বিবাহযোগ্য পাত্রী নেই, চীনে ৩ কোটি যুবক অবিবাহিত
বিবাহযোগ্য পাত্রী নেই - ছবি : সংগৃহীত
পাত্রের সংখ্যা প্রচুর। কিন্তু কনে মিলছে না। যার ফলে চীনের প্রায় তিন কোটি যুবক অবিবাহিত রয়েছেন। অনেক দেশে তো এত জনসংখ্যাই নেই। যে সংখ্যক পুরুষ চীনে অবিবাহিত রয়েছে। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
চীনে বরাবরই পুত্রসন্তানকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। ফলে মেয়ের সংখ্যা কমে গেছে। তবে দুশ্চিন্তার বড় কারণ নেই। কারণ, পরিস্থিতি এখন বদলাচ্ছে। কন্যাসন্তানের সংখ্যাও বাড়ছে। যার ফলে পুরুষদের পাত্রীর অভাবে বিয়ের সমস্যা দ্রুত মিটবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ চীন মর্নিং পোস্টের একটি সমীক্ষা।
চীনের জনসংখ্যা শুমারি অনুযায়ী গতবছর ১ কোটি ২০ লক্ষ সন্তান জন্মেছে। যার মধ্যে পুত্র ও কন্যার অনুপাত যথাক্রমে ১১৩.৩:১০০। ২০১০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী অনুপাত ছিল ১১৮.১:১০০। এক গবেষকের কথায়, ‘চীনে সাধারণত পুরুষরা বয়সের তুলনায় কম বয়সীদের স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করে। দেশে পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা বেশ কম বলেই এটা হচ্ছে।’ আর এক গবেষকের কথায়, ‘গত বছর যে ১ কোটি ২০ লক্ষ সন্তান জন্মেছে। তার মধ্যে অন্তত ৬ লক্ষ পুরুষ বিয়ের সময় পাত্রী পাবেন না।’
চীনে এক সন্তান নীতি ১৯৭৯ সালে কার্যকর করা হয়। তা আবার তুলে নেয়া হয় ২০১৬ সালে। সমীক্ষা বলছে, এখন চীনা মহিলা প্রতি সন্তানধারণের হার ১.৩। তা বাড়িয়ে ২.১ হলে নারী–পুরুষ ভারসাম্য বজায় থাকবে।
সমীক্ষায় আরো উঠে এসেছে, চীনের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পুরুষদেরই কনে পেতে সমস্যা হচ্ছে। তার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে অপুষ্টি ও দুর্বল স্বাস্থ্যের বিষয়টি। সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়টিও পরিবর্তিত হবে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
চীনের জনসংখ্যা অত্যধিক হওয়ার এক সন্তান নীতি কার্যকর করা হলেও তা এখন তুলে নেয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, বিয়ের জন্য চীনা পুরুষদের কনে পাওয়ার সমস্যাও অল্প কয়েক বছরের মধ্যে মিটবে।
কর্মীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক! তদন্ত শুরু হতেই মাইক্রোসফট এর বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেছিলেন বিল গেটস
নিজের প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বিল গেটস। স্ত্রী মেলিন্ডার সঙ্গে তার বিয়ের বয়স তখন মাত্র ৬ বছর। মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা নিজেও তাঁর কেরিয়ারের শিখরে। দু’দশকেরও আগের সেই ঘটনায় প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল মাইক্রোসফট কর্পোরেশন। তার জেরেই আন্তর্জাতিক এই সংস্থার বোর্ড থেকে সরে দাঁড়াতে হয় বিলকে। রোববার প্রকাশিত একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে সামনে এসেছে এই তথ্যটি।
ওই আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র, ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল, তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঘটনাটি দু’দশকের পুরনো হলেও মাইক্রোসফট এ বিষয়ে অবগত হয় ২০১৯ সালের শেষের দিকে। মাইক্রোসফটের এক মহিলা প্রযুক্তিবিদ চিঠি দিয়ে সংস্থাটিকে জানান, বিলের সঙ্গে বহু বছরের শারীরিক সম্পর্কের কথা। এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে তখনই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট বোর্ড। নিরপেক্ষ বিচারে যাতে কোনওরকম সমঝোতা না হয়, তাই মামলাটির ভার দেওয়া হয় এমন একটি আইনি সংস্থাকে যারা মাইক্রোসফটের সঙ্গে যুক্ত নয়। কিন্তু এর কিছুদিন পরই বিল গেটস তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দেন। ফলে মাঝপথে থমকে যায় তদন্তটিও।
মাইক্রোসফটের প্রধান পদ থেকে বিলের ইস্তফার কারণ যে এই ধরণের একটি অভিযোগ, তা আগেই জানিয়েছিল একটি আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা। বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে তারা বলেছিল, বিলের এই সম্পর্ককে অসঙ্গত বলে রায় দিয়েছেন মাইক্রোসফটের অধিকর্তারা। তার জন্যই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বিল। যদিও বিল নিজে তখন পদত্যাগের অন্য কারণ দেখিয়েছিলেন। মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা জানিয়েছিলেন, এবার সমাজ কল্যাণমূলক কাজে মন দিতে চান তিনি। রবিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে বিলেরই এক মুখপাত্র নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, দু’দশক আগে বিল এমন একটি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তবে তা শেষ হয়েছিল বন্ধুত্বপূর্ণভাবে, দু’পক্ষের সম্মতিতেই।
কয়েকদিন আগেই বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছেন বিল গেটস এবং মেলিন্ডা। তবে এক মার্কিন দৈনিকের দাবি, ২০১৯ সাল থেকেই সম্পর্কে ভাঙন ধরা শুরু করেছিল। কারণ ওই বছর অক্টোবরে মেলিন্ডাকে আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল। আসলে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে বিলের যোগাযোগকে কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি মেলিন্ডা। মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দাবি করেছে, জেফরি এপস্টেইনের বিরুদ্ধে শিশু, কিশোর পাচারের অভিযোগ ছিল। একাধিক অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিচারাধীন অবস্থায় ২০১৯ সালের আগস্টে জেলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
সূত্র : আজকাল