রশিদের নয়, তার প্রাসাদের প্রেমে পড়েছেন ইংল্যান্ডের মহিলা ক্রিকেটার
রশিদের নয়, তার প্রাসাদের প্রেমে পড়েছেন ইংল্যান্ডের মহিলা ক্রিকেটার - ছবি : সংগৃহীত
রশিদ খানের নয়, বরং বলা ভালো যে আফগানিস্তানের তারকা স্পিনারের বাড়ির প্রেমে পড়েছেন ড্যানিয়েল ওয়াট। আসলে আইপিএল থেকে দেশে ফেরার পর রশিদ খান নিজের রাজকীয় প্রাসাদে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছবি পোস্ট করেন। সেই ছবিটিতে রশিদকে যত না মনে ধরে নেটিজেনদের, তার থেকেও বেশি নজর কাড়ে তার বড়ি।
স্বাভাবিকভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইক, কমেন্ট উপচে পড়ে রশিদের বাড়ির প্রশংসায়। শুধু সাধারণ নেটাগরিকরাই নন, রশিদের এমন রাজকীয় বাড়ি পছন্দ হয়েছে ইংল্যান্ডের মহিলা ক্রিকেটার ড্যানিয়েল ওয়াটেরও। তিনি রশিদের পোস্টটিতে কমেন্ট করেন নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। কমেন্টে ওয়াট লেখেন, ‘কী অসাধারণ জায়গা।’
রশিদের পোস্টে ডোয়েন ব্র্যাভো কমেন্ট করে জানতে চান যে, এটা হোটেল না তার বাড়ি? উত্তরে রাশিদ জানান, এটা তার নিজের বাড়ি। এমন রাজকীয় প্রাসাদে রশিদ থাকেন জেনে খলিল আহমেদ, সচিন বাবির মতো ক্রিকেটাররাও কমেন্ট বক্সে নিজেদের বিস্ময় প্রকাশ করেন। সচিন বাবিরও অভিব্যক্তি ছিল এমন যে, এটা হোটেলের থেকে কোনো অংশে কম নয়।
বায়ো-বাবলের ভিতর করোনা হানা দেয়ায় আইপিএল মাঝপথেই স্থগিত হয়ে যায়। টুর্নামেন্টে সানরাই হায়দরাবাদ একেবারেই ছন্দে ছিল না। ৭ ম্যাচের মাত্র ১টি'তে জেতে হায়দরাবাদ। তারা লিগ টেবিলের একেবারে শেষে রয়েছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে রশিদ খান ছিলেন দারুণ ফর্মে। ৭ ম্যাচে তিনি ১০ উইকেট নেন। ওভার প্রতি মাত্র ৬.১৪ রান রান খরচ করেন আফগান তারকা। ৫টি বা তারও বেশি উইকেট নেয়া বোলারদের মধ্যে রশিদই সবথেকে মিতব্যয়ী বোলিং করেন এবারের আইপিএলে।
৩৬ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক, প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়ে ইতিহাস পাকিস্তানি তারকার
৩৬ বছর বয়সে বহু ক্রিকেটার নিজেদের বর্ণোজ্জ্বল আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে দাঁড়ি টেনে দেন। অথচ তাবিশ খানের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় ৩৬ বছর বয়সে। শুধু অভিষেক বলা ভুল হবে, বরং চমকে দেয়া অভিষেক বলাই ভালো। কেননা, পাকিস্তানের তৃতীয় বয়স্কতম টেস্ট অভিষেককারী আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের প্রথম ওভারেই তুলে নেন উইকেট।
প্রায় ১৯ বছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার পর জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবার মাঠে নামেন তাবিশ। ১৩৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৫৯৮টি উইকেট নিয়ে অবশেষে টেস্টের আঙিনায় পা দেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে ৩৮ বার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাবিশ। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন ৭ বার। শেষমেশ পাকিস্তানের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন সত্যি হয় তার।
জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে তার হাতে টেস্ট ক্যাপ তুলে দেন কোচ মিসবাহ উল হক। কোচ তথা টিম ম্যানেজমেন্টকে হতাশ করেননি তাবিশ। পাকিস্তান ৮ উইকেটে ৫১০ রান তুলে প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলায় জিম্বাবুয়ে পালটা ব্যাট করতে নামলে শাহিন আফ্রিদির সঙ্গে নতুন বলে দৌড় শুরু করেন তাবিশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে তিনি এলবিডব্লিউর ফাঁদে জড়ান মুসাকান্দাকে। ওই ওভারে কোনো রানও দেননি তিনি। সুতরাং মেডেন-উইকেট ওভার দিয়ে টেস্ট তথা আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শুরু করেন তাবিশ।
জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় দিনের শেষে ৩০ ওভার ব্যাট করে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৫২ রান তুলেছে। তাবিশ ছাড়া ১টি করে উইকেট পেয়েছেন আফ্রিদি, হাসান আলি ও সাজিদ খান। নোমান আলি ২ ওভার বল করে উইকেট পাননি বটে, তবে কোনো রানও খরচ করেননি।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের হয়ে প্রথম ইনিংসে আবিদ আলি অপরাজিত ২১৫, আজহার আলি ১২৬ ও নোমান আলি ৯৭ রান করেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৩টি উইকেট নেন মুজারাবানি।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস