নারী দেহে কি করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয় বেশি?
নারী দেহে কি করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয় বেশি? - ছবি : সংগৃহীত
পুরুষদের চেয়ে কি নারীদের দেহে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের অ্যান্টিবডি বেশি পরিমাণে তৈরি হয়? আর সেটা হয় বেশি তাড়াতাড়ি? ভারতের মুম্বইয়ের বস্তি ও সাধারণ এলাকায় চালানো একটি সেরোলজিক্যাল সার্ভের ফলাফল অন্তত তেমনটাই জানিয়েছে।
সমীক্ষা জানিয়েছে, দেহে কোভিড সংক্রমণ রোখার জন্য যেখানে ৩৫.২ শতাংশ পুরুষের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, সেখানে নারীর দেহে তা হয়েছে ৩৭.১২ শতাংশ। এবং সেটাও বেশ তাড়াতাড়ি।
গত বছর মে থেকে অগস্টের মধ্যে দুই দফায় মুম্বই শহর ও তার লাগোয়া এলাকাগুলিতে ওই সেরোলজিক্যাল সার্ভে চালায় বৃহন্মুম্বই পুরসভা (বিএমসি), টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ (টিআইএফআর), কস্তুরবা সরকারি হাসপাতাল এবং ফরিদাবাদের ট্রান্সলেশনাল হেল্থ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট (টিএইচএসটিআই)।
গবেষকদলের এক সদস্য টিএইচএসটিআই-এর অধ্যাপক সুস্মিতা চৌধুরী আনন্দবাজার ডিজিটালকে বলছেন, ‘‘এই সমীক্ষাটি চালানো হয়েছে গত বছর। কোভিডের প্রথম ঢেউ ওঠার পরপরই। ওই সময় মুম্বই শহর ও লাগোয়া অঞ্চলগুলির বস্তিপ্রধান ও সাধারণ এলাকাগুলিতে সমীক্ষা চালানো হয় দু’দফায়। মে-জুন ও জুলাই-অগস্টে। জুলাই-অগস্টের সমীক্ষার ফলাফলেই এই তথ্য মিলেছে।’’
মুম্বইয়ের কস্তুরবা সরকারি হাসপাতালের কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান অধ্যাপক চিকিৎসক জয়ন্তী শাস্ত্রী জানাচ্ছেন, মে-জুন মাসে যে সেরোলজিক্যাল সার্ভে চালানো হয়েছিল, তাতে কিন্তু বিপরীত তথ্য উঠে এসেছিল। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল পুরুষদের দেহেই কোভিড রোখার অ্যান্টিবডি বেশি পরিমাণে তৈরি হচ্ছে, বেশি তাড়াতাড়ি। নারীরা ওই সমীক্ষায় এ ব্যাপারে কিছুটা পিছিয়েই ছিলেন।
কেন প্রথম ও দ্বিতীয় দফার সমীক্ষার ফলাফলের এই তারতম্য?
সুস্মিতা ও জয়ন্তী দু’জনেরই বক্তব্য, দু’টি সমীক্ষাই চালানো হয়েছিল গত বছর কোভিডের প্রথম ঢেউ ওঠার পরপরই। মে মাসে যখন প্রথম সমীক্ষাটি চালানো হয়, তখন তুলনায় বাইরে বেশি বেরোনোর ফলে পুরুষরাই কোভিডে তুলনায় বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ফলে কিছু দিন পর তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডিও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পরে লকডাউন উঠে যাওয়ায় নারীরাও বাড়ির বাইরে বেরতে শুরু করেন। আক্রান্ত পুরুষদের সঙ্গে বাড়িতে থাকতে থাকতেও নারীদের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বেড়ে যায়। ফলে তাদের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার পরিমাণও বেড়ে যায়।
তবে দু’জনেই এগুলোকে চূড়ান্ত নয়, সম্ভাব্য কারণ বলেই মনে করছেন। তাদের বক্তব্য, ‘এই ধরনের আরো সমীক্ষা চালানো হয়েছে পুণে, ঠাণে, নাশিক, নাগপুরেও। তার ফলাফলের উপরেও নজর রাখতে হবে। তখনই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কিছু বলা সম্ভব হতে পারে।’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রমণে ফের নতুন রেকর্ড
ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রমণে আবারো নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। নতুন করে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬৯১ জন। এ নিয়ে মোট সংক্রমণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার ১৭২ জনে। এছাড়া বর্তমানে চিকিৎসাধীন অসুস্থ রোগীর সংখ্য ২৬ লাখ ছাড়িয়েছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রোববারের তথ্য থেকে এ কথা জানা গেছে।
ভারতে করোনায় আরো মারা গেছে ২ হাজার ৭৬৭ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার ৩১১ জনে।
চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ২৬ লাখ ৮২ হাজার ৭৫১ জন। সুস্থ হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ ৮৫ হাজার ১১০ জন। মৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ১.১৩ শতাংশ।
সূত্র : বাসস