ক্রিজে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে স্ট্যাম্প আউট!
ক্রিজে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে স্ট্যাম্প আউট! - ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো দূরের কথা, ঘরোয়া ক্রিকেটেও কখনো সেঞ্চুরি করেননি এমন কোনো ব্যাটসম্যান টেস্ট সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকলে অবধারিতভাবে সতর্ক দেখাবে তাকে। তবে নোমান আলি বিশেষজ্ঞ বোলার হওয়াতেই বোধহয় টেস্ট সেঞ্চুরির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারেননি। নাহলে ব্যক্তিগত ৯৭ রানের মাথায় দাঁড়িয়ে এমন অসতর্কতার মাশুল দিতে হতো না তাকে।
জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে হারারের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৫১০ রান তুলে ডিক্লেয়ার করে দেয় পাকিস্তান। আবিদ আলি কেরিয়ারের সেরা ২১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। আজহার আলি ১২৬ রান করে আউট হন। তবে সবাইকে চমকে দেন ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নামা নোমান আলি।
৯টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১০৪ বলে ৯৭ রান করে চিসোরোর বলে স্টাম্প আউট হয়ে ক্রিজ ছাড়েন পাকিস্তানের বাঁ-হাতি স্পিনার। ননোমানের ঝোড়ো ইনিংসের সুবাদেই রানের পাহাড়ে চড়তে সক্ষম হয় পাকিস্তান। তবে স্কোরবোর্ড দেখে বোঝার উপায় নেই ঠিক কীভাবে আউট হয়েছিলেন নোমান।
আসলে নোমান ক্রিজে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে স্টাম্প-আউট হয়েছেন বললে মোটেও ভুল বলা হয় না। তাও আবার ওয়াইড বলে। ১৪৮তম ওভারে চিসোরোর ওয়াইড বলে ব্যাট লাগানোর চেষ্টা করেন নোমান। বল ব্যাটে না লাগায় চলে যায় উইকেটকিপারের দস্তানায়। সব উইকেটকিপারকেই অভ্যাসবশত বল ধরে মাঝে মধ্যেই স্টাম্প ভেঙে দিতে দেখা যায়। এক্ষেত্রেও চাকাবভা সেকরম ঢংয়েই স্ট্যাম্প ভেঙে দেন।
তবে ব্যাটসম্যান নোমান যেহেতু বল তাড়া করে অফ-সাইডে অনেকটা ঝুঁকেছিলেন, তাই শট খেলার পর ডান পায়ে ভর দিয়ে পিছনে সরে আসতে হয় তাকে। বাঁ-হাতি নোমানের বাঁ-পা ক্রিজের অনেকটা ভিতরে থাকলেও ডান পা ছিল ক্রিজের বাইরে। তাই ডান পায়ে ভর দিয়ে বাঁ-পা হাওয়ায় ভাসা মাত্রই উইকেটকিপার স্ট্যাম্প ভেঙে দেন। তৃতীয় আম্পায়ার টেলিভিশন রিপ্লে দেখে নোমানকে আউট ঘোষণা করেন।
মাত্র ১ উইকেটের জন্য চতুর্থ দিনে মাঠে নামতে হবে বাবরদের
ফলো-অন বাঁচাতে পারেনি, তবে কোনো রকমে তিন দিনে হার এড়াতে সক্ষম জিম্বাবোয়ে। প্রথম টেস্ট তিন দিনেই এক ইনিংসের ব্যবধানে হেরেছে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টেস্টেও ইনিংসে হার কার্যত নিশ্চিত। শুধু শেষ উইকেটের জুটিতে কোনো রকমে তৃতীয় দিনের শেষবেলাটা কাটিয়ে দেয়ায় ম্যাচ গড়ায় চতুর্থ দিনে। সুতরাং, মাত্র ১ উইকেটের জন্য দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনে পুনরায় মাঠে নামতে হবে পাকিস্তানকে।
৮ উইকেটে ৫১০ রান তুলে পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করার পর পালটা ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। ব্রেন্ডন টেলররা তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করেন মাত্র ১৩২ রানে। প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৩৭৮ রানে এগিয়ে থেকে জিম্বাবুয়েকে ফলো-অন করতে বাধ্য করে পাকিস্তান।
দ্বিতীয় দফায় তুলনায় লড়াই চালালেও ইনিংস হার বাঁচানোর মতো ব্যাটিংয়ের লক্ষণ দেখাতে পারেননি টেলররা। তৃতীয় দিনের শেষে জিম্বাবুয়ে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২২০ রান তুলেছে। পাকিস্তানের তুলনায় এখনও ১৫৮ রানে পিছিয়ে রয়েছে জিম্বাবোয়ে। বাকি ১ উইকেটে এই রান টপকে লিড নেয়া জিম্বাবুয়ের পক্ষে সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।
দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ের হয়ে চাকাবভা ৮০ ও টেলর ৪৯ রান করেন। নোমান আলি ৫টি ও আফ্রিদি ৪টি উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়া হাসান আলি দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেট পাননি।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস