কঙ্গনাকে সমুচিত জবাব দিলেন ইরফান পাঠান
কঙ্গনাকে সমুচিত জবাব দিলেন ইরফান পাঠান - ছবি : সংগৃহীত
বিজেপি অনুসারী বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে সমুচিত জবাব দিলেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ইরফান পাঠান। ইরফান পাঠান জোরালোভাবে বলেছেন, ‘আপনার মধ্যে যদি ন্যূনতম মনুষ্যত্ব থাকে, তবে ফিলিস্তিনের ওপর ইজরায়েলের এই হামলা সমর্থন করবেন না।'
গাজার ওপর তীব্র হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। ইতোমধ্যেই শিশু, নারীসহ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি বাড়িঘর ভেঙে গেছে। আবার হামাসও জবাব দিয়ে যাচ্ছে। তারাও ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে রকেট নিক্ষেপ করেছে।
ভারত এর মধ্যেই পক্ষ নিয়েছে ইসরাইলের। সংঘর্ষ থামাতে জাতিসঙ্ঘের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ইসরাইলেরই পক্ষ নেয় ভারত। ফিলিস্তিন থেকে ইসরাইলের উদ্দেশে ছোড়া রকেট হামলার ‘বিশেষ’ নিন্দা করেছেন ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি।
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ে দুদিনের মধ্যে বুধবার দ্বিতীয়বার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসল ১৫ সদস্যের জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা কাউন্সিল। ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি। তবে জাতিসঙ্ঘে দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি টুইট করেছেন, ‘পূর্ব জেরুসালেমের ঘটনা নিয়ে আজ জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে আমি উল্লেখ করেছি, সব ধরনের সহিংসতা, বিশেষ করে গাজা থেকে রকেট হামলার নিন্দা করছি। শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে ইসরাইলে ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুতে। এখনই সব পক্ষকে থামতে হবে।’
ফিলিস্তিনের রকেট হামলায় মৃত্যু হয়েছে ইসরাইলে থাকা ভারতীয় নাগরিক সৌম্যা সন্তোষের। কেরলের ইডুক্কির জেলার বাসিন্দা তিনি। দক্ষিণ ইসরাইলের উপকূলীয় শহর আশকেলনে এক বৃদ্ধার সেবাযত্নের দায়িত্বে ছিলেন। ইসরাইলের দিকে শতাধিক রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনিরা। তাতে মৃত্যু হয় সৌম্যাসহ আরো তিনজনের।
কূটনৈতিক মহল মনে করছে, ইসরাইলি বিমান হামলার উল্লেখ নেই, অথচ ফিলিস্তিন থেকে আসা রকেট হামলার বিরোধিতা করা হয়েছে। কৌশলে জাতিসঙ্ঘে ইসরাইলের পাশেই কার্যত দাঁড়াল নয়াদিল্লি।
আর কঙ্গনা রানাউত কঙ্গনা রানাউড খুব জোর গলায় তার মতামত প্রকাশ করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিজেপি-র সমর্থক হিসাবে তিনি প্রকাশ্যে তার অবস্থান ঘোষণা করেছেন অনেক আগেই। কয়েক দিন আগেই ঘৃণা ছড়ানোর দায়ে টুইটার নিষিদ্ধ করেছে তাকে। তবু তিনি থামেননি। ইনস্টাগ্রামে একের পর এক পোস্ট দিয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করে চলেছেন অভিনেতা। মঙ্গলবার ইসরাইল ও ফিলিস্তিন যুদ্ধ নিয়ে একটি পোস্ট করেন ক্রিকেটার ইরফান পাঠান। সেখানে তিনি সকলের উদ্দেশে লেখেন, ‘আপনার মধ্যে যদি ন্যূনতম মনুষ্যত্ব থাকে, তবে ফিলিস্তিনের ওপর ইজরায়েলের এই হামলা সমর্থন করবেন না।'
ইরফানের টুইটের জবাবে এক নেটিজেন প্রাক্তন ক্রিকেটারের কাছে জানতে চান, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে তিনি চুপ কেন? এরপরই আসরে নামেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ কঙ্গনা। সেই নেটিজেনের টুইট নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেন তিনি। ইরফানও দেরি করে নি। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা টুইট লেখেন, ‘আমার সমস্ত টুইটই মানবিকতার জন্য, নয়তো দেশের মানুষের জন্য। সর্বোচ্চ পর্যায়ে আমি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছি। আর আমাকে এখন এমন একজনের সমালোচনা শুনতে হচ্ছে, যাকে ঘৃণা ছড়ানোর অপরাধে টুইটার নিষিদ্ধ করেছে’। ইরফান আরও বলেন, ‘এটা পরিকল্পিত’।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পর মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি বিকৃত করে পোস্ট ও একের পর এক বিদ্বেষমূলক টুইট করায় কঙ্গনার টুইটার হ্যান্ডেল বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপরই ইনস্টাগ্রাম মারফত নিজের মতামত প্রচার করে চলেছেন কঙ্গনা।
সূত্র : জি নিউজ