ভারতের দিকে ধেয়ে আসছে তওকত

অন্য এক দিগন্ত | May 15, 2021 03:45 pm
ভারতের দিকে ধেয়ে আসছে তওকত

ভারতের দিকে ধেয়ে আসছে তওকত - ছবি : সংগৃহীত

 

ভারতের দিকে ধেয়ে আসছে চলতি বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় তওকত। মঙ্গলবার এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে গুজরাত উপকূলে। ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়ের ‘মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গুজরাত ও দিউ উপকূল ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারত জুড়ে কোভিডের মারাত্মক সংক্রমণের মধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। আর এই ঝড় প্রশাসনকে বেগ দিতে পারে বলে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।

কেরল, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, গুজরাত ও মহারাষ্ট্রে জাতীয় বিপর্যয় মেকাবিলা বাহিনীর পঞ্চাশটিরও বেশি দল মোতায়েন করা হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত কেরল, কর্নাটক ও গোয়ার উপকূলের জেলাগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি ও ধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ভারী বৃষ্টি ও ধস হতে পারে গুজরাতের বিভিন্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলে। লক্ষদ্বীপের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে তামিলনাড়ু ও রাজস্থানের বিভিন্ন অঞ্চলেও বৃষ্টিপাত হতে পারে। শুক্রবার ভারী বৃষ্টির ফলে কেরলের কোচিতে উদ্ধারকারী দল নামানো হয়েছিল।

ঘূর্ণিঝড় নিয়ে শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি বৈঠক করবেন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে মঙ্গলবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের আরব সাগরে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্র তীরে পর্যটকদের যাওয়া-আসা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তৈরি থাকতে বলা হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীকেও। ইতিমধ্যেই নৌবাহিনীর জাহাজ, বিমান, হেলিকপ্টার ইত্যাদি মোতায়েন রাখা রয়েছেন। প্রয়োজন হলেও সেগুলিকে ব্যবহার করা হবে।


একমাত্র উপায় সার্বিক টিকাকরণ, ভারতের করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক, মন্তব্য হু-র

ভারতের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। বিশেষ করে দেশের হাসপাতালগুলোতে যে ভাবে কোভিড রোগীদের ভিড় বেড়ে চলেছে, তা অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয় বলে জানিয়েছে তারা। টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেই যা নতুন করে চিন্তা বৃদ্ধি করল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুক্রবার গোটা বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বিশেষ সংবাদ সম্মেলন করেন হু প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস। সেখানে ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। টেড্রস বলেন, ‘ভারতের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বিভিন্ন রাজ্যে যে ভাবে সংক্রমণ এবং মৃত্যু বেড়ে চলেছে এবং হাসপাতালগুলোতে যে ভাবে ভিড় বাড়ছে তা সত্যিই দুশ্চিন্তার বিষয়।’

গত বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কা সামাল দিতেও হিমশিম খেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সে বার ক্ষয়ক্ষতি এমন বিরাট আকার ধারণ করেনি। এ বার ওষুধ, অক্সিজেন এবং ভেন্টিলেটরের জন্য অন্য দেশ থেকে সাহায্য নিতে হচ্ছে ভারতকে। বিপদে ভারতের পাশে থাকার জন্য ওই দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন টেড্রস। তিনি বলেন, ‘এই দুঃসময়ে যারা ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের সকলকে ধন্যবাদ।’

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us