পরাজয় বুঝতে পেরেছে বিজেপি!
বিজেপির মিডিয়া সেন্টার অনেকটা ফাঁকা - ছবি : সংগৃহীত
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনে এবার তৃণমূল ২০০ আসন পাবে বলে শুরু থেকে দাবি করে আসছিলেন মমতা ব্যানার্জি। ভোট প্রবণতায় ডবল সেঞ্চুরি করে ফেলল তার দল। নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত ২০২ আসনে এগিয়ে ঘাসফুল শিবির।
২৯২ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত কমিশনের কাছে এসেছে ২৮৪টির তথ্য। তার মধ্যে ২০২ আসনে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি এগিয়ে ৭৭ আসনে। ১টি করে আসনে এগিয়ে কংগ্রেস ও রাষ্ট্রীয় সেকুলার মজলিস পার্টি।
এদিকে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কলকাতা থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের মিডিয়া সেন্টার সরগরম থাকলেও, বিজেপির মিডিয়া সেন্টারে দেখা গেছে উল্টো চিত্র।
মিডিয়া সেন্টার অনেকটা ফাঁকা, সংবাদকর্মীদের খুব একটা উপস্থিতি নেই। ফলাফলে পিছিয়ে থাকা বিজেপির কর্মীদের মধ্যে তেমন চাঞ্চল্য নেই।
বামজোট কোনো আসনে এগিয়ে নেই
ভারতের যে রাজনৈতিক জোট টানা সাতবার বা টানা ৩৪ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ শাসন করেছে, সেই বামফ্রন্ট (পশ্চিমবঙ্গ) এবারের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত একটিও আসন পায়নি।
দুপুর একটা পর্যন্ত ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস ২৮৪টি আসনের মধ্যে ২০২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
বিজেপি পেতে চলেছে ৭৭টি আসন।
স্বতন্ত্র দুইটি, ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন একটি, কংগ্রেস একটি আর রাষ্ট্রীয় সেকুলার মজলিস পার্টি একটি আসন পেলেও, ৩৪ বছরের শাসক দলের নামে একটিও আসন মেলেনি।
রাজনীতিতে পদার্পণ করেই জয়ের মুখ দেখতে চলেছেন অভিনেত্রী জুন মালিয়া
তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন মাত্রই, গত মার্চ মাসে। রাজনীতিতে তার এবারই প্রথম আসা।
কিন্তু প্রথমবারের মতো বিধানসভার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে মেদিনীপুরের হাতছাড়া হওয়া আসন আবার ফিরিয়ে আনার পথে রয়েছেন জুন মালিয়া।
দুপুর নাগাদ মেদিনীপুর আসনে জুন মালিয়া পেয়েছেন ২৭৭২০ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির সমিত কুমার দাস পেয়েছৈন ২২০৬৪ ভোট।
জয় পেলে এটা হবে অনেকটা যেন জুন মালিয়ার রাজনীতিতে আসা, দেখা আর জয় করার মতো ব্যাপার।
বাম-কংগ্রেসের ভরাডুবি
ডয়চে ভেলের খবরে বরঅ হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট প্রায় মুছে যাওয়ার মুখে। মাত্র একটি আসনে তারা এগিয়ে। শিলিগুড়িতে সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য তৃতীয় স্থানে, অধীর চৌধুরীর দুর্গ বহরমপুরে এগিয়ে বিজেপি। পিছিয়ে কংগ্রেস নেতা ও বিদায়ী বিধানসভার বিরোধী নেতা আব্দুল মান্নান, সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। কগ্রেসের কোনো প্রাথী এগিয়ে নেই। আইএসএফেরও কোনো প্রার্থী এগিয়ে নেই। আব্বাস সিদ্দিকি সংখ্যালঘু ভোট টানতে ব্যর্থ।
প্রাথমিকভাবে সিপিএম সাড়ে তিন শতাংশ, কংগ্রেস আড়াই শতাংশ ভোট পয়েছে। এই প্রবণতা বজায় থাকলে পশ্চিমবঙ্গে আপাতত পুরোপুরি অপ্রাসঙ্গিক হওয়ার মুখে বাম-কংগ্রেস।
কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ছিল মালদহ ও মুর্শিদাবাদ। কিন্তু সেখানেও দেখা যাচ্ছে, প্রায় সব আসনেই পিছিয়ে কংগ্রেস ও বাম। এই দুই সংখ্যালঘু প্রধান জেলায় কংগ্রেস ও বামের ভোটের বড় অংশ চলে গেছে তৃণমূলের কাছে। ফলে তাদের ভরাডুবি হয়েছে। অধীর তার দুর্গ বাঁচাতে পারেননি। এতদিন ধরে গনি খান চৌধুরির কল্য়াণে মালদহে জিতত কংগ্রেস। সেখানেও তারা হেরেছে।