স্পাই গেইম : আইএসআই অ্যান্ড সিআইএ
স্পাই গেইম : আইএসআই অ্যান্ড সিআইএ - ছবি : সংগৃহীত
ঘটনা ১৯৮৪ সালের। ওই সময় আফগান-রাশিয়া যুদ্ধ চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ আর পাকিস্তানের আইএসআই একযোগে মুজাহিদদের অস্ত্র, প্রশিক্ষণ দিয়ে সাহায্য করছে। পাশ্চাত্য বিশ্বে আফগান মুজাহিদদের তখন ফ্রিডম ফাইটার ডাকা হতো।
তত্কালীন সিআইএ-এর পরিচালক উইলিয়াম ক্যাসি পাকিস্তানের পশ্চিম ফ্রন্টের মুজাহিদদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প পরিদর্শন করতে আগ্রহ প্রকাশ করলেন। আইএসআই তখন সিআইএ কর্মকর্তাদের সীমান্তের নিকটবর্তী আফগান যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পগুলো থেকে দূরে রাখত, তাদের সেখানে যেতে দিত না। কিন্তু ক্যাসি বারবার আইএসআইকে জোর করছিলেন, তাকে তেমন এক প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নিতেই হবে। উনি স্বচক্ষে মুজাহিদদের আমেরিকান অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেখবেন।
১৯৮৪ সালের শুরুতে, ক্যাসি প্রথমবারের মতো যখন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যেতে চান, তখন আইএসআই ইসলামাবাদ সিআইএ স্টেশন অফিসারদের অনুরোধ করে ক্যাসিকে বোঝাতে যে সেখানে যাওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাই যাওয়া যাবে না। ওই সময় আফগান সীমান্তে সোভিয়েত স্পেশাল ফোর্স খুব একটিভ ছিল। তাই আইএসআই-এর আশঙ্কা যে রাশানরা ক্যাসির যাওয়ার খবর কোনোরকমে পেয়ে গেলে প্রচুর ঝামেলা হবে। আর আশঙ্কা কম থাকা সত্ত্বেও ক্যাসিকে গুপ্তহত্যা করার বা কেজিবি ক্যাসিকে কিডন্যাপ করার শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। আর তাই যদি হয় তখন পাকিস্তান খুব বড় ঝামেলায় পড়ে যাবে। কিন্তু ক্যাসি নাছোড়বান্দা, কোনো যুক্তি শুনতে নারাজ।
শেষ পর্যন্ত আইএসআই এক উপায় বের করে। তারা সিআইএ-এর ইসলামাবাদ স্টেশনের এজেন্টদের জানিয়ে, আফগান সীমান্ত থেকে অনেক দূরে ইসলামাবাদের পিছনে, উত্তর দিকে ছড়িয়ে পড়া পাহাড়ে একটি ভুয়া আর অস্থায়ী মুজাহিদিন প্রশিক্ষণ ক্যাম্প স্থাপন করে।
তারপর এক রাতে ক্যাসিকে জিপে তুলে ইসলামাবাদের অদূরে রাস্তায় বৃত্তাকারে ঘুরে ফিরে, সীমান্তে যাওয়ার মতো সময় কাটিয়ে ওই ভুয়া ক্যাম্পে পৌঁছায়। সেখানে উপস্থিত আফগানেরা অনেক হইচই করে বুঝায় যে তারা সংখ্যায় অনেক আর তারা আমেরিকার তৈরী বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। সিআইএ ডাইরেক্টর ক্যাসি খুব খুশি হন আফগান মুজাহিদদের ওই প্রশিক্ষণ দেখে।
Reference :
1. Interviews with Howard Hart, November 12, 26, and 27, 2001 (SC). His account is corroborated by several other sources, including Yousaf (ISI officer)
2. Steve Coll, Ghost Wars
৩ ফ্রন্টে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল
ইসরাইলি বাহিনী এখন তিন ফ্রন্টে হামলা চালাচ্ছে। আর গাজার পাশাপাশি এখন ফিলিস্তিন অধ্যুষিত পশ্চিম তীরেও হতাহত হচ্ছে। গাজার মৃত্যুর সংখ্যা ১৩০ ছাড়িয়ে গেছে। পশ্চিম তীরে মারা গেছে ১১ জন। লেবাননে এক হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। ইসরাইলে মারা গেছে অন্তত সাতজন।
যুদ্ধ বন্ধের কোনো ইঙ্গিত এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। আর ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা এখন অধিকৃত পশ্চিম তীরের বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি সৈন্যদের সাথে লড়াই করছে। এতে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে।
ইসরাইলি বিমানগুলো শনিবার ভোরেও গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে। আর হামাস এখনো রকেট নিক্ষেপ করে যাচ্ছে।
গাজায় অন্তত ১৩২ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩২ শিশু ও ২১ নারী রয়েছে। আহত হয়েছে ৯৫০ জন।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু লড়াই অব্যাহত রাখার ঘোঘণা দিয়েছেন।
সূত্র : ডেইলি মেইল