বিবাহবিচ্ছেদের পর দৈনিক কোটি টাকার ভাড়ার দ্বীপে দিন কাটাচ্ছেন মেলিন্ডা!

অন্য এক দিগন্ত | May 18, 2021 03:32 pm
বিবাহবিচ্ছেদের পর দৈনিক কোটি টাকার ভাড়ার দ্বীপে দিন কাটাচ্ছেন মেলিন্ডা!

বিবাহবিচ্ছেদের পর দৈনিক কোটি টাকার ভাড়ার দ্বীপে দিন কাটাচ্ছেন মেলিন্ডা! - ছবি : সংগৃহীত

 

মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস-এর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নিজের মতো সময় কাটাতে চান মেলিন্ডা গেটস। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমের টানাটানি যে তিনি একেবারেই পছন্দ করছেন না, তাও জানিয়েছেন তিনি।

তাই এই মুহূর্তে পরিবারের সঙ্গে একান্তে ছুটি কাটাতে পাড়ি দিয়েছেন অনেক দূর। একটি নির্জন দ্বীপে গিয়ে উঠেছেন তিনি।

ক্যারিবিয়ানের গ্রেনাডার অন্তর্গত একটি ছোট দ্বীপে চলে গিয়েছেন তিনি। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন তার ৩ সন্তানকে। রয়েছেন পরিবারের আরও কয়েক জন সদস্য।

আপাতত এই দ্বীপেই থাকবেন তিনি। বিল গেটস-এর সঙ্গে বিচ্ছেদ এবং তাদের বৈষয়িক বিষয়গুলো মিটমাট হয়ে গেলে তবেই ফের নিজের বাড়িতে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন মেলিন্ডা।

এই দ্বীপ থেকেই ক্রমাগত তার ব্যক্তিগত আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন মেলিন্ডা। তিনি যে দ্বীপে গিয়ে উঠেছেন তার ভাড়া কত জানেন?

গ্রেনাডার অন্তর্গত এই দ্বীপটির নাম ক্যালিভিগনি। ক্যালিভিগনির এই দ্বীপ মূলত ব্যক্তিগত সম্পত্তি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিত্তবানরা ছুটি কাটাতে এই দ্বীপে আসেন।

মোটা টাকা ভাড়া দিয়ে কয়েক দিনের জন্য এই পুরো দ্বীপ উপভোগ করে যান তারা। বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে পারিবারিক ছুটি কাটানো সব কিছুর জন্যই ভাড়া নেয়া যায় দ্বীপটিকে।

সমুদ্রে ঘেরা এই দ্বীপে যে রিসর্টটি রয়েছে তাতে ২০টি ঘর রয়েছে। শৌচাগার রয়েছে ১০টি।

সুইমিং পুল, স্পা, নানা ধরনের খেলার জায়গা রয়েছে এই রিসর্টে। বিনোদনের কোনো অভাব নেই এই দ্বীপে। পাশাপাশি প্রকৃতির কাছে থাকার সুযোগ তো রয়েইছে।

মেলিন্ডা এই দ্বীপে থাকার জন্য প্রতি দিন ১ লাখ ৩২ হাজার ডলার ভাড়া দেন! যা বাংলাদেশী মুদ্রায় এক কোটি ১১ লাখ টাকার কিছু বেশি।

বিশ্বের প্রতিটি বিত্তবান মানুষের কাছেই এই দ্বীপটি জনপ্রিয়। গ্রেনাডা বিমানবন্দরের খুব কাছে রয়েছে দ্বীপটি।

লন্ডন, মিয়ামি, নিউ ইয়র্ক থেকে সরাসরি বিমানও রয়েছে গ্রেনাডায়। এই দ্বীপটির জনপ্রিয়তার জন্যই এই বিমান পরিষেবার ব্যবস্থা।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

কর্মীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক!‌ তদন্ত শুরু হতেই মাইক্রোসফট এর বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেছিলেন বিল গেটস
নিজের প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বিল গেটস। স্ত্রী মেলিন্ডার সঙ্গে তাঁর বিয়ের বয়স তখন মাত্র ৬ বছর। মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা নিজেও তার কেরিয়ারের শিখরে। দু’দশকেরও আগের সেই ঘটনায় প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল মাইক্রোসফট কর্পোরেশন। তার জেরেই আন্তর্জাতিক এই সংস্থার বোর্ড থেকে সরে দাঁড়াতে হয় বিলকে। রোববার প্রকাশিত একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে সামনে এসেছে এই তথ্যটি।

ওই আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র, ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল, তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঘটনাটি দু’দশকের পুরনো হলেও মাইক্রোসফট এ বিষয়ে অবগত হয় ২০১৯ সালের শেষের দিকে। মাইক্রোসফটের এক মহিলা প্রযুক্তিবিদ চিঠি দিয়ে সংস্থাটিকে জানান, বিলের সঙ্গে বহু বছরের শারীরিক সম্পর্কের কথা। এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে তখনই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট বোর্ড। নিরপেক্ষ বিচারে যাতে কোনওরকম সমঝোতা না হয়, তাই মামলাটির ভার দেয়া হয় এমন একটি আইনি সংস্থাকে যারা মাইক্রোসফটের সঙ্গে যুক্ত নয়। কিন্তু এর কিছু দিন পরই বিল গেটস তার পদ থেকে ইস্তফা দেন। ফলে মাঝপথে থমকে যায় তদন্তটিও।

মাইক্রোসফটের প্রধান পদ থেকে বিলের ইস্তফার কারণ যে এই ধরণের একটি অভিযোগ, তা আগেই জানিয়েছিল একটি আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা। বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে তারা বলেছিল, বিলের এই সম্পর্ককে অসঙ্গত বলে রায় দিয়েছেন মাইক্রোসফটের অধিকর্তারা। তার জন্যই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বিল। যদিও বিল নিজে তখন পদত্যাগের অন্য কারণ দেখিয়েছিলেন। মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা জানিয়েছিলেন, এবার সমাজ কল্যাণমূলক কাজে মন দিতে চান তিনি। রোববার প্রকাশিত প্রতিবেদনে ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে বিলেরই এক মুখপাত্র নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, দু’দশক আগে বিল এমন একটি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তবে তা শেষ হয়েছিল বন্ধুত্বপূর্ণভাবে, দু’পক্ষের সম্মতিতেই।

কয়েক দিন আগেই বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছেন বিল গেটস এবং মেলিন্ডা। তবে এক মার্কিন দৈনিকের দাবি, ২০১৯ সাল থেকেই সম্পর্কে ভাঙন ধরা শুরু করেছিল। কারণ ওই বছর অক্টোবরে মেলিন্ডাকে আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল। আসলে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে বিলের যোগাযোগকে কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি মেলিন্ডা। মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দাবি করেছে, জেফরি এপস্টেইনের বিরুদ্ধে শিশু, কিশোর পাচারের অভিযোগ ছিল। একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর বিচারাধীন অবস্থায় ২০১৯ সালের আগস্টে জেলেই তার মৃত্যু হয়।

সূত্র : আজকাল


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us