবং অস্ত্র দিয়ে দখল করে, তাদেরকে হত্যা করে এবং তাদের সম্পদ লুট করে পশ্চিমারা দখল করেছে সেটা কী করে আবিষ্কার হয়?
অস্ট্রেলিয়ায় সাম্রাজ্যবাদের একটা চিত্র তুলে ধরি। অস্ট্রেলিয়ায়ও রেড ইন্ডিয়ান আধিবাসীরা ছিল। ব্রিটিশরা অস্ট্রেলিয়া দখল করার পর সেখানে তাদের দখলদারিত্ব কায়েম করে। একদা এক ব্রিটিশ সৈন্য এক রেড ইন্ডিয়ানকে বলে, ‘তুমি কখনো আয়না দেখেছো?’ সে বলে, ‘এটা কী জিনিস’? সৈন্য বলে, তুমি তোমাকে দেখতে চাও? নিজেকে আবিষ্কার করতে চাও?"রেড ইন্ডিয়ান বলে, অবশ্যই চাই। তখন তাকে আয়না দিয়ে বলত, দেখো নিজেকে। রেড ইন্ডিয়ান নিজেকে দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যেতো আর ওই ব্রিটিশ সৈন্য বলে, এই আয়না আজ থেকে তোমার আর তোমার এই বিশাল অঞ্চলটা আজ থেকে আমার। গল্পাকারে বললাম বলে এটা শুধু গল্প নয়, এটা একটা বাস্তবচিত্র যা ইউরোপের দখলদারিরা ফলো করত। এর চেয়েও চরম ও নিকৃষ্ট পন্থা অবলম্বন করতেও তারা দ্বিধা করতো না!
আপনি যদি ১৯৪৮ সালের আগের মানচিত্র দেখেন, তাহলে ইসরাইল নামে কোনো রাষ্ট্রই পৃথিবীর ইতিহাসে দেখতে পাবেন না। মূলত, ইসরাইল নামে কোনো রাষ্ট্রই ছিল না। হলোকাস্টের পরে ইসরাইলিরা ছিল ছন্নছাড়া। ব্রিটিশরা ইসরাইলিদেরকে টেরোরিস্ট বলে ডাকতো। ২২ জুলাই, ১৯৪৬ সালের কিং ডেভিড হোটেলে আক্রমণের কথা আপনারা সবাই কমবেশি জানেন। জায়োনিস্ট টেরোরিস্ট গ্রুপ ইরগুন এই আক্রমণ চালায়। সেখানে ৯১ জন নিরীহ মানুষ মারা যায়, ৪৬ জন মারাত্মভাবে আহত হয়। এটা ছিল ব্রিটিশ ম্যান্ডেটেরর বিরুদ্ধে সরাসরি অ্যাটাক। এর পরও মোট ২৫৯টিরও বেশি টেরোরিস্ট এটাক চালায় ইসরাইলি জায়োনিস্টরা। ইহুদিদের জ্ঞাতি ভাই হিসেবে ডাকত ফিলিস্তিনিরা। রাষ্ট্রবিহীন ইহুদিরা তখন ছিল ছন্নছাড়া।
যদিও বেলফোর ডিক্লেয়ারেশনকে আমরা ইসরাইল রাষ্ট্র তৈরির মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে জানি। এটার মূলে ছিলেন শেইম ওয়াইজমেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ডিনামাইটের ব্যবহার অনেক বেশি মাত্রায় করা হয়। যার কাছে ডিনামাইট জাতীয় বিস্ফোরক ও বোমা যত বেশি সে যুদ্ধে তত বেশি এগিয়ে থাকত। একটা পর্যায়ে এসে ব্রিটেনের কাছে ডিনামাইটের কাঁচামাল অ্যাসেটন কমে যায়। শেইম ওয়াইজম্যান ছিলেন অর্গানিক কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করা একজন লোক যাকে 'দি ফাদার অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফারমেন্টেশন' বলা হয়। তিনি ডিনামাইট তৈরির র' মেটেরিয়্যাল এসেটন আবিষ্কার করার জন্য একটা ব্যাকটেরিয়া খুঁজে পান যেটা কিনা ব্রিটিশদেও জন্য ছিলো স্বপ্নের মতো। এটা দিয়ে ব্রিটেন আরো বেশি ডিনামাইট তৈরি করেন এবং যুদ্ধে এগিয়ে থাকেন ও পরে জয়লাভ করেন। এর প্রতিদান হিসেবে পুরস্কার দিতে চাইলে শেইম ওয়াইজম্যান ইহুদিদের জন্য একটা রাষ্ট্র দাবি করেন। যা হচ্ছে আজকের ইসরাইল। পরে শেইম ওয়াইজম্যান হয়েছিলেন ইসরাইলের প্রথম রাষ্ট্রপতিও।
ব্রিটেন কেন ইহুদিদের জন্য ইসরাইলকে বেছে নিলো বা শেইম ওয়াজম্যানও বা কেন ইসরাইলই চাইলেন? এটা ছিল এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো।
১. পশ্চিমা সভ্যতা চায় না প্রাচ্য কখনো শক্তিশালী হোক। তারা 'ডিভাইড এন্ড রুল'-এ বিশ্বাস করে। হোক সেটা গায়ের জোরে, না হয় অস্ত্রের জোরে, না হয় মেধার জোরে। পশ্চিমারা ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি ক্যান্সার প্রতিষ্ঠা করে যায় যেটা মিডল ইস্টের জন্য কাঁটা হিসেবে বলবৎ আছে এবং এই অঞ্চলকে সর্বদা চাপের মধ্যে রাখে।
২. ইহুদিদের থার্ড টেম্পল। ইহুদিরা মনে করে মসজিদুল আকসাই হলো তাদের থার্ড টেম্পল। এখানে সোলাইমান আলাইহিস সালামের সেই যাদুর রহস্য লুকিয়ে আছে যেটা দিয়ে তিনি পুরো পৃথিবী শাসন করতেন, তাই তারাও সেটা যেভাবেই হোক ফিরে পেতে চায় এই পৃথিবীর কর্তৃত্ব করার জন্য।
এই সমস্যার মূলে যেভাবে পশ্চিমা বিশ্বব্যবস্থা বা নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার জড়িত একইভাবে জায়োনিস্টদের বিশ্বাসের দ্বন্দ্বও জড়িত। ওয়ার্ল্ড স্ট্রাকচার এবং ওয়ার্ল্ড অর্ডার সময়ের বিবর্তনে পরিবর্তন হয়। আপনাদের একটা টাইম লাইন বলি। ১৫১৭ সালের আগে হেজেমনিক ক্ষমতাধর রাষ্ট্র ছিল পর্তুগাল। ১৪৯৫-১৫১৭ সাল পর্যন্ত পর্তুগাল ও স্পেনের মধ্যে বিভিন্ন কনফ্লিক্ট ও যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্পেন হেজেমনিক পাওয়ারে পরিণত হয় এবং পর্তুগাল তার হেজেমনিক ক্ষমতা হারায়। স্পেনকে চ্যালেঞ্জ করে ব্রিটেন ও নেদারল্যান্ডস। ১৬১৮-১৬৪৮ থার্টি ইয়ারস বা ৩০ বছরের যুদ্ধ হয়- যার সমাপ্তি হয় ১৬৪৮ সালে ওয়েস্টফালিয়া চুক্তির মাধ্যমে- সেখানে 'হোলি রোমান এম্পায়ারের' বিশেষত্ব কমে যায় এবং স্পেন নেদারল্যান্ডসহ অন্যান্য রাষ্ট্রকে মুক্ত করে দিতে বাধ্য হয়।
এরই মধ্যে ফ্রান্স নিজেদের ক্ষমতা বাড়িয়ে হেজেমনিক ক্ষমতাধর রাষ্ট্রে পরিণত হয়- ওয়ার্ল্ড পাওয়ারে যার বিশেষত্ব ছিল ১৬৫০ থেকে ১৭১৩ সাল পর্যন্ত। এরই মধ্যে হাবসবুর্গ সাম্রাজ্য ও রাশিয়া ফ্রান্সকে ক্ষমতার চ্যালেঞ্জ করে বসে। তবে, ১৭৯২ সালে নেপোলিয়ন সুপরিচিত হওয়ার পর ও ১৮০৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর ফ্রান্স আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠে। ১৭৯২-১৮১৫ সালে ফ্রান্স, ব্রিটেন ও অন্য ইউরোপিয়ানদের মাঝে নেপোলিয়নিক যুদ্ধ চলতে থাকে। যা ওটারলু যুদ্ধ ও সর্বশেষ 'কংগ্রেস অব বিয়েনার' মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এর পর টানা ১৯৪৫ পর্যন্ত বিশ্ব রাজনীতিতে ব্রিটেন একক আধিপত্য বিস্তার করে রাখে। এদিকে আমেরিকা ক্রমান্বয়ে তার শক্তি পুঞ্জিভূত করতে থাকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সে তার শক্তির বহিঃপ্রকাশ করলেও তার পুরো আধিপত্য কায়েম হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর। তৈরী হয় 'নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বা নতুন বিশ্বব্যবস্থা' যেখানে দুটি হেজেমনিক পাওয়ার চলে আসে আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়ন, যাদের মধ্যে আবার ১৯৪৫-১৯৯১ সাল পর্যন্ত স্নায়ুযুদ্ধ চলতে থাকে। সোভিয়েত ইউনিয়ন হেরে যাওয়ার পর বাইপোলার ওয়ার্ল্ড (দ্বি-দলীয় বিশ্ব) ভেঙ্গে তৈরি হয় ইউনিপোলার ওয়ার্ল্ড (এক দলীয় বিশ্ব) যেখানে পুরো আধিপত্য বলবৎ থাকে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু ২০০০ সালের পরে চায়নার অর্থনীতি অসম্ভব গতিতে বৃদ্ধি পায় এবং বর্তমানে আমেরিকার সবচেয়ে বড় শত্রু চীন।
চীনের দিক থেকে দেখলে বর্তমান ওয়ার্ল্ড স্ট্রাকচারটাকে আপনার দ্বি-দলীয় মনে হলেও আসলে বর্তমানে বিশ্বব্যবস্থা হলো বহু দলীয়। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারত, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, জাপান সবাই এখন পাওয়ারফুল দেশ। এখন পাওয়ারের সংজ্ঞাটা বদলে গেছে। আগে শুধু অস্ত্র দিয়ে পাওয়ার বা ক্ষমতাকে সংজ্ঞায়ন করা হতো। কিন্তু এখন অর্থনীতি, সমাজনীতি ও অবকাঠামো দিয়েও পাওয়ারকে (ক্ষমতা) সংজ্ঞায়ন করা হয়।
তাই, ফিলিস্তিন এখন শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরাইলের 'ইন্টারেস্ট'-এর জায়গা নয়। ফিলিস্তিন নিয়ে শুধু তুরস্ক না, রাশিয়া, চীনও একসময় এগিয়ে আসবে। নিজেদের ইন্টারেস্টের জন্য কেউই ছাড় দিবে না বিষয়টাকে। এটা এখন গ্লোবাল কন্টেক্সটের বিষয়। সাম্রাজ্যবাদের সংজ্ঞা সময়ের পরিক্রমায় পরিবর্তন হয়েছে। একসময়কার মহারাজা স্পেন ও পর্তুগালরা এখন চুনোপুঁটি। তাই ফিলিস্তিনের বিষয়টা শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরাইলকেন্দ্রিক থাকবে না। গ্লোবালাইজেশান বা বিশ্বায়নের এই সময়ে ইসরাইল চাইলেই একটা রাষ্ট্রকে গিলে ফেলতে পারবে না। গিলে ফেললেও হজম করতে পারবে না। ফিলিস্তিন নিয়ে আজকে ওআইসি ও আরব লীগ নিজেদের স্বার্থে চুপ থাকলেও তুরস্কের এরদোগানের মতো নেতারা যদি সময়ের পালাবদলে ক্ষমতায় চলে আসেন তাহলে ফিলিস্তিন আবার তাদের গৌরবের ভূমি ও রাষ্ট্র ফিরে পাবে। সামান্য ভাঙাচোরা অস্ত্র নিয়ে যে জাতি এখনো টিকে আছে, এক আঙুলে যারা দাঁড়িয়ে থাকতে শিখে গেছে তাদেরকে বাকি ঊনিশটা আঙুল কেটে ফেলার হুমকি দেয়া বড়ই বোকামি নয় কী?
লেখক : ছাত্র, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়