যেসব উপসর্গ থাকলে নিশ্চিত বুঝবেন করোনার শিকার আপনি
যেসব উপসর্গ থাকলে নিশ্চিত বুঝবেন করোনার শিকার আপনি - ছবি : সংগৃহীত
করোনাভাইরাসের আক্রমণ এখন প্রবলভাবে চলছে। ফলে সচেতন থাকতে হচ্ছে। সবসময় নিজের ও আশপাশের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলো কিনা সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম উপসর্গ হলো গন্ধ ও স্বাদ চলে যাওয়া। করোনাভাইরাসের আরো কিছু উপসর্গও দেখা যায়। এতসব উপসর্গ থাকার পরও ঝামেলা আছে। কারণ এসব উপসর্গ থাকার পরও কিন্তু RT-PCR টেস্ট করার পর রিপোর্ট আসছে নেগেটিভ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেশ অনেকে এই ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন।
এত দিন বলা হচ্ছিল, শরীরের করোনাভাইরাস এর উপস্থিতি রয়েছে কিনা তা বোঝার অন্যতম পরীক্ষা হলো RT-PCR। কিন্তু ওই পরীক্ষা ভুল নেগেটিভ রিপোর্ট দিচ্ছে। কিন্তু কেন একাধিক উপসর্গ থাকার পরও করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে?
দ্বিতীয় ঢেউতে করোনাভাইরাসের নতুন মিউট্যান্ট দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনার নতুন এই মিউট্যান্টকে অনেক সময়ে চিনতে সক্ষম হচ্ছে না পুরনো RT-PCR টেস্ট। আর তাই রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে।
এছাড়া আরো একটি কারণ রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতির পরিমাণ খুব সামান্য হলে তা সনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ছে এই পরীক্ষায়। ঠিকভাবে লালারসের নমুনা নেয়া না হলেও রিপোর্ট ভুল আসবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও বিশেষ কয়েকটি উপসর্গের উপর গুরুত্ব দিতে বলছেন চিকিৎসকরা।
রিপোর্ট নেগেটিভ আসা সত্ত্বেও এই উপসর্গগুলো থাকলে চিকিৎসকরা আইসোলেশন এ থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। যেমন কয়েকটি উপসর্গ রয়েছে যেগুলো থাকলে নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে হবে রোগী করোনা আক্রান্ত।
প্রথম উপসর্গই হলো স্বাদ ও গন্ধ চলে যাওয়া। করোনার সবচেয়ে প্রকট উপসর্গ হিসেবে এটিকেই মানা হচ্ছে। এই উপসর্গের আগে অথবা পরে জ্বর আসছে। রোগীর এ উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
করোনার অন্যতম উপসর্গ হলো জ্বর। ওষুধ খেয়েও বার বার জ্বর আসছে ও ঠাণ্ডা লাগছে, এমন হলে করোনা হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি। তাই রিপোর্ট নেগেটিভ গেলেও সাবধান থাকুন।
এছাড়া গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, সারা দিন ক্লান্তি বোধ করা, পেটের সমস্যা বমি ইত্যাদি হলে সাবধানে থাকুন। এছাড়া গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, সারাদিন ক্লান্তি বোধ করা, পেটের সমস্যা বমি ইত্যাদি হলে সাবধানে থাকুন।
কিন্তু উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও রিপোর্ট নেগেটিভ এলে কী করবেন? প্রথমে নিজেকে আইসোলেট করুন। নিজের আর কী কী উপসর্গ দেখা যাচ্ছে সে গুলোর উপর নজর রাখুন। অক্সিমিটার অক্সিজেন স্যাচুরেশন নির্দিষ্ট সময় অন্তর দেখুন। তিন দিন পর ফের একবার টেস্ট করান। এরপরও করণা উপসর্গ থাকছে কিন্তু নেগেটিভ রিপোর্ট আসছে এমন হলে একটি সিটি স্ক্যান করিয়ে নিন। তবে তার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র : নিউজ ১৮