স্মার্টফোন কেনার আগে যা জানা জরুরি
স্মার্টফোন - ছবি : সংগৃহীত
কথা বলা ছাড়াও ছবি তোলা, গান শোনা, মুভি দেখা, গেম খেলা, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ক্লাউডে সংরক্ষণ, ইন্টারনেট ব্রাউজিংসহ নানা কাজে আজকাল স্মার্টফোন ব্যবহার করছি আমরা। আর এ কারণেই এখন আপনার হাতে একটি স্মার্টফোন থাকলে আপনি চাইলে দীর্ঘক্ষণ কাটিয়ে দিতে পারেন অনায়াসে। তবে স্মার্টফোন কেনার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখুন। কী বিষয় বিবেচনায় রেখে নতুন স্মার্টফোন কিনবেন, সেই পরামর্শ নিয়ে লিখেছেন সুমনা শারমিন
ডিজাইন
স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এর ডিজাইন। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন রকম ডিজাইনের স্মার্টফোন রয়েছে। তাই আগে থেকেই মনস্থির করুন কোন ডিজাইনের স্মার্টফোন আপনার ভালো লাগে। নিজের ব্যক্তিগত চাহিদা এবং রুচি অনুযায়ী ডিজাইন পছন্দ করাই ভালো। স্মার্টফোনের স্থায়িত্বনির্ভর করে এর কাঠামোর ওপর। ধাতব ও প্লাস্টিক এ দুই কাঠামোর স্মার্টফোন বাজারে পাওয়া যায়।
ডিসপ্লে
একটি ভালো মানের স্মার্টফোনের সঙ্গে ভালো কোয়ালিটির ডিসপ্লে থাকা আবশ্যক। বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ স্মার্টফোনে ৫-৬ ইঞ্চি ডিসপ্লে দেখতে পাওয়া যায়। আপনি কত ইঞ্চির ডিসপ্লেসমৃদ্ধ স্মার্টফোন নেবেন এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার কর্মকাণ্ডের ওপর। আপনি যদি স্মার্টফোনে বেশি ভিডিও দেখতে বা গেম খেলতে পছন্দ করেন তাহলে আপনি বড় আকারের ডিসপ্লে নিতে পারেন। স্মার্টফোনের ব্যবহারের ওপরই ডিসপ্লের আকার বা রেজুলেশননির্ভর করে।
ক্যামেরা
বর্তমানে স্মার্টফোনের ক্যামেরাগুলো আগের থেকে অনেক বেশি উন্নত। এখনকার স্মার্টফোনে অনেক শক্তিশালী ক্যামেরা ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে। একসময় স্মার্টফোনের সামনে এবং পেছনে একটা ক্যামেরা দেখতে পাওয়া যেত। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ সংখ্যা বেড়েছে। আজকাল শুধু পেছনেই চারটা ক্যামেরা ব্যবহার হচ্ছে। বর্তমানে ১২৮ মেগাপিক্সেল পর্যন্ত ক্যামেরার স্মার্টফোন বাজারে পাওয়া যায়। স্মার্টফোনের ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবি কতটা ভালো বা খারাপ হবে তা অনেকাংশে অ্যাপারচার, সেন্সর, লেন্স ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে।
প্রসেসর
কম্পিউটারের মতো স্মার্টফোনেরও প্রধান প্রাণ হচ্ছে প্রসেসর। স্মার্টফোনের ডেটা দ্রুত প্রসেস করার জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী একটি প্রসেসর। প্রসেসর যত বেশি শক্তিশালী হবে এটি তত দ্রুত কাজ করতে সক্ষম হবে। একটি প্রসেসরের পারফরম্যান্সনির্ভর করে এতে থাকা ক্লক স্পিড, কোর সংখ্যাসহ আরো বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর। ইন্টেল, কোয়ালকম, স্যামসাং, হুয়াওয়ে, অ্যাপল, মিডিয়াটেকসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি স্মার্টফোনের জন্য প্রসেসর তৈরি করে থাকে। বর্তমানে পারফরমেন্স বিচারে কিন্তু এগিয়ে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন।
র্যাম
স্মার্টফোনে র্যাম যত বেশি হবে আপনার ফোনও তত ভালোভাবে চালাতে পারবে এবং ব্যাকগ্রাউন্ডেও আপনি অনেকগুলো অ্যাপ একসঙ্গে রান করাতে পারবেন। তবে বেশি র্যামের স্মার্টফোনগুলোর দাম একটু বেশি হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে স্মার্টফোনে স্মুথ পারফরমেন্স পেতে হলে আপনার ফোনে কমপক্ষে ৩ জিবি র্যাম থাকাটা আবশ্যক। বর্তমানে স্মার্টফোনগুলোতে ৬ থেকে ৮ জিবি পর্যন্ত র্যাম দেখতে পাওয়া যাচ্ছে অহরহ।
স্টোরেজ
স্মার্টফোনে রম বা স্টোরেজ স্থায়ী মেমোরি হিসেবে কাজ করে। এখানে মূলত অপারেটিং সিস্টেম ও এর অ্যাপস থাকে। বাকি অংশে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো স্টোর করে রাখতে পারবেন। বর্তমানে ৩২ জিবি স্টোরেজ থেকে শুরু করে ৬৪ বা ১২৮ জিবি স্টোরেজের স্মার্টফোন বাজারে মিলছে।
ব্যাটারি
স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে ব্যাটারি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেননা আপনি যত দামি স্মার্টফোন কিনেন না কেন এর ব্যাটারি ক্যাপাসিটি কম হলে সব কিছুই বৃথা যাবে। বর্তমানে বাজারে ৫ হাজার মিলিএম্পিয়ারের ব্যাটারির স্মার্টফোন দেখতে পাওয়া যায়।