মৌমাছি যেভাবে করোনা শনাক্ত করে

অন্য এক দিগন্ত | May 09, 2021 05:03 pm
মৌমাছি যেভাবে করোনা শনাক্ত করে

মৌমাছি যেভাবে করোনা শনাক্ত করে - ছবি : সংগৃহীত

 

মৌমাছিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের কোভিড রোগী শণাক্তকরণে পারদর্শী করে তুলেছেন নেদারল্যান্ডসের একদল গবেষক। এই পরীক্ষায় নেই কোনো জটিলতা। সন্দেহভাজন আক্রান্ত ব্যক্তির লালারসের ঘ্রাণ নিয়ে মৌমাছিরা অচিরেই বলে দিতে পারছে কেউ করোনা আক্রান্ত কিনা। এতে সময় যেমন বাঁচছে– তেমনই ব্যয় কমছে। গবেষকরা বলছেন– মৌমাছিদের ঘ্রাণশক্তি এমনিতেই প্রবল। তাই তাদের সেই সক্ষমতাকে কাজে লাগানো হয়েছে বুদ্ধিদ্বীপ্ত উপায়ে। মৌমাছিদের প্রশিক্ষণ দিতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা ওয়াজেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে এক চমকপ্রদ কৌশল নিয়েছেন। তারা মৌমাছিদের কোভিডে আক্রান্ত রোগীর লালারসের গন্ধ শুঁকিয়ে চিনি-পানি দিচ্ছেন। এরপরই তারা কোভিডে আক্রান্ত নন এমন ব্যক্তির লালার গন্ধ শুঁকিয়ে তাদের কিছু দিচ্ছেন না।

এর ফলে দেখা যাচ্ছে– মৌমাছিরা কোভিড লালা শনাক্ত করার পরই নিজেদের শুঁড় বাড়িয়ে দিচ্ছে চিনি-পানির জন্য– আর যে লালারসে কোভিড নেই তার ঘ্রাণ নেয়ার পর মৌমাছির দল নির্বিকার থাকছে। দীর্ঘদিন এই পদ্ধতিতে মৌমাছিদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পর তারা এখন সেকেন্ডের মধ্যেই বলে দিচ্ছে কে কোভিড আক্রান্ত আর কে নয়। ভাইরোলজি অধ্যাপক উইম ভ্যান ডে-র পোয়েল বলছেন, ‘আমরা সাধারণ মৌমাছি সংগ্রহ করে তাদের একটি আলাদা জায়গায় রাখি। এরপর তাদের কাছে পজিটিভ স্যাম্পেল রেখে চিনি-পানি উপহার দিই। এরপর তারা শুঁড় বাড়িয়ে পানি পান করে।’ আর এটাই হলো সেই সংকেত। গবেষকদের দাবি– মৌমাছি শুঁড় বাড়াল মানেই স্যাম্পেল কোভিড পজেটিভ। সাধারণত– কোভিড টেস্ট করতে গেলে দুই বা তিন দিন পর রিপোর্ট মেলে। অনেক ক্ষেত্রে রিপোর্ট দ্রুত পাওয়া গেলেও মৌমাছিরা এ বিষয়ে দ্রুততম। আর এতে খরচ না বরাবর যা দরিদ্র দেশগুলির জন্য অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য এক পদ্ধতি।

নতুন ধরনের কারণে ভারতে কোভিড-১৯ মহামারি বিষ্ফোরণে রূপ নিচ্ছে: হু’র প্রধান বিজ্ঞানী
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী শনিবার বলেছেন, ভারতে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের নতুন ধরন আরো বেশী সংক্রামক এবং এটি ভ্যাকসিন সুরক্ষাকে ফাঁকি দিতে পারে, এ কারণে ভারতে প্রাদুর্ভাব বিষ্ফোরণে পরিণত হচ্ছে।
এএফপি’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সৌম্য স্বামীনাথন সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “আজকে ভারতে মহামারীর যে অবস্থা দেখছি তা নির্দেশ করে যে, এটি চরমভাবে ছড়িয়ে পড়ার একটি ভ্যারিয়ান্ট।”

ভারতে শনিবার প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যু ৪ হাজার ছাড়িয়েছে এবং নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৪ লাখ। নয়াদিল্লীতে মহামারি ভয়াবহ অবস্থা তৈরি করেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে, সেখানে সরকারি হিসাবে মৃত্যু এবং সংক্রমণের সংখ্যা কমিয়ে দেখানো হচ্ছে বলে অনেকে ধারণা করছেন।

ভারতীয় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, ক্লিনিক্যাল সায়েন্টিস্ট স্বামীনাথন বলেন, ভারতে গত অক্টোবরে শনাক্ত কোভিড-১৯ এর বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়ান্ট তার মাতৃভূমিতে এই বিপর্যয়ের কারণ।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “সবচেয়ে দ্রুত সংক্রমিত ভ্যারিয়ান্টের মধ্যে এটি অন্যতম।” হু সম্প্রতি এই বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়ান্ট তালিকাভূক্ত করেছে।

সূত্র : এএফপি


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us