মোদি এখন কী করছেন?

অন্য এক দিগন্ত | May 13, 2021 08:32 pm
 নরেন্দ্র মোদি

নরেন্দ্র মোদি - ছবি : সংগৃহীত

 

করোনা মোকাবিলায় নরেন্দ্র মোদির ব্যর্থতা নিয়ে সোচ্চার বিরোধীরা। সুর আরো চড়ালেন রাহুল গান্ধী।

বেশ কিছু দিন ধরে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ব্যর্থতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এবার তিনি আক্রমণকে আরো তীক্ষ্ণ করে টুইট করে বলেছেন, 'অক্সিজেন, টিকা, ওষুধের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদিও উধাও। পড়ে আছে তার সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প, ওষুধের উপর জিএসটি এবং এদিকে ওদিকে প্রধানমন্ত্রীর কিছু ছবি।'

করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত ব্যবধানে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতেন। এবার তা করছেন না। সেটা নিয়েই কটাক্ষ করেছেন রাহুল। সেই সঙ্গে অক্সিজেন ও ভেন্টিলেটারের অভাবের কথাও তুলেছেন।

রাহুল গান্ধী টুইটে যে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের কথা বলেছেন, সেটা হলো, দিল্লিতে নতুন সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় মিলিয়ে নতুন এক প্রকল্প। ২০২২ সালে যার কাজ শেষ করতে বদ্ধপরিকর মোদি। করোনাকালেও যার কাজ বন্ধ করা হয়নি। বিপুল টাকা খরচ করে এই কাজ কেন করা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।

বুধবার ১২টি বিরোধী দলের নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে একটা চিঠি দিয়েছেন। সেখানে দবি করা হয়েছে, সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প এখন বন্ধ রাখতে হবে। তার জায়গায় সরকার অক্সিজেন ও ভেন্টিলেটারের ব্যবস্থা করুক। সরকার মানুষকে বিনা পয়সায় টিকা দিক। বেকারদের মাসে ছয় হাজার টাকা ভাতা দিক। গরিবদের বিনা পয়সায় খাদ্যশষ্য দিক। মায়াবতীর বিএসপি ও কেজরিওয়ালের আপ ছাড়া সব গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দলের নেতা এই চিঠিতে সই করেছেন।

বিরোধী দলগুলো মনে করছে, করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় মোদি সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। তারা ঠিক সময়ে উচিত ব্যবস্থা নেয়নি। ভোটে জেতার জন্য দেশকে সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে তারা এখন সবকিছু রাজ্য সরকারের ঘাড়ে ঠেলে দিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও মনে করে, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশ থেকেই ভারতে করোনা দ্রুত ছড়িয়েছে।

ভারতের করোনা পরিস্থিতির ঝুঁকির বিশ্লেষণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, 'ধর্মীয় সমাবেশ ও রাজনৈতিক জমায়েত করোনা এইভাবে ছড়িয়ে যাওয়ার একটা কারণ।' তারা জানিয়েছে, 'অনেকগুলো ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জমায়েত হয়েছে। যার ফলে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এই সমাবেশ ও জমায়েতের ফলে সামাজিক মেলামেশা অনেকটাই বেড়েছে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি।'

বেঙ্গালুরুর ঘটনা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যবেক্ষণের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে বেঙ্গালুরুর ঘটনা। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলছে, বেঙ্গালুরুর ৬৭ বছর বয়স্কা নারী কুম্ভ থেকে করোনা নিয়ে ফিরে এসে ৩৩ জনকে সংক্রমিত করেছেন। তার নিজের পরিবারের ১৮ জন এবং বাকিরা হাসপাতালের রোগী ও চিকিৎসাকর্মী।

বারবার বলা সত্ত্বেও কুম্ভমেলা থামানো হয়নি। ৯১ লাখ মানুষ হরিদ্বারে কুম্ভে গিয়ে গঙ্গায় ডুব দিয়েছেন। তাদের অনেকে ফিরে গেছেন করোনা নিয়ে। ফেরার পথে এবং ঘরে ফিরে গিয়ে তারা প্রচুর মানুষের করোনা সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টও তাই বলছে। যে রাজ্যগুলোতে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে এবং জনসভা ও রোড শো হয়েছে, সেখানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এখন দৈনিক ২০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তামনিলনাড়ু, কেরালাতেও সংক্রমণের সংখ্যা খুবই বেশি।

সূত্র : ডয়চে ভেলে

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us