করোনার প্রভাব পড়ছে ঋতুচক্রের ওপর!
করোনার প্রভাব পড়ছে ঋতুচক্রের ওপর! - ছবি : সংগৃহীত
করোনাভাইরাসর সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পরও নানা ধরনের সমস্যা থেকে যাচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। ফলে শারীরিক যেকোনো পরিবর্তন নিয়েই চিন্তা থাকছে কোভিড থেকে ওঠা মানুষদের। তেমনই একটি কথা বারবার ঘুরে আসছে নারীদের মুখে। ঋতুচক্রের ওপরে কোনো প্রভাব পড়ছে কি এই রোগের? কী বলছেন চিকিৎসকেরা?
দেশ-বিদেশের বেশির ভাগ চিকিৎসকেরই মত, এখনই এই প্রভাবের কথা বোঝা যায়নি। তবে তারা অনেক মহিলা রোগীর কাছেই শুনছেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তাদের ঋতুস্রাবের ধরনে কিছু পরিবর্তন এসেছে। কারো প্রতি মাসেই কয়েক দিন করে পিছিয়ে যাচ্ছে ঋতুস্রাব শুরুর সময়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ১০ দিনেরও বেশি দেরি হয়েছে বলে দেখা গিয়েছে। কারও আবার সমস্যা অন্য রকম। ঋতুস্রাব চলছে খুব অল্প দিন। মাঝে মাঝে দু’দিন চলার পরেই তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কারও ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বেঁধে যাচ্ছে আগের থেকে বেশি। কারো বা মাসের পর মাস ভালো ভাবে হচ্ছেই না ঋতুস্রাব। এমনটা হচ্ছে করোনাভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার কারণেই, প্রশ্ন তুলছেন তারা। দেখা দিচ্ছে আতঙ্কও। আজীবন এমন ভাবে চলবে কি, ওই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে অনেককে।
চিকিৎসকেরা এখনই এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাদের বেশির ভাগের বক্তব্য, যে সব সমস্যার কথা উঠে আসছে, সেগুলো দেখা যায় অত্যধিক চিন্তা, মানসিক চাপ কিংবা উদ্বেগের সমস্যা হলেও। তারই সঙ্গে কয়েকজন চিকিৎসকের বক্তব্য, করোনায় এখনো আক্রান্ত হননি, এমন মহিলারাও এ ধরনের সমস্যার কথা উল্লেখ করছেন। ফলে সব দেখে চিকিৎসকেদের মনে হচ্ছে, অতিমারির পরিস্থিতিতে সকলেই কম-বেশি মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন। বিশেষ করে যারা সংক্রমিত হচ্ছেন, তাদের অনেকেই উদ্বেগের সমস্যায় ভুগছেন। ফলে এই সমস্যার জন্য করোনার থেকেও বেশি দায়ী হতে পারে মানসিক চাপ। এমনই মত চিকিৎসকেদের।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
শিশুর প্রস্রাবে ইনফেকশন
ডা: আহাদ আদনান
শিশুদের প্রস্রাবের রাস্তায় ঘন ঘন সংক্রমণ পরে বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বৃদ্ধি ঠিকমতো না হওয়া, শরীর শুকিয়ে যাওয়া, খাদ্যে অরুচি থেকে শুরু করে প্রস্রাবের থলি বা কিডনিতে অসুখ ছড়িয়ে পড়তে পারে। অভিভাবককে সচেতন হওয়া উচিত, যাতে এসব সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।
ষ নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
ষ সফট ড্রিংকস, বোতলজাত জুস (এগুলোতে ক্ষতিকর কৃত্রিম রঙ, প্রিজারভেটিভ থাকে), অতিরিক্ত লবণসমৃদ্ধ পানীয় এবং খাবার পরিহার করতে হবে।
ষ নিয়মিত স্বাভাবিক মলত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য পর্যাপ্ত পানি পান, শাক-সবজি, আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে, পরিমিত হাঁটাচলা, শারীরিক ব্যায়াম, খেলাধুলা করতে হবে, মলত্যাগের বেগ আটকে রাখা যাবে না।
ষ প্রস্রাব আটকিয়ে রাখা যাবে না। এজন্য বিদ্যালয়ে প্রস্রাবের বেগ হলে যেতে হবে। (টয়লেটের পরিবেশ আরো ভালো হওয়ার জন্য শিক্ষকদের সাথে কথা বলুন) একটানা মনিটরের (টিভি, মোবাইল, গেমস) সামনে বসে থাকা যাবে না। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে হবে।
ষ আঁটসাঁট অন্তর্বাস বা প্যান্ট পরা অনুচিত।
ষ নিয়মিত কৃমিনাশক ওষুধ সেবন করতে হবে।
ষ ঘনঘন ডায়রিয়া, অপুষ্টি রোগ থাকলে চিকিৎসা এবং পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে হবে।
ষ ছেলে শিশুদের খৎনা করলে সংক্রমণ কম হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ষ মেয়ে শিশুদের শুচি করার সময় সামনে থেকে পিছনে টান দিয়ে মুছে দিতে হবে।
ষ অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক উপকারি জীবাণু মেরে ফেলে সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ষ শরীরের অন্য সমস্যার জন্য সংক্রমণ হচ্ছে কিনা দেখতে হবে। প্রস্রাবের রাস্তায় কোনো প্রতিবন্ধকতা (পর্দা, সরু নালী, মাংস বৃদ্ধি), পাথর, প্রস্রাব কিডনির দিকে পিছনে ফেরত যাওয়ার রোগ কিংবা দুর্বল থলি থাকলে আগে সেগুলোর চিকিৎসা করতে হবে।
লেখক : রেজিস্ট্রার, আইসিএমএইচ,
মাতুয়াইল, ঢাকা