ভারতে করোনায় এখন অল্প বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন কেন?

অন্য এক দিগন্ত | May 12, 2021 07:24 pm
করোনাভাইরাস

করোনাভাইরাস - ছবি : সংগৃহীত

 

ভারতে এখন করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ চলছে। তবে করোনার প্রথম ওয়েভের তুলনায় দ্বিতীয় ওয়েভে অল্প বয়সীদের মধ্যে সংক্রমণ অনেকটাই বেশি। এর সম্ভাব্য কারণ ব্যাখ্যা করলেন আইসিএমআর (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ)-এর প্রধান ডঃ বলরাম ভার্গব।

তার মতে, এর পেছনে দুটি কারণ রয়েছে। একটি হলো, প্রথম ওয়েভের পর কমেছে সতর্কতা। আরও বেশি করে বাইরে বের হচ্ছেন অল্পবয়সীরা। আর দ্বিতীয়ত, দ্বিতীয় ওয়েভে দেশে করোনার বিভিন্ন ভেরিয়েন্টের উদ্ভব হয়েছে। যার ফলে আরো বেশি করে অল্প বয়সীরা সংক্রমিত হচ্ছেন।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেন ডঃ ভার্গব। তিনি জানান, এ ক্ষেত্রেও পঁয়তাল্লিশোর্ধ্বদের মধ্যে করোনা সংক্রমণে গুরুতর শারীরিক অসুস্থতার আশঙ্কা বেশি। এই বয়সীদেরই মৃত্যুর হার বেশি। ফলে, টিকাকরণের ক্ষেত্রে এই বয়সের গ্রুপেই আগের মতো জোর রাখতে হবে।

দ্বিতীয় ওয়েভে আরো বেশি সংখ্যক অল্পবয়সীদের সংক্রমণের তথ্য উঠে আসছে। যদিও গত এপ্রিলে এই দাবি অস্বীকার করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্র জানায়, পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রথম ওয়েভে ৩০ বছরের কমবয়সী করোনা আক্রান্ত ছিল মোট আক্রান্তের ৩১ শতাংশ। দ্বিতীয় ওয়েভে তা মাত্র ১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩২ শতাংশ।

কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা কে বিজয় রাঘবণ সম্প্রতি একটি তৃতীয় ওয়েভের বিষয়ে সতর্ক করেন। তারপর থেকে সেই ওয়েভে অল্পবয়সীদের বেশি করে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা।

করোনাকালে কীভাবে সুস্থ রাখবেন শিশুকে?
করোনার প্রথম ঢেউতে এত উদ্বেগের মধ্যেও স্বস্তির কথা ছিল একটাই, মোটের উপর অনেকটাই সুরক্ষিত শিশুরা। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউতে সেই স্বস্তিও উধাও। এর সঙ্গে তৃতীয় ঢেউতে শিশুদের সমস্যা বাড়তে পারে আরো। এমনটাই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এদিকে তাদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ হয়নি এখনো। তবে কী হবে?

সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার শিশুদের চিকিৎসার জন্য কোভিড প্রটোকল জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য স্বাস্থ্যদফতর। সূত্রের খবর, চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষের তত্ত্ববধানে একটি কমিটি এই বিশেষ প্রটোকল তৈরি করেছে। শিশুদের করোনা হলে কী করণীয় সেটাই উল্লেখ করা হয়েছে এই প্রটোকলে। সেখানে বলা হচ্ছে ৮ বছরের কম বয়সী কারোর হালকা জ্বরের সঙ্গে গলা ব্যথা, কফ, নাক বন্ধ হওয়ার মতো উপসর্গ ও পেট খারাপ, বমি হলে ও স্বাদ গন্ধ চলে গেলে এগুলি করোনার সামান্য উপসর্গ হতে পারে। সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত জল ও ওআরএস খাওয়াতে হবে। ভিটামিন সি, ডি ও জিঙ্ক দেয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। জ্বর থাকলে ১০ থেকে ১৫ মিলিগ্রামের প্যারাসিটামল দেয়া যেতে পারে।

তবে যদি কোনো শিশুর চার দিনের বেশি সময় ধরে জ্বর থাকে,সঙ্গে শ্বাসকষ্ট এবং অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ শতাংশের নীচে নেমে গেলে মাঝারি উপসর্গ বলে গণ্য করা হবে। অন্যদিকে নিউমোনিয়াসহ অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে সেই শিশুকে গুরুতর অসুস্থ হিসেবে ধরে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনো কালবিলম্ব না করে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি ক্ষেত্রেই উদ্বেগ না করে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করার ব্যাপারেও বলা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us