রোজার উপকারিতা : বিজ্ঞান যা বলে
রোজার উপকারিতা - ছবি : সংগৃহীত
রমজানের মাসব্যাপী রোজা মুসলমানদের তাকওয়া তথা খোদভীরুতা অর্জনে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অন্যতম এক নিয়ামক হিসেবে কাজ করে আসছে। মুসলমানেরা এই মাসজুড়ে প্রতিদিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার ও আরো কিছু বৈধ উপভোগ থেকে বিরত থেকে তাদের খোদাভীরুতা প্রদর্শন করে থাকে। এই রমজান মাসটি প্রতিবছর আসে যেন মুসলমানদের ঈমানি শক্তিকে অধিকতর শানিত করে তুলতে। এই রোজা পালনের মধ্য দিয়ে মানুষ তার কোরআন ও সুন্নাহ নির্দেশিত পথে আরো বেশি করে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পায়।
ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীরা এই রমজানের রোজার আনুষঙ্গিক ধর্মানুশীলন ও সামাজিক আচার অনুশীলনের মধ্য দিয়ে সুযোগ পায় অধিকতর মানবিক হয়ে ওঠার। সর্বোপরি সুযোগ পায় নিজেকে ইবাদত-বন্দেগির উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে পৌঁছানোর। কিন্তু এর বাইরে রোজা পালনের মাধ্যমে মানুষ এমন অনেক স্বাাস্থ্যগত উপকারও লাভ করে, যার প্রতি রয়েছে বিজ্ঞানের সুস্পষ্ট স্বীকৃতি। বিজ্ঞান বলে- রোজা মানুষের দেহের ও মস্তিষ্কের স্নায়ুবিক পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানোসহ নানাবিধ উপকার বয়ে আনে। এ লেখায় রোজার উপকারিতা সম্পর্কে বিজ্ঞান কী বলে, তার ওপর আলোকপাতের প্রয়াস পাব।
সপ্তম শতাব্দীতেই বিজ্ঞানীরা বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ পান
রোজা পালনকারীর জন্য রোজা নানাবিধ স্বাস্থ্যগত উপকার বয়ে আনে। আর আজকের এই করোনা মহামারীর সময়েও এই উপকারটি আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজন।
সাকারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল স্কুলের স্নায়ুবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক মুরাত আলেমদার বলেন, ‘কোনো রোজাদার যদি নিয়মিত ঘুম, পুষ্টি ও নিয়মিত হাঁটাচলা সম্পর্কে সচেতন থাকে, তবে ওই রোজাদার স্বাস্থ্যগতভাবে অন্যদের চেয়ে বেশি পরিমাণে উপকৃত হতে পারে। কিন্তু যাদের রোজার সময়ে ঘুম, পুষ্টি ও চলাফেরা বিশৃঙ্খল, তারা রোজা পালন থেকে সে পরিমাণে স্বাস্থ্যগত উপকার পাবে না।’
রোজা মেটাবলিজমে সহায়ক
অধ্যাপক আলেমদার মানবদেহের ওপর রোজার প্রভাব সম্পর্কে ব্যাপক গবেষণা চালিয়ে জানতে পেরেছেন, রমজানের রোজা মানুষকে সুস্থতর জীবনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাসে বিশ্বাসী ও নানা ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ বিজ্ঞানীরাও অভিমত দিয়ে আসছেন, রোজা সহায়ক ভূমিকা পালন করে মানুষর বিপাক ক্রিয়া তথা মেটাবলিজমে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মেটাবলিজমা হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় আমাদের দেহে খাদ্য সরলতর পদার্থে রূপান্তিরিত হয়ে দেহে রাসায়নিক রূপান্তর ঘটায়। এই রূপান্তর সুষ্ঠুভাবে না ঘটলেই বিপত্তি। বিজ্ঞানীদের অভিমত, রোজা মানবদেহে ডিটক্সিফিকেশন তথা বিষাক্ত পদার্থ বিনাশের ক্ষমতা জোরদার করে। অন্য কথায় রোজার ফলে মানবদেহে বিষাক্ত পদার্থ দূর করার ক্ষমতা বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে এটিকে একটা সংস্কার প্রক্রিয়া বলা যায়।
রোজা মস্তিষ্কের জন্য উপকারী
এই সংস্কার প্রক্রিয়া আরো বেশি সত্য মানব মস্তিষ্কের কাজের বেলায়ও। কারণ রোজা মস্তিষ্কে ‘ব্রেইন-ডেরাইভড নিউট্রোফিক ফ্যাক্টর’ (বিডিএনএফ) সৃষ্টি করে, যা স্টেম সেল সৃষ্টির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্টেম সেল মানুষের মেটাবলিজম ভালোভাবে কাজ করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মানব দেহের রিপেয়ার ডিপার্টমেন্ট তার নিজস্ব শক্তিমত্তা দিয়েই দেহের ধ্বংসপ্রাপ্ত টিস্যু বা কোষকলা নতুন করে সৃষ্টি বা মেরামত করে। এসব সেল নয়া সাদা রক্তকোষ তৈরি জোরদার করে তোলে, যা দেহের বাইরে থেকে আসা ক্ষতিকর কিছুর বিরুদ্ধে ইমিউন সিস্টম তথা সংক্রমণবিরোধী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
অধ্যাপক আলেমদার বলেন, ‘রোজা ও বিডিএনফের নিঃসরণের মাত্রা বাড়ানার কাজের মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে.। রোজা মস্তিষ্কের স্টেমসেলের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে। অধিক পরিমাণ মস্তিষ্ক কোষ স্নায়ুব্যবস্থার কাজকেও আরো ভালোভাবে চলতে সহায়তা করে।’
তিনি বলেন, ‘রোজার সময় মানবদেহের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ- যেমন পাকস্থলী কম ব্যবহার হয়। কারণ রোজাদার তখন খাওয়া, পান করা, ধূমপান ও এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকে। রমজানের সময়ে কাজ এসব একটা উল্লেখযোগ্য সময়ে বন্ধ থাকাটা মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।’
তিনি আরো বলেন, ‘যখন মানুষ কম পুষ্টি গ্রহণ করে, তখন শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে মস্তিষ্কে অধিকতর কম সিগন্যাল পৌঁছে, যেখানে ১০ হাজার কোটি নার্ভস তথা স্নায়ু সারাক্ষণ পরস্পরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে দেহটাকে যথাযথভাবে সচল রাখতে।
রোজা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়
রোজার মাধ্যমে আমাদের মানসিক পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটে। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়ে ও মস্তিষ্ক অধিকতর সুষ্ঠুভাবে চলে। রোজার অর্থ শুধু এই নয় যে, মজার মজার খাবার ও যৌন উপভোগ থেকে বিরত থাকা, বরং রোজার সময় একজন রোজাদার নেতিবাচক চিন্তাভানা থেকেও দূরে থাকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রোজার সময়ে রোজাদারেরা যথাসম্ভব বেশি মাত্রায় ধর্মীয় উপায়ে পরিবারের লোকজন ও সমাজের অন্যান্যদের সাথে ভালো ব্যবহারে সচেষ্ট থাকেন।
তা ছাড়া রোজার সময়ে একজন রোজাদার তার প্রতিদিনের স্বাভাবিক অনেক কাজ থেকে মস্তিষ্ককে মুক্ত রাখেন। মস্তিষ্ক বিরত থাকে আজেবাজে চিন্তা থেকে। এর ফলে স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়। এর ফলে রোজাদারেরা অপরিহার্য অন্যান্য কাজ অধিকতর মনযোগের সাথে করার সুযোগ পান। রমজান মুসলমানদের অধিকতর নিয়মনিষ্ঠ হতে সহায়তা করে। নির্দিষ্ট সময়ে ইফতার করতে হয়, সেহরির খাবার খেতে হয়। তারাবির নামাজ পড়তে হয়। এগুলো যাতে যথাসময়ে সম্পন্ন করা যায়, তাই দিনের অন্যান্য জাগতিক প্রয়োজনের কাজগুলো সময় মতো সেরে নিতে হয়। এভাবে রোজা মানুষকে নিয়মনিষ্ঠ করে তুলতে সহায়তা করে। সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মনুবর্তিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য। তাই অধ্যাপক আলেমদার মনে করেন- সেহরী ও ইফতারের সময়ের সাথে সঙ্গতি রেখে আমাদের উচিত দিনের অন্যান্য কাজকর্ম, ঘুম, বিশ্রাম ধর্মাচারকে একটি নিয়মানুবর্তিতার ছকে প্রতিষ্ঠিত করা। তবেই রোজা পালনের মাধ্যমে আমরা সর্বোত্তম উপকার ভোগ করতে পারব।
রমজানের সময় সেহরি খাওয়ার জন্য আমাদের রাতের শেষার্ধে ঘুম থেকে উঠতে হয়। এটিকে ঘুমের ব্যাঘাত বলে বিবেচনা করা যাবে না। এর পরও আমাদের সুস্বাস্থেরও জন্য প্রয়োজনীয় ৬-৮ ঘণ্টা সময় ভালোভাবেই বের করে নিতে পারি। প্রতিদিনের কাজের সময় বিবেচনা করে আমরা ঘুমের অপরিহার্য সময়টুকু নির্ধারণ করে নিয়ে তা মেনে চলতে পারি।
অধ্যাপক আলেমদার মনে করেন, সেহরির কারণে রাতের যেটুকু ঘুম থেকে আমরা বঞ্চিত হই, সেটুকু আমরা পূরণ করে নিতে পারি দিনের অন্য সময়ে, বিশেষ করে দুপুর বেলার ঘুমের মাধ্যমে। তিনি আমাদের এও মনে করিয়ে দেন: খাবারের মতো ঘুমও আমাদেও জন্য অপরিহার্য। শুধু মতিষ্ক নয় মানুষের অন্যান্য অঙ্গপ্রতঙ্গেও জন্য রোজার উপকারী।
রোজা পুষ্টির উন্নতি ঘটায়
বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত রোজা মানুষের হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলে। কারণ এই রোজার সময়েই বছরে একবার আমরা দেহের বিষাক্ত পদার্থ বেশি পরিমাণে দূর করার মোক্ষম সুযোগ পাই। দেহে চর্বি গঠন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সারা বছর দেহে যে বিষাক্ত পদার্থ জমে, রোজার মাসে রোজাদারের শরীর থেকে তা দূর হয়। কারণ রোজা মানুষের দেহের বিপাকক্রিয়া তথা মেটাবলিজম বাড়িয়ে তোলে।
তুরস্কের পুষ্টিবিজ্ঞানী সেরেন কুকুকিয়ার্ডারের মতে, ‘রোজার মাস ছাড়া বছরের ১১ মাসেই আমরা প্রচুর খাবার খাই। তখন আমাদের দেহ এ খাবার হজম করতে প্রচুর সময় নেয়। কিন্তু রোজার সময়ে আমাদের পরিপাকতন্ত্র খাবার হজম করতে কম সময় নেয়। এর ফলে পরিপাকতন্ত্র শরীরের অন্যান্য কাজে সময় দিতে পারে। ওই সময় পরিপাকতন্ত্র ইমিউন সিস্টেমকে জোরদার করে তুলে সংক্রমণ প্রতিরোধ করে থাকে। রোজাদারের শরীরে ক্যান্সার ছড়ায় ধীর গতিতে। তা ছাড়া রোজা রাখার ফলে রোজাদারের দেহে ক্যান্সার সৃষ্টিকর বিষাক্ত পদার্থ জমতে পারে না। অনেক পুষ্টিবিদই একমত, রোজা ওজন কমাতে সহায়তা করে। রোজার সময় মানুষ কম খায়। আর যখন খাওয়ার পরিমাণ কমে, তখন শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায়, এর ফলে শরীরে চর্বি জমে কম। ইনসুলিন হচ্ছে এক ধরনের হরমুন, যা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। রোজা চর্বি কমাতে সহায়তা করায় রোজাদারের লিভার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে।’
রোজার অন্যান্য উপকার
বিভিন্ন সমীক্ষা মতে, রোজা শরীরের এলডিএল কলেস্টেরোল কমায় এবং কমায় অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত কোষ। এর ফলে রোজা হৃদরোগ ও স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। আমাদের শরীরে অ্যাডিপোনেকটিন নামে এক ধরনের হরমোন রয়েছে। এই হরমোন আমাদের হার্ট সুস্থ রাখে এবং গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে রাখে। বেশকিছু সমীক্ষায় জানা যায়, রোজা মানবদেহে এই হরমোন বাড়ায়। এর ফলে পুষ্টিবিজ্ঞানীরা একমত, রোজা আমাদের হৃদপি- সুস্থ রাখায় সহায়ক। তবে তারা বলেন, রোজাদারকে তাদের খাবারের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা যদি ইফতারের পর অতিমাত্রায় বেশি খাবার খাই, তবে তা পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকর রোগ সৃষ্টি করতে পারে। তার পরামর্শ ইফতার খাবার দুই ভাগে ভাগ করে নেয়া যেতে পারে। প্রথমে খাওয়া যেতে পারে কম ক্যালরিযুক্ত খাবার স্যুপ, পনিরের মতো খাবার। দ্বিতীয় ভাগের খাবার খেতে হবে ১৫ মিনিট বিরতির পর, আর এটিই হবে মূল ইফতার।
ব্যাপক প্রচারিত একটি সমীক্ষায় জানা যায়, কমপক্ষে তিন দিন এক সাথে রোজা রাখলে তা ইমিউন সিস্টেম তথা সংক্রমণরোধী ব্যবস্থায় বিস্ময়কর প্রভাব ফেলে। এই সমীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা রোজা স্টেম সেলকে নতুন সৃষ্ট সাদা রক্তকোষ বের করে দিয়ে ইমিউন সিস্টেমের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
রোজা রাখলে শরীরের বলশক্তি কমে যায়, এ ধারণাও সঠিক নয়। কারণ ফুটবল ও ক্রিকেটের মতো কঠিন খেলায়ও রেজাদারদের অংশ নিতে দেখা। খেলার মাঝে ইফতার শেষে খেলোয়াড়েরা আবার ক্রিকেট খেলায় অংশ নিচ্ছেন এটা দেখা গেছে এবারের রমজানেও। এর আগে রোজা রেখে অনেক মুসলমান ফুটবল খেলোয়াড় বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। বিখ্যাত বাস্কেটবল খেলোয়াড় হাকিম ওলাজুয়ন বরাবর রোজা রেখেই খেলায় অংশ নেন।
অনেকের ধারণা, রোজার সময় ডিহাইড্রেশনের কারণে শরীর অনেকটা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। সে ধারণাও আজ ভুল প্রমাণিত। স্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, রোজাকে ইসলামের একটি ধর্মীয় অনুশীলন ধরে নিয়ে অমুসলিমদের তা পরিহার করা ঠিক নয়। অন্যান্য ধর্মেও উপবাস প্রথা চালু রয়েছে। শুধু পানাহার বর্জনই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে রোজার অন্যান্য প্রটোকলও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী প্রমাণিত হয়েছে। ৫:২ ফরবঃ পরিচিত উপবাসের ডায়েট হিসেবে। এই ডায়েটের প্রস্তাব হচ্ছে একজন ব্যক্তি সারা বছর রোজা বা উপবাস চর্চা করবে। এ ক্ষেত্রে সপ্তাহে ৫ দিন সে স্বাভাবিকভাবে খাবে। তখন কোনো খাবার বা পানের ওপর কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না। কিন্তু সপ্তাহের বাকি ২ দিন তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র ৫০০-৬০০ ক্যালরি খাবার খেতে হবে। আর তাতেই এই উপবাস স্বাস্থ্যের জন্য উপকার বয়ে আনবে। এটি একধরনের সবিরাম উপবাস। এ ধরনের উপবাসে তরল পদার্থ খাওয়ায় বিধিনিষেধ নেই।
ড. মাইকেল মুসলের লেখা অ্যাসোসিয়েটেড বুক একটি সর্বাধিক বিক্রীত বই। বইটি রোজার উপকারিতা সম্পর্কে গবেষণার উল্লেখ আছে। মুসলে জনৈক মেডিক্যাল এক্সপার্টের সাথে কথা বলেন তিনি। ওই বিশেষজ্ঞের অভিমত ‘রোজা স্বাস্থ্য উন্নয়নে যতটা শক্তিধর, আর কিছুই ততটা নয়। কোনো রোগীও রোজা রাখলে তা তার জন্য উপকার বয়ে আনে। ক্যান্সার রোগীরা রোজার মাধ্যমে উপকৃত হতে পারে। ক্যান্সারাক্রান্ত ইঁদুরের ওপর পরিচালিত এক সমীক্ষায় জানা যায়, উপবাসে রেখে কেমোথেরাপি দিলে ইঁদুরের ক্যান্সারজনিত টিউমার যত তাড়াতাড়ি দূর হয়, শুধু কেমোথেরাপি দিয়ে তা সম্ভব হয় না।