হেরে পাততাড়ি গুটিয়েছেন বিজেপির তারকারা!
হেরে পাততাড়ি গুটিয়েছেন বিজেপির তারকারা! - ছবি : সংগৃহীত
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপির তারকা প্রার্থীদের সিংহভাগই হেরে গিয়ে একপ্রকার পাততাড়ি গুটিয়েছেন। এর মধ্যেই মঙ্গলবার বিজেপি নেতা তথাগত রায় সোশ্যাল মিডিয়ায় এদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি একেবারে নাম করে বিজেপির তিন প্রার্থীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তারা হলেন- পার্নো মিত্র, পায়েল সরকার ও শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। এর কিছুক্ষণ পর এই তালিকা থেকে পার্নোর নাম বাদ দিয়ে তনুশ্রী চক্রবর্তীর নাম যোগ করেন তিনি। তথাগতর প্রশ্ন কেন, এই ‘পলিটিক্যালি স্টুপিড’ মানুষদের টিকিট দেয়া হয়েছিল? এমনকী, এই তারকাদের ‘নগরের নটী’ বলেও কটাক্ষ করেন ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল। এই তিনজনকে ‘পলিটিক্যালি স্টুপিড’ বলার কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, এরা ভোটের কয়েক দিন আগে তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রের সঙ্গে স্টিমারে চেপেছিলেন এবং সেলফি তুলেছিলেন।
এদিকে ভোটের ফল প্রকাশের পর এই তারকা প্রার্থীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে দেখা যাবে, তারা মোটামুটিভাবে রাজনীতি থেকে দূরে সরতে শুরু করেছন। তনুশ্রী, রুদ্রনীল ফলপ্রকাশের পর তবুও তাদের কেন্দ্রের ভোটারদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু পার্নো তার ফেসবুক পেজের কভার ফটো ও ডিপি বদলাতেই ব্যস্ত।
আর শ্রাবন্তীর ক্ষেত্রেও চিত্রটা একই। তিনি তার ছবির প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। কোভিডের জন্য তারা কিছু দিন অক্সিজেন ও বেড সরবরাহকারীদের ফোন নম্বর শেয়ার করছিলেন, সেটাও বন্ধ। ফল প্রকাশের পর পায়েল সরকারকে কোনো পোস্ট করতে দেখা যায়নি।
এদিকে, যশ হেরে যাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একেবারেই হাওয়া। যদিও তার ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, তিনি তার টিমের সহযোগিতায় কোভিড আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। এছাড়া নতুন ছবি নিয়েও খানিক কথাবার্তা এগিয়ে রাখছেন।
অন্যদিকে, বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গিয়েও এই এলাকার মানুষের পাশে থাকবেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন।
সূত্র : বর্তমান
কেবল টুইটার নয়, এ বারে কাজের সুযোগ হারালেন কঙ্গনা রানাউত
টুইটার হারিয়েছেন। এবারে কাজও হারালেন তিনি। ভবিষ্যতে আর কোনো দিন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের সাথে কাজ করবেন না দুই প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার। তাদের আগামী বেশ কিছু কাজ বাতিল বলে ঘোষণা করলেন তারা। জানালেন ইনস্টাগ্রামে। শুধু তাই নয়, এর আগে যা যা কাজ করেছেন কঙ্গনার সাথে, তাও নেটমাধ্যমে থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানালেন আনন্দ ভূষণ এবং রিমঝিম ডাদু।
ঘটনার সূত্রপাত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নির্বাচনকে ঘিরে। ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই একের পর এক পোস্টে ভরে উঠেছে বলিউড স্টার কঙ্গনা রানাউতের টুইটার হ্যান্ডেল। মমতা ব্যানার্জিকে রাবণের সঙ্গে তুলনা করা থেকে শুরু করে বাংলাকে কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা। এমনকি এ রাজ্যে তিনি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি জানান কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে।
এর পরেই চূড়ান্ত পদক্ষেপ টুইটার কর্তৃপক্ষের। স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করে দেয়া হয় কঙ্গনার টুইটার হ্যান্ডেল। দিনের পর দিন টুইটারের নিয়মবিধি লঙ্ঘন করার জন্য এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন টুইটারের মুখপাত্র। তাদের আশঙ্কা, অভিনেত্রীর বক্তব্যের ফলে হিংসার উদ্রেক হতে পারে।
মঙ্গলবার বিকেল বেলা একই রকম পদক্ষেপ ভারতের দুই খ্যাতনামী ফ্যাশন ডিজাইনার আনন্দ ভূষণ ও রিমঝিম ডাদুর। দু’জনেই তাদের ইনস্টাগ্রামে জানান, আগামী দিনে যে যে প্রকল্পের কথা হয়েছিল কঙ্গনার সাথে, তা বাতিল করা হবে। এর আগে যা যা কাজ তারা করেছেন, ওই সব ছবি ও ভিডিয়ো নেটমাধ্যম থেকে তুলে নেয়া হবে।
এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করে আনন্দ লিখেছেন, ‘আজকের সমস্ত ঘটনার পরে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোনোভাবেই উস্কানিমূলক বক্তব্যকে সমর্থন করব না’।
রিমঝিম লিখেছেন, ‘ঠিক কাজ করার নির্দিষ্ট সময় হয় না’। অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর দুই ডিজাইনারের প্রশংসা করেছেন টুইটারে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা