পাকিস্তানে বুড়োদেরই বাজিমাত!

পাকিস্তানে বুড়োদেরই বাজিমাত! - ছবি : সংগৃহীত
কে বলে ক্রিকেট তরুণদের খেলা? পাকিস্তান বুঝিয়ে দিয়েছে অভিজ্ঞতার দাম, দেখুন পরিসংখ্যান
আধুনিক ক্রিকেটে ফিটনেসের উপর জোর দেয় সব দলই। ফিটনেস নিয়ে কড়াকড়ি এমন মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে যে নির্দিষ্ট ফিটনেস মান ছুঁতে না পারলে স্কোয়াডে নির্বাচিত হয়েও বাদ পড়তে হয় ক্রিকেটারদের। সাম্প্রতিককালে ক্রিকেটারদের বয়স নিয়ে গুঞ্জন ওঠে বিস্তর। তরুণ রক্তের আমদানিতে কম-বেশি মেতে উঠতে দেখা যায় সব দলকেই।
বিষয়টা এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে মনে হয় বুঝি ক্রিকেটটা তরুণদের খেলা। তারুণ্য বনাম অভিজ্ঞতার মধ্যে একটা লুকোনো দ্বন্দ্ব চলে স্কোয়াডের মধ্যেই।
তবে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তান প্রমাণ করে দিয়েছে অভিজ্ঞতার দাম কতটা। ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সের নিরিখে তারুণ্যের সঙ্গে কড়া টক্কর দিয়েছে অভিজ্ঞতা। বরং বলা ভালো তরুণ ক্রিকেটারদের থেকে বয়স্করা নজর কাড়েন বেশি।
১. ৩৩ বছর বয়সী আবিদ আলি কেরিয়ারের প্রথম দ্বিশতরান করেন। অপরাজিত ২১৫ রানের সুবাদে ম্যাচের সেরা হয়েছেন তিনি।
২. প্রথম ইনিংসে ৩৬ বছরের আজহার আলি ১২৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন।
৩. ৩৪ বছরের নোমান আলি কেরিয়ারের সেরা ৯৭ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন।
৪. ৩৬ বছর বয়সে টেস্ট তথা আন্তর্জাতিক অভিষেকে প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়ে নজির গড়েন তাবিশ খান।
৫. ৩৪ বছরের নোমান আলি দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৬ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট দখল করেন।
ম্যাচ তথা সিরিজ জয়ে এদের প্রত্যেকের অবদান অসামান্য। তারুণ্যের হয়ে আবিদ-নোমানদের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছেন ২৬ বছরের হাসান আলি, যিনি প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেন। এছাড়া ২১ বছরের শাহিন আফ্রিদি দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট দখল করেন।
জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতে বাবরের দখলে আরো এক নজির
একে জিম্বাবোয়ে তাও, আবার আধাশক্তির। এমন সুযোগ কি কেউ নষ্ট করে? সুযোগ নষ্ট করলও না বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান ক্রিকেট দল। প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচও ইনিংস-সমেত জিতে চুনকাম সম্পূর্ণ করল পাকিস্তান।
প্রথম ইনিংসে আবিদ আলির দ্বিশতরানের ওপর ভর করে টেলরদের ওপর রানের বোঝা চাপাতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। তার পাশাপাশি আজহার আলি শতরান করলেও জীবনের প্রথম এক শ' হাতছাড়া করেন নোমান আলি। ৫১০ রানের বিপক্ষে কাজটা বরাবারই কঠিন ছিল ব্রেন্ডন টেলরের জিম্বাবোয়ে দলের।
হলও তাই। আবারও হাসান আলি বল হাতে জ্বলে উঠে মাত্র ১৩২ রানে ৬১ ওভারেই গুটিয়ে দেন জিম্বাবোয়ের প্রথম ইনিংস। ৩৭৮ রানের লিড থাকায় জিম্বাবোয়ে ফলো অনের আহ্বান জানান বাবর। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ভাগ্যের কোন বদল ঘটল না। রেজিস চাকাবভা (৮০) ও টেলরের (৪৯) খানিক প্রতিরোধ গড়ে তুললেও নউমান আলি ও শাহিন আফ্রিদির সুবাদে ২৩১ রানেই গুটিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে ইনিংস। ফলে ১৪৭ রানে ম্যাচ ও সিরিজ উভয়ই জিতে নেন বাবর আজমরা। ম্যাচে ব্যাটসম্যান বাবর সফল না হলেও অধিনায়ক হিসাবে নতুন নজির গড়লেন বাবর।
প্রথম পাকিস্তানি অধিনায়ক হিসেবে জিতে নিলেন প্রথম চারটি টেস্ট ম্যাচই। দ্বিশতরানের জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন আবিদ আলি। দ্বিতীয় ইনিংসে কোন উইকেট না পেলেও সিরিজে মোট ১৪ উইকেট নিয়ে ম্যান অফ দ্য সিরিজ পুরস্কার জিতে নেন হাসান আলি।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস