হাঁপানির রোগীদের করোনার ঝুঁকি কতটা বেশি!
হাঁপানির রোগীদের করোনার ঝুঁকি কতটা বেশি! - ছবি : সংগৃহীত
অ্যাজমা বা হাঁপানি কোনো জটিল অসুখ নয়৷ সঠিক চিকিৎসায় এই রোগ থেকে সেরা ওঠা সম্ভব।
তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট, জ্বর, মাথা ব্যথা, হাঁচি, কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়- এ কথা আমরা এখন মোটামুটি সকলেই জানি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে কোষগুলো ফুলে ওঠে। ভাইরাস অণুগুলো ফেটে চারপাশের অন্যান্য কোষগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। সংক্রমণ দ্রুত ব্রঙ্কিওল টিউবে ছড়িয়ে পড়ে। সংক্রমণ আরো বাড়লে ভাইরাসের অণুগুলো ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে ফুসফুসের মিউকাস মেমব্রেনে। ফুসফুসের দুই পাশের পেরিফেরিয়াল অংশ থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে শ্বাসানালীর ওপরে ট্রাকিয়ার দিকে। সংক্রমণ ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়লে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। শরীর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণের কাজটাও সঠিকভাবে হয় না। ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ক্রমশ দুর্বল ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
চিকিৎসকদের মতে, করোনার পজিটিভ রোগীর বেশি যত্ন নেয়া দরকার। এই করোনাকালে চিকিৎসকরা হাঁপানি রোগীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন। যেগুলো মেনে চললে ঝুঁকি অনেকটাই কমবে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
হাঁপানির রোগীদের ঝুঁকি বেশি থাকে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে কোষগুলো ফুলে ওঠে। ভাইরাস অণুগুলো ফেটে চারপাশের অন্য কোষগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। সংক্রমণ দ্রুত ব্রঙ্কিওল টিউবে ছড়িয়ে পড়ে। সংক্রমণ আরো বাড়লে ভাইরাসের অণুগুলো ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে ফুসফুসের মিউকাস মেমব্রেনে। ফুসফুসের দুই পাশের পেরিফেরিয়াল অংশ থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে শ্বাসানালীর উপরে ট্রাকিয়ার দিকে। সংক্রমণ ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়লে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। যদি কোনো রোগীর হাঁপানি সমস্যা থাকে তবে তার কোভিডের এর গুরুতর লক্ষণগুলোর মুখোমুখি হতে পারে।
কোভিড -১৯ রোগীদের হাঁপানির সমস্যা থাকলে
করোনা সংক্রমণ গোটা বিশ্বকে গ্রাস করেছে, প্রাণ কেড়েছে লক্ষাধিক মানুষের। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক (চেস্ট স্পেশালিস্ট) ডা. সন্দীপ নায়ার বলেছেন মতে, যাদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। তাই যাদের হাঁপানির সমস্যা বা শ্বাস-প্রশ্বাসের (Chronic Obstructive Pulmonary Disease) সমস্যা রয়েছে, করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কী করবে তারা? চিকিৎসক জানিয়েছেন, করোনার পজিটিভ রোগীদের প্রধান লক্ষণগুলো হলো জ্বর, গলা ব্যথা, মাথা ব্যথা, কাশি ও শ্বাসকষ্ট। এই শর্তগুলো মাথায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
সতর্কতা অবলম্বন করে চললে আর সঠিক চিকিৎসায় এই রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব
১) যাদের নিয়মিত ইনহেলার নিতে হয়, তারা অবশ্যই নিয়ম মেনে ইনহেলার ব্যবহার করুন। ইনহেলারগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখাটাও জরুরি।
২) ধূমপান এই রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ধূমপান প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ- তা হাঁপানির সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন। সম্প্রতি ‘চাইনিজ সেন্টার্স অব ডিজিজ কন্ট্রোল’-এর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ধূমপায়ীরা।
কোভিডকালে মুঠো মুঠো ভিটামিন সি ট্যাবলেট নয়, ভরসা রাখুন সাইট্রাস ফলে!
হাঁপানি রোগীদের জন্য সাবধানতা
১. যদি আপনি হাঁপানির রোগী হন এবং সম্প্রতি কোভিড সংক্রমিত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই টিকা নিন।
২. আপনি যদি ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেয়ার পর সংক্রামিত হন তবে দ্বিতীয় ডোজটি নেয়ার জন্য কমপক্ষে এক মাস অপেক্ষা করুন।
৩. আপনার যদি হাঁপানি ছাড়াও ক্যানসার, এইচআইভি থাকে তবে ভ্যাকসিন নেয়ার পরিকল্পনা করার আগে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
৪. বাড়ি থেকে বেরোবেন না খুব বেশি জরুরি অবস্থা থাকলে ডাবল মাস্ক পরুন।
৫. অ্যাজমা রোগীদের ধূমপান এড়িয়ে চলা উচিত।
৬. হাঁপানির রোগীরা ইনহেলার ও নির্ধারিত ওষুধ থাকলে সেগুলো সেবন করুন। সর্বদা প্রয়োজনীয় ওষুধের স্টক রাখুন।
৭. পুষ্টি ও প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করার চেষ্টা করুন।
৮. বাইরের খাবার থেকে যত বেশি দূরে থাকবেন, তত ভালো হবে।
সূত্র : এই সময়