ইসরাইল-ফিলিস্তিনি যুদ্ধ নিয়ে ইরফান-কঙ্গনার লড়াই
ইরফান-কঙ্গনা - ছবি : সংগৃহীত
সামাজিক মাধ্যমে জোর লেগে গেল ভারতীয় ক্রিকেটার ইরফান পাঠান ও বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের মধ্যে। ঝামেলার কারণ, ইসরাইল-ফিলিস্তিনি লড়াই এবং পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা।
সবসময়ই নেটমাধ্যমে একের পর এক মন্তব্য করে সংবাদের শিরোনামে থাকেন বলিউডের এই অভিনেত্রী। ঘৃণা ছড়ানোর দায়ে টুইটারে নিষিদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু ইনস্টাগ্রামে নিজের বক্তব্য পেশ করে চলেছেন অভিনেত্রী। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার যুদ্ধ নিয়ে একটি পোস্ট করেন ইরফান। সেখানে তিনি নেটাগরিকদেক উদ্দেশে লেখেন, ‘আপনার মধ্যে যদি সামান্যতম মনুষ্যত্ব থাকে তবে ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলের এই হামলা সমর্থন করবেন না’।
এই টুইটের জবাবে এক নেটাগরিক সাবেক ক্রিকেটারের কাছে জানতে চান তাহলে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে তিনি চুপ কেন? এরপরই আসরে নামেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কঙ্গনা। সেই নেটাগরিকের টুইট নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেন তিনি।
সাথে সাথে পাল্টা টুইট করে পাঠান লেখেন, ‘আমার সমস্ত টুইটই মানবিকতার জন্য, নয়ত দেশের মানুষের জন্য। সর্বোচ্চ পর্যায়ে আমি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছি। আর আমাকে এখন এমন একজনের থেকে সমালোচনা শুনতে হচ্ছে, যাকে ঘৃণা ছড়ানোর অপরাধে টুইটার থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা পরিকল্পিত’।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পর মমতা ব্যানার্জির ছবি বিকৃত করে পোস্ট করায় ও একের পর এক প্ররোচনা মূলক টুইট করতে থাকায় কঙ্গনার টুইটার বন্ধ করে দেওয় হয়। এরপরই ইনস্টাগ্রামকে হাতিয়ার করেছেন বলিউড অভিনেত্রী।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
ফিলিস্তিনিদের সাথে বিভিন্ন দেশের তারকাদের সংহতি প্রকাশ
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জেরুসালেমে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর অব্যাহত সহিংসতার জেরে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশের তারকারা।
ফিলিস্তিনি বংশদ্ভুত মার্কিন মডেল বেলা হাদিদ তার ইনস্টাগ্রাম একাউন্টকে বেছে নিয়েছেন ইসরাইলি সহিংসতার প্রতিবাদ ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানানোর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। নিজেকে গর্বিত ফিলিস্তিনি হিসেবে উল্লেখ করে এক ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তিনি বলেন, 'ফিলিস্তিনকে কখনোই মুছে দেয়া যাবে না।'
বেলা বলেন, 'আমি আমার পূর্বপুরুষদের জন্য ব্যথা অনুভব করছি। আমার কান্না সেখানে থাকা আমার ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের জন্য, যারা নিরাপত্তাহীনতা ও ভীতি অনুভব করছেন। এর অবসান হওয়া উচিত। ২০২১ সালে এর কোনো স্থান থাকতে পারে না! আমার বোন অ্যালানা আমার অনুভূতি সম্পর্কে যথার্থই লিখেছে। ফিলিস্তিনি হিসেবে আমরা গর্বিত এবং ফিলিস্তিনের পাশেই আমরা রয়েছি।'
সোমালি বংশদ্ভুত মার্কিন মডেল হালিমা অ্যাডেন তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বলেন, 'ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের জন্য আমার হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।'
ব্রিটিশ গায়িকা ডুয়া লিপা তার ইনস্টাগ্রামে 'শেখ জাররাহে কী হচ্ছে' শিরোনামে এক স্টোরিতে লিখে জেরুসালেমের ঘটনার বিষয়ে বর্ণনা করেন।
পাকিস্তানি গায়ক আসিম আজহার তার টুইটার একাউন্টে এক বার্তায় বলেন, 'আমি অসুস্থ ও ক্ষুব্ধ। কিভাবে আপনি প্রার্থনার স্থানে প্রতিরক্ষাহীন মুসল্লিদের আক্রমণ করেন? এবং আগের মতোই ইসরাইলের ফিলিস্তিনের ওপর অত্যাচারের বিষয়ে বিশ্ব নিরব থাকছে।'
অপর পাকিস্তানি গায়ক ফারহান সাইদ মসজিদুল আকসায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলার এক ভিডিও শেয়ার করে টুইট বার্তায় লিখেন, 'বিশ্বের অন্তহীন নিরবতা অপরাধ! কিভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বসে বসে এই দৃশ্য দেখছে? এটি সন্ত্রাস!'
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর ও ডন