সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তুনজি যেভাবে হলেন মিস ইউনিভার্স

অন্য এক দিগন্ত | May 17, 2021 07:00 pm
মিস ইউনিভার্স

মিস ইউনিভার্স - ছবি : সংগৃহীত

 

২০২০ সালের মিস ইউনিভার্স হলেন অ্যান্ড্রিয়া মেজা। বিশ্বের ৬৯তম মিস ইউনিভার্স হলেন তিনি। তাকে মিস ইউনিভার্সের মুকুট পরিয়ে দেন গতবারের বিজয়িনী দক্ষিণ আফ্রিকার জেজিবিনি তুনজি। পরিচয় করা যাক নতুন এই বিশ্বসুন্দরীর সঙ্গে। তার পুরো নাম আলমা অ্যান্ড্রিয়া মেজা কারমোনা। ২৬ বছরের এই তরুণীর জন্ম মেক্সিকোর চিহুয়াহুয়া শহরে।

৩ বোনের মধ্যে বড় অ্যান্ড্রিয়া। স্কুলের গণ্ডি পেরনোর পর চিহুয়াহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হন তিনি। ২০১৭ সালে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রি অর্জন করে মেক্সিকোর একটি সংস্থায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

এরও ১ বছর আগে থেকে মডেলিং করতে শুরু করেছিলেন অ্যান্ড্রিয়া। ২০১৬ সালে মিস ওয়ার্ল্ড মেক্সিকোর প্রতিযোগী হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি। ওই বছর মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় শেষ পাঁচে পৌঁছেছিলেন তিনি।

২০১৭ সালে তিনি মিস ওয়ার্ল্ড মেক্সিকো হন। এর পর ওই বছর অনুষ্ঠিত মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় মেক্সিকোর প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ওই বছর মিস ওয়ার্ল্ড হয়েছিলেন ভারতের মানুসি চিল্লর। অ্যান্ড্রিয়া দ্বিতীয় হয়েছিলেন।

মিস ইউনিভার্স ২০২০-তে অংশ নেন তিনি। ২০২০ সালের প্রতিযোগিতা অতিমারির কারণে স্থগিত ছিল এত দিন। ১৬ মে সেটি সম্পন্ন হয় ফ্লোরিডার একটি হোটেলে।

৭৪ জন প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে প্রথম ২১ জনে উঠে আসা। তার পর প্রথম ১০ জনের মধ্যে চলে আসা। তারপর প্রথম ৫ জনের মধ্যে জায়গা করে নেওয়া এবং অবশেষে মিস ইউনির্ভাসের শিরোপা মাথায় তুলে নেন তিনি।

বিচারকেরা তাকে প্রশ্ন করেন, নিজের দেশের নেতা হলে কী ভাবে এই অতিমারি পরিস্থিতি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন?

অ্যান্ড্রিয়া জানান, তিনি নেতা হলে সংক্রমণ অনেকটা ছড়ানোর আগেই লকডাউন করে দিতেন। কারণ তিনি মনে করেন অতিমারির সঙ্গে লড়ার এটাই একমাত্র উপায়।

এই নিয়ে মেক্সিকো থেকে ৩ জন মিস ইউনিভার্স হলেন। প্রথম মিস ইউনিভার্স হয়েছিলেন লুপিটা জোনস, দ্বিতীয় জন জিমেনা নাভারেটে। ২০২০ সালের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন এক ভারতীয়। নাম অ্যাডলিনে কাস্টেলিনো।


ভয়ে ভারতে কাজের সুযোগ গ্রহণ করেননি পাকিস্তানি অভিনেত্রী

২০১৭ সালে `রইস' ছবিতে শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান। কিন্তু ছবির প্রচারের জন্যও ভারতে আসতে পারেননি। ততদিনে চাপানউতর শুরু হয়ে গিয়েছিল দুই দেশের মধ্যে।

মাহিরা খান ছাড়াও আলি জফর, ফাওয়াদ খান প্রমুখ পাকিস্তানি শিল্পীরা বহু বছর ধরেই বলিউডে কাজ করছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালের উরি হামলা এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পরে দুই দেশের সম্পর্কে ছেদ ধরে। পুলওয়ামার পরে ‘অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে ঘোষণা করা হয়, সে দেশের কোনো শিল্পী এ দেশে কাজ করতে পারবেন না।

সম্প্রতি বলিউডের এক সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়ে মাহিরা খান জানালেন, নিষেধাজ্ঞার পরেও একাধিক সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ওটিটি প্ল্যাটফরর্মের জন্য তাঁকে ডাকা হয়েছিল। চিত্রনাট্যও পছন্দ হয়েছিল তার। ইচ্ছেও ছিল ষোল আনা। কিন্তু মনে ভয় কাজ করছিল মাহিরার। তাই সে সব সুযোগ ফিরিয়ে দেন।

মাহিরার কথায়, ‘এখন আমি অনেকটা সাহস অর্জন করেছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শুধু রাজনৈতিক কারণে আমার ইচ্ছেগুলোকে চেপে রাখব না। আশা করি, আমরা আবার সকলে হাত মেলাব। সে অন্য মাধ্যম হোক বা ডিজিটাল।’

সম্প্রতি ‘জি-ফাইভ’-এর একটি সিরিজে তিনি সূত্রধর হিসেবে কাজ করেছেন।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us