করোনায় হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কারণে বাড়ছে একজিমা!
করোনায় হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কারণে বাড়ছে একজিমা! - ছবি : সংগৃহীত
প্রায় অপ্রতিহত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। আর এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার। যার ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাতে ঘা বা হ্যান্ড একজিমায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে এ বছর এই রোগীর সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে নিয়ম না মেনে যথেচ্ছ স্যানিটাইজারের ব্যবহারই এই হ্যান্ড একজিমার প্রকোপ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এই ঘা কখনো হালকা আবার কখনো ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। সরকারি হাসপাতালের সাথে প্রাইভেট চেম্বার, চিকিৎসকদের কাছে নিয়মিত এই রোগীরা আসছেন নিরাময়ের জন্য। কলকাতাভিত্তিক ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর চিকিৎসক অভিষেক দে বলেন, প্রতি ৪০ জন রোগীর মধ্যে অন্তত ১০ শতাংশ রোগী আসছেন যারা, যথেচ্ছ এবং বিজ্ঞানসম্মতভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজাইজার ব্যবহার না করে হ্যান্ড একজিমার শিকার হয়েছেন। কেউ আবার 'ফাঙ্গাল ইনফেকশন'–র শিকার হয়ে গেছেন। আশঙ্কা করছি, যত করোনা ছড়াবে ততই এই রোগীর সংখ্যা বাড়বে।
অভিষেকের পরামর্শ, ‘ঘরে থাকলে স্যানিটাইজার ব্যবহার না করে সাবান ব্যবহার করুন। এটা যেন ময়শ্চরাইজার সোপ হয়। রঙিন স্যানিটাইজার ভুলেও ব্যবহার করবেন না। রঙহীন স্যানিটাজার ব্যবহার করুন। রাস্তায় যখন স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন তখন অবশ্যই কিছু না পেলে সঙ্গে নারকেল তেল রাখুন। এই তেলটা খুবই কাজের। স্যানিটাইজার মাখার পর ওই নারকেল তেল হাতে মেখে নিন। যাতে হাতের নরমভাবটা বজায় থাকে।’
একই মত দিয়েছেন শহরের আর এক নামী কনসালটেন্ট ডার্মাটোলজিস্ট চিকিৎসক জয়ন্তকুমার দাস। তার মতে, হ্যান্ড একজিমা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যেটা অনেকটাই যথেচ্ছ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের জন্য। পরামর্শ হিসেবে তিনি একদিকে যেমন গ্লিসারিন যুক্ত অ্যালকোহল–বেসড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলেছেন তেমনি জানিয়েছেন হাতের চামড়ার নরম ভাবটা বজায় রাখতে অন্য কিছু না পেলে যেন অবশ্যই নারকেল তেল ব্যবহার করা হয়। তার কথায়, স্যানিটাইজার ব্যবহারে হাতের চামড়া খরখরে হয়ে যায়। যেটা প্রতিরোধ করবে নারকেল তেল।
কোলেস্টেরল কমায় তরমুজ
প্রতিদিন এক টুকরো তরমুজ খেলে শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বা চর্বিগঠনে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এ ছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণেও তরমুজ বিশেষভাবে সাহায্য করে। আমেরিকার একদল গবেষক এমনটাই দাবি করেছেন। ডেইলি মেইলের রিপোর্টে জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে গবেষকরা কিছু ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালান। এ সময় ইঁদুরগুলোকে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার ও তরমুজ খেতে দেয়া হয়।
পরে দেখা যায়, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণের পরও ইঁদুরগুলোর রক্তে ক্ষতিকারক লিপোপ্রোটিন বা এলডিএলের পরিমাণ কম হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। রক্তে এলডিএল চর্বির ফলে ধমনিতে পানি জমে। ফলে মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। আমেরিকার পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, নিয়মিত তরমুজ খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রক্তে ক্ষতিকারক চর্বি রোধে তা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তরমুজের রসের মধ্যে যে রাসায়নিক উপাদান রয়েছে তার সাহায্যে এটি সম্ভব বলে তারা জানান।