যে মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন মামুনুল
মামুনুল - ছবি : সংগৃহীত
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ রোববার দুপুর ১টার দিকে তাকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়৷
২০২০ সালে মোহাম্মদপুর থানার একটি নাশকতা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ৷ তিনি বলেন, ‘হেফাজতের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা, থানায় হামলা, রেজিস্ট্রার অফিসে হামলা, ভাঙচুরসহ অনেকগুলো মামলা রয়েছে৷ এসব মামলার তদন্ত চলছে৷’
গত এক সপ্তাহে এই নিয়ে মামুনুল হকসহ হেফাজতে ইসলামের অন্তত আটজন নেতা গ্রেফতার হলেন৷ বর্তমানে হেফাজতের অনেক নেতাই আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানা গেছে৷
পরিস্থিতি মোকাবিলায় হেফাজতের নেতারা বৈঠক করেছেন বলে ডয়েচে ভেলেকে জানিয়েছেন হেফাজতের প্রচার সম্পাদক ও মুখপাত্র জাকারিয়া নোমান ফয়জী৷ আর রোববারের বিকেলে গোষ্ঠীটির ফেসবুক পেজে হেফাজতের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী বক্তব্য দেবেন বলে জানানো হয়েছে৷ তিনি জানান, বর্তমান পরিস্থিতিকে সাংগঠনিকভাবে ও আইনিভাবে মোকাবিলা করবে হেফাজতে ইসলাম৷ তবে, হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম এই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন৷
পুলিশ কর্মকর্তা হারুন বলেন, ‘সোমবার তাকে আমরা আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাইব৷ গত ২৬ ও ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে যে নাশকতার ঘটনা, পাশাপাশি ২০১৩ সালের ৫মে যে নাশকতা হয়েছে ওই সব মামলায়ও তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে৷’
তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ দিন ধরে তাকে নজরদারিতে রেখেছিলাম, পাশাপাশি ২০২০ সালে মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর-নাশকতার মামলা তদন্ত করছিলাম৷ তদন্তে ওই ঘটনায় সুস্পষ্ট সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷’
গত বছরের নভেম্বরে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে আলোচনায় আসেন মামুনুল হক৷ ভাস্কর্যটি এখনো স্থাপন করা হয়নি৷
মামুনুল হকসহ গত এক সপ্তাহে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি মোহাম্মদ জুনায়েদ আল হাবীব, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মাওলানা জুবায়ের আহমেদ, সহকারি মহাসচিব শাখাওয়াত হোসেন রাজী, আরেক সহকারী মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম অফেন্দি ও ফখরুল ইসলাম গ্রেফতার হয়েছেন৷ এদের মধ্যে ৫ জন বর্তমানে পুলিশের রিমান্ডে রয়েছেন৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে