করোনার ছোবল, আপনার বয়স ৪০-এর কম?
করোনার ছোবল, আপনার বয়স ৪০-এর কম? - ছবি : সংগৃহীত
অতিরিক্ত ওজনযুক্ত তথা ওভারওয়েটদের সমস্যা সবেতেই বেশি। এবার পরিষ্কারভাবে জানা গেল, করোনা-আক্রান্ত ওভারওয়েটদেরও সমস্যা বেশি।
ওজন বেশি থাকলে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পরে অসুস্থতার ঝুঁকি বেশি, এমনই জানাল 'দ্য ল্যানসেট ডায়াবেটিস অ্যান্ড এন্ড্রোক্রিনোলজি' জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র।
ল্যানসেটের ওই গবেষণা উদ্ধৃত করে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা (University of Oxford in the UK) বলছেন, ওজন বেশি থাকলে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর ঝুঁকি বেড়ে যায়। জানা গিয়েছে, এই বিষয় নিয়ে এমন ব্যাপক গবেষণা এই প্রথম।
ব্রিটেনে বসবাসরত ৬৯ লাখের বেশি মানুষের উপর এই গবেষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অথবা মারা গিয়েছেন এমন ২০ হাজারেরও বেশি করোনারোগীর তথ্য এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, বিএমআইয়ের (full range of body-mass index /BMI) সূচকে যাদের ওজন বেশি, তাদের করোনায় গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকিও বেশি থাকে। এসব ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকিও ৫ শতাংশ বেশি। বিএমআই হলো- শরীরের উচ্চতা অনুসারে ওজনের হিসাব। গবেষকেরা আরও বলছেন, শুধু ওজন যাদের বেশি তারাই ঝুঁকিতে আছেন, বিষয়টি এমন নয়। যাদের ওজন কম, করোনায় সংক্রমিত হলে তাদের ক্ষেত্রেও অসুস্থতার ঝুঁকি বেশি থাকে।
গবেষণা অনুসারে ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে অতিরিক্ত ওজনের কারণে করোনার ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে ৬০ বছরের বেশি যাদের বয়স, তাদের অতিরিক্ত ওজনের কারণে ঝুঁকি বাড়ে না। আবার ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে ওজনের কারণে করোনায় গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি বেশ কম থাকে।
সূত্র : জি নিউজ
গোলমরিচ,মধু, আদা সমাচার
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঘায়েল করছে সকলকে, যে একটু কাশি হলেও আমরা এখন আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। হওয়াটাই স্বাভাবিক। সংক্রমণের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে ছড়াচ্ছে গুজব। সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনা নিরাময়ে কিছু টোটকা ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমিত হলে সেরে ওঠার উপায় কী? জানা নেই অনেকেরই। আর ইন্টারনেট সার্চ বা সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন বার্তা দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এই আবহে সম্প্রতি একটি আর্টিকেল ভাইরাল হয় যাতে দাবি করা হয় পুদুচেরির এক ছাত্র নাকি বাড়িতে বসে করোনা থেকে মুক্তির উপায় বের করেছে।
সেখানে করা হয়, গোল মরিচ, মধু, আদা সাহায্যে সহজেই করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর এই উপায় নাকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার থেকেও সবুজ সঙ্কেত পেয়েছে। তবে সেই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের সাফ কথা, করোনা ঠেকাতে গেলে মানতেই হবে দূরত্ববিধি। পরতেই হবে মাস্ক।
ভাইরাল বার্তার দাবি
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পোস্টটি লিখেছিল, 'পুদুচেরির বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ঘরোয়া প্রতিকার আবিষ্কার করেছেন, যা ডাব্লুএইচও সবুজ সংকেত দিয়েছে। তিনি নাকি প্রমাণ করলেন যে এক চামচ কালো মরিচ গুঁড়ো, দুই চা চামচ মধু, অল্প আদার রস টানা ৫ দিন দেওয়া হলে করোনার প্রভাব শতভাগ পর্যন্ত নির্মূল করা যায়।
ভাইরাল পোস্টের সত্যতা জানিয়েছেন পিআইবি
পিআইবির তরফে টুইট করে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হলো যে গোল মরিচ, মধু, আদার সাহায্যে করোনা থেকে মুক্তি মেলে না।
এই খাদ্য আইটেমগুলো কোভিডের পক্ষে উপকারী নয়
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তিনটি খাবার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভালো, কারণ এই খাবারগুলি অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। তবে এটি বলা ঠিক হবে না যে এগুলি ব্যবহার করে আপনি COVID19-এর লড়াইয়ে জয়ী হতে পারেন। ভাইরাল পোস্টে দাবি করা হয়েছে, যা ভিত্তিহীন ঘটনা। সরকার বারবার বলছে যে জনগণকে এ ধরনের ভিত্তিহীন সত্যের উপর নির্ভর করা উচিত নয়।
কী করবেন এবং কী কী করবেন না
দৈনিকভাবে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কিছু গুল্ম এবং মশলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও তাদের ওষুধের সঙ্গে প্রেসক্রিপশন দেয়া উচিত নয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও সুপারিশ করেন যে আপনি যখন কোভিড নিরাময় করবেন তখন ফুসফুসকে আরো শক্তিশালী করার জন্য যোগব্যায়াম করুন এবং শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন যা আপনার পক্ষে ভালো।
সূত্র : এই সময়