৩৬ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক, প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়ে ইতিহাস পাকিস্তানি তারকার

প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়ে ইতিহাস পাকিস্তানি তারকার - ছবি : সংগৃহীত
৩৬ বছর বয়সে বহু ক্রিকেটার নিজেদের বর্ণোজ্জ্বল আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে দাঁড়ি টেনে দেন। অথচ তাবিশ খানের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় ৩৬ বছর বয়সে। শুধু অভিষেক বলা ভুল হবে, বরং চমকে দেয়া অভিষেক বলাই ভালো। কেননা, পাকিস্তানের তৃতীয় বয়স্কতম টেস্ট অভিষেককারী আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের প্রথম ওভারেই তুলে নেন উইকেট।
প্রায় ১৯ বছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার পর জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবার মাঠে নামেন তাবিশ। ১৩৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৫৯৮টি উইকেট নিয়ে অবশেষে টেস্টের আঙিনায় পা দেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে ৩৮ বার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাবিশ। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন ৭ বার। শেষমেশ পাকিস্তানের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন সত্যি হয় তার।
জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে তার হাতে টেস্ট ক্যাপ তুলে দেন কোচ মিসবাহ উল হক। কোচ তথা টিম ম্যানেজমেন্টকে হতাশ করেননি তাবিশ। পাকিস্তান ৮ উইকেটে ৫১০ রান তুলে প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলায় জিম্বাবুয়ে পালটা ব্যাট করতে নামলে শাহিন আফ্রিদির সঙ্গে নতুন বলে দৌড় শুরু করেন তাবিশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে তিনি এলবিডব্লিউর ফাঁদে জড়ান মুসাকান্দাকে। ওই ওভারে কোনো রানও দেননি তিনি। সুতরাং মেডেন-উইকেট ওভার দিয়ে টেস্ট তথা আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শুরু করেন তাবিশ।
জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় দিনের শেষে ৩০ ওভার ব্যাট করে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৫২ রান তুলেছে। তাবিশ ছাড়া ১টি করে উইকেট পেয়েছেন আফ্রিদি, হাসান আলি ও সাজিদ খান। নোমান আলি ২ ওভার বল করে উইকেট পাননি বটে, তবে কোনো রানও খরচ করেননি।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের হয়ে প্রথম ইনিংসে আবিদ আলি অপরাজিত ২১৫, আজহার আলি ১২৬ ও নোমান আলি ৯৭ রান করেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৩টি উইকেট নেন মুজারাবানি।
দুর্বল জিম্বাবুয়েকে পেয়ে রেকর্ড গড়ার হিড়িক
দুর্বল প্রতিপক্ষ পেয়ে ব্যক্তিগত রেকর্ড গড়ার হিড়িক পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের। জিম্বাবুয়ের বিরদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই শতরান করেছিলেন আজহার আলি ও আবিদ আলি। আজহার ১২৬ রান করে আউট হলেও আবিদ অপরাজিত ছিলেন ১১৮ রানে।
দ্বিতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে ব্যক্তিগত দ্বিশতরান পূর্ণ করেন আবিদ। পাক ওপেনার কেরিয়ারের একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেও নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করেন টেল-এন্ডার নোমান আলি।
সাজিদ (২০), রিজওয়ান (২১) ও হাসান আলি (০) আউট হওয়ার পর ক্রিজে নামেন নোমান। ৩৪১ রানে পাকিস্তান ৭ উইকেট হারায়। তার পর ব্যাট হাতে রীতিমতো ঝড় তোলেন নোমান। ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৮৬ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। শেষমেশ চায়ের বিরতির ঠিক পরেই ব্যক্তিগত ৯৭ রানে আউট হয়ে বসেন নোমান। ১০৪ বলের ইনিংসে তিনি ৯টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে এটিই নোমানের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
আবিদ আলি ২৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪০৭ বলে ২১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। এটি তাঁর টেস্ট কেরিয়ারের তৃতীয় শতরান তথা প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। স্বাভাবিকভাবেই টেস্টে এটি তাঁর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
নোমান আউট হওয়া মাত্র পাকিস্তান ৮ উইকেটে ৫১০ রানে তাদের প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয়।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস