সত্যসন্ধানী বাবা ফরিদ

মাহমুদুর রহমান | Apr 16, 2021 03:34 pm
বাবা ফরিদ

বাবা ফরিদ - ছবি : সংগৃহীত

 

‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি,

এই চোখ দুটো মাটি খেয়ো না
আমি মরে গেলেও তারে দেখার সাধ,
মিটবে না গো, মিটবে না’

প্রখ্যাত শিল্পী সদ্যপ্রয়াত অ্যান্ড্রু কিশোরের কণ্ঠে এই গানটি আমাদের অত্যন্ত পরিচিত। অ্যান্ড্রু কিশোর ছাড়া সাবিনা ইয়াসমিনও গেয়েছেন, যা শুনে মনে হয় প্রেমিক কিংবা প্রেমিকাকে দেখার আশায় মৃত্যুর পরও গায়ক বা গায়িকা অপেক্ষা করতে চান। তাই মাটির কাছে মিনতি করছেন সে যেন সারা দেহ খেয়ে গেলেও শুধু চোখ দুটো অক্ষত রাখে। অ্যান্ড্রু কিশোরের কণ্ঠে তুমুল জনপ্রিয় এই গানের কথাই আমরা এ আর রহমানের কম্পোজিশনে ২০১৩ সালে ইমতিয়াজ আলি পরিচালিত ‘রকস্টার’ সিনেমায়, মোহিত চৌহানের কণ্ঠ এবং রণবীর কাপুরের ঠোঁটে পাই। স্বভাবত আমাদের মনে হতে পারে গানটি বোধহয় বাংলা গানের নকল। কিন্তু আবিদা পারভিনের ‘ও হামসফর থা’ গজলেও আমরা একই কথা খুঁজে পাই এবং গানটি নাসির তোরাবি ১৯৭১ সালে লিখেছিলেন।

আদতে মূল লাইন দুটি হজরত ফরিদ উদ্দিন মাসউদ গঞ্জ-এ-শক্কর এর রচনা, যিনি বাবা ফরিদ নামেই অধিক পরিচিত। তিনি মূলত একজন সুফী কবি এবং ধর্ম প্রচারক। ত্রয়োদশ শতকের পাঞ্জাবে বাবা ফরিদ একটি পরিচিত এবং জনপ্রিয় নাম ছিল। পরবর্তীতে অনেক দিন তার নাম, রচনা ইত্যাদি আড়ালে পড়ে গেলেও তিনি বেঁচে ছিলেন তার রচনার মধ্য দিয়ে এবং তার কবিতাগুলো মিশে গিয়েছিল পাঞ্জাবের লোকগাথার সাথে। এমনকি উপর্যুক্ত দুটো লাইনও যে বাবা ফরিদের নিজস্ব সৃষ্টি, এমন নাও হতে পারে। তিনি নিজেই হয়ত লোকের মুখ থেকে নিয়েছিলেন। তবে একজন সুফীর রচনা হিসেবে এই লাইন দুটোকে দেখলে একে নারী পুরুষের প্রেমের আকুতি বলা চলে না। আসলে স্রষ্টার প্রেমে পাগল হয়ে তিনি বলছিলেন খাক যেন তার চোখ দুটি বাঁচিয়ে রাখে, কেননা তিনি তার স্রষ্টাকে দেখতে চান।

এহেন বাবা ফরিদের জন্ম পাঞ্জাবে। মুলতান থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে কোঠিয়াল গ্রামে। তার জন্ম সাল এবং স্থান নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতান্তর রয়েছে। তবে মনে করা হয় তার জন্ম ১১৭৩-৭৪ খ্রিষ্টাব্দে। জামালউদ্দিন সুলেমান এবং মরিয়ম বিবির এই সন্তান যেদিন জন্ম নেন, কথিত আছে, এক দরবেশ সেদিন বলেছিলেন, ‘আজ এক শুদ্ধ আত্মা পৃথিবীতে এসেছে সুলেমানের ঘরে। আমরা তখনই রোজা ভাঙব যখন এই শিশু প্রথম দুগ্ধপান করবে।’

বাবা ফরিদের ছেলেবেলা সম্পর্কে আরও একটি গল্প প্রচলিত আছে। অন্যদের মতো বাবা ফরিদেরও শিক্ষা শুরু হয়েছিল মায়ের কাছে। তার মা খুব অল্প বয়স থেকেই তাকে নামাজ আদায় করতে উৎসাহ দিতেন। বাবা ফরিদ তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘নামাজ আদায় করলে আমি কী পাবো?’ মা উত্তর করেছিলেন, ‘তুমি এক টুকরো করে আখ পাবে।’ এরপর থেকে মরিয়ম বিবি প্রতি ওয়াক্তে ফরিদের জায়নামাজের নিচে একটি করে আখের খণ্ড রেখে দিতেন। একদিন তিনি কাজটি করতে ভুলে গিয়েছিলেন। কিন্তু নামাজ শেষ করে ফরিদ ঠিকই আখ পেয়েছিল। কিংবদন্তী অনুসারে এই ঘটনার কারণে ফরিদের নামের সঙ্গে ‘শক্কর গঞ্জ’ যুক্ত হয়। কিংবদন্তী যা-ই বলুক, ধরে নেয়া যেতে পারে ওই অঞ্চলে আখের চাষের কারণে এলাকাটির নাম ‘শক্কর গঞ্জ’ হয়েছিল এবং বাবা ফরিদের পরিচয় নির্দিষ্ট করতে নামের সাথে এলাকার নাম যুক্ত হয়।

ফরিদ উদ্দিনের ধর্মীয় গুরু ছিলেন বিখ্যাত দরবেশ কুতুব উদ্দিন বখতিয়ার কাকী। কুতুব উদ্দিন যখন বাগদাদ থেকে দিল্লি ফিরছিলেন তখন মুলতানে তার সঙ্গে শেখ ফরিদের পরিচয় হয়। শেখ ফরিদ তখন থেকেই কুতুব উদ্দিনের প্রজ্ঞা এবং শিক্ষায় প্রভাবিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে শেখ ফরিদ নিজেই দিল্লিতে গমন করেন এবং বখতিয়ার কাকীর মৃত্যুর পর বলা চলে তাঁরই স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি ধর্ম এবং অন্যান্য বিষয়ে প্রজ্ঞা অর্জন করেন। আসলে শেখ ফরিদের রক্তেই ধর্ম, জ্ঞানার্জন এবং ধর্ম প্রচারের বীজ ছিল।

বাবা ফরিদ মূলত ওমর ইবনুল খাত্তাবের উত্তরপুরুষ। ফরিদের নিকটতম পূর্বপুরুষেরা ফারগানার (সম্রাট বাবরের পিতৃভূমি) ‘উশ’ অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিলেন। পরবর্তীতে ১১২৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে গজনবী সুলতানদের সময়ে লাহোরে আসেন। কিন্তু ওই সময়ের রাজনৈতিক অবস্থা, উত্থান পতনের কারণে লাহোর তাদের কাছে বসবাসের অনুপযুক্ত মনে হওয়ায় তারা লাহোর থেকে মুলতানে সরে আসেন।
কুতুব উদ্দিন বখতিয়ার কাকীর সঙ্গে যখন শেখ ফরিদের সাক্ষাৎ হয় তখন তিনি বাগদাদ থেকে প্রত্যাবর্তন করছিলেন সেকথা আগে বলা হয়েছে। এই সময় থেকে তার সংসর্গে থাকার কারণে বাবা ফরিদের মাঝে কুতুব উদ্দিনের প্রভাব পড়তে শুরু করে। বাগদাদ ভ্রমণের কারণেই হয়ত বখতিয়ার কাকীর মধ্যে মনসুর হাল্লাজের প্রভাব পড়েছিল। একই কারণে ফরিদের মধ্যেও এই প্রভাব পড়ে। পাশাপাশি সেই সময়েই খাজা মঈন-উদ-দ্বীন চিশতীও বাগদাগে ছিলেন। চিশতীর মত, দর্শনে খোদ বখতিয়ার কাকী প্রভাবিত হন এবং তিনি চিশতীর সঙ্গী হয়ে দিল্লি যাত্রা করেন। অর্থাৎ, বখতিয়ার কাকী, মঈন-উদ-দ্বীন চিশতী এবং শেখ ফরিদ একত্রিত হয়েছিলেন। চিশতিয়া তরিকা সৃষ্টি, প্রচার প্রসারে শেখ ফরিদেরও অবদান ছিল।

তবে চিশতিয়া তরিকার চেয়ে নিজের রচনার জন্য শেখ ফরিদ বেশি পরিচিত এবং সেসব রচনার বেশরভাগই কবিতা। ত্রয়োদশ শতকের আরও অনেক সুফী, দরবেশ, কবির মতো তার রচনাও হারিয়ে গিয়েছিল। পরে সেগুলি উদ্ধার করা হয়। অবশ্য বাবা ফরিদের হারানো সম্ভব ছিল না কেননা তার কবিতা হিন্দু, মুসলিম, শিখ সব ধর্মের মানুষের কাছেই সমাদৃত হয়েছিল। গণ মানুষের কাছ থেকে পাওয়া এই ভালোবাসার বাইরে সাহিত্যের বিচারেও বাবা ফরিদের রচনা মূল্যবান। তার সমসাময়িক বা পরবর্তী সময়েও যারা কবিতা রচনা করেছেন তাদের লেখায় হিন্দি, ফারসি, তুর্কি শব্দ প্রবেশ করেছে বা তারা সেভাবেই লিখতে চাইতেন। কিন্তু বাবা ফরিদ তা করেননি। তিনি পাঞ্জাবি ভাষাতেই কাব্য রচনা করেছেন। যে মানুষের কাছে তিনি তার বাণী প্রচার করেছেন, সে মানুষের কাছে যে ভাষা পরিচিত তিনি সে ভাষাতেই লিখেছেন। যেমন, যে দুটো লাইন দিয়ে আমরা শুরু করেছিলাম, সেটি মূলত

‘কাগা কারাঙ্গ ধাদোলিয়া সালাঙ্গ খাইয়ো মাস
অ্যায় দো ন্যেয়না মাত চোচো পিয়ে মিলান কী আঁস।’

কখনো কখনো বাবা ফরিদকে পাঞ্জাবি সাহিত্যের পিতৃপুরুষ বলা হয়ে থাকে। বাবা ফরিদ শ্লোক তৈরি করতে শুরু করার আগে পাঞ্জাবি সাহিত্যে কিছু স্থানীয় গাথা এবং গীতিকাব্য ছাড়া তেমন আর কিছুই ছিল না। তার কবিতা রচনার মধ্য দিয়ে এই ভাষা ধীরে ধীরে পুষ্টি লাভ করতে শুরু করে। এর অনেক পরে বুল্লে শাহর মতো আরও অনেক কবির হাতে পাঞ্জাবি ভাষা এবং কবিতা ঋদ্ধ হয়। সে হিসেবে বাবা ফরিদ পাঞ্জাবি ভাষার একদম শিশু অবস্থায় এই ভাষায় কাব্য রচনা করে এ ভাষায় নতুন প্রাণসঞ্চার করেছিলেন। এর পাশাপাশি বাবা ফরিদের রচনায় ছিল গভীর দর্শন। সূফী প্রভাবের পাশাপাশি মানুষের মনের দ্বিধা দ্বন্দ্ব থেকে শুরু করে প্রেম, সবকিছুই তার কবিতায় ছিল। তবে সবচেয়ে বেশি ছিল সত্যের অনুসন্ধান। আগেই বলা হয়েছে, তিনি মনসুর হাল্লাজের দর্শনে প্রভাবিত ছিলেন। তার কিছু কবিতায় আত্ম অনুসন্ধানের মাধ্যমে পরম সত্য তথা স্রষ্টাকে খোঁজা হয়েছে। বাবা ফরিদ লেখেন,

‘কালা ম্যেয়দা কাপড়া তে কালা ম্যেয়দা ভইসু
গুনাহ ভারেয়া ম্যেয় ফিরু, লোগ কাহে দরবিসু’

‘আমার পোশাক কালো কিন্তু এরচেয়ে কালো আমার কর্ম। সেই কর্মকে আড়ালে রেখে চলি, আর লোকে বলে এ তো দরবেশ।’ অর্থাৎ, বাবা ফরিদ নিজেকে দরবেশ মনে করেন না। তার মতে তিনি এমনই এক পাপী যে জীবনে অনেক পাপ করেছে। কিন্তু সে সব লোকের চোখে পড়ে না। তারা বাহ্যিক গুণ দেখেই ফরিদকে দরবেশ মনে করেন। ফরিদ নিজে মনে করেন, তার আরও অনেক শুদ্ধি অর্জন করার আছে তবেই তিনি সত্য লাভ করবেন। সে জন্য তাকে অনেক দূর যেতে হবে। বাবা ফরিদের ভাষায়,

এখনও আমার গন্তব্য বহু দূরে, সে গলিপথ কর্দমাক্ত
নামলে পোশাক নোংরা হবে, নাহলে বন্ধন ভেঙে যাবে

তিনি ধার্মিক, ধর্মভীরু ছিলেন। স্রষ্টাকে ভালোবাসতেন কিন্তু তিনি ধর্মান্ধ ছিলেন না। অন্যান্য সুফীদের মতো তিনিও স্রষ্টাকে খুঁজতেন ধর্মের ঊর্ধ্বে গিয়ে। তিনি জানতেন, এই অনুসন্ধানের মধ্য দিয়েই তার মৃত্যু হবে। তাই লিখেছিলেন, ‘এই ধূলির মতো আর কিছু নেই। বেঁচে থাকলে পায়ের নিচে থাকে আর মৃত্যুর পর এই ধুলায় মিশে যাই আমরা।’

তিনি মানুষকে লোভ থেকে সরে আসতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যেখানে লোভ থাকে সেখানে ভালোবাসা কখনও থাকতে পারে না। প্রেম সেখানে মিথ্যা।’ তিনি মানুষকে জানাতে চেয়েছেন দৈনন্দিন জীবনে বিলাসের বাইরেও অনেক কিছু করার আছে এবং মানুষ সেখানেই নিজেকে অন্য প্রাণী থেকে আলাদা করে তোলে। স্রষ্টা এবং তার সৃষ্টির প্রতি মানুষের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েই তারা এই পৃথিবীকে সুন্দর করে তুলতে পারে। সেখানে কখনো কখনো ব্যক্তিগত সুখ বিসর্জন দিতে হয়। কৃচ্ছ্রতা সাধন করতে হয়। কিন্তু দুনিয়ার বেশির ভাগ মানুষই বিলাসে মত্ত থাকে এবং তাদের মাধ্যমেই পৃথিবীতে নানা অশান্তি শুরু হয়। তারা নিজেরা কখনো সুখ লাভ করে না। সম্ভবত তৎকালীন দিল্লির শাসকদের বিলাসী এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনের অবস্থা দেখে তিনি এসব বলেছিলেন। তার ভাষায়,

‘শুষ্ক কাষ্ঠই আমার রুটি, কেননা ক্ষুধা আমার জন্য লবণের কাজ করে দেয়
আর যারা মাখনে মাখা রুটিতে ভোজ উৎসব করে, তারা একদিন ফল ভোগ করবে।’

শেখ ফরিদ উদ্দিন মাসউদ গঞ্জ-এ-শক্কর তথা বাবা ফরিদের প্রভাব কতটা ছিল বা তিনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন তা বোঝা যায় যখন আমরা জানতে পারি তার কথা এমনকি আবুল ফজলের ‘আইন-ই-আকবরি’তেও উল্লিখিত আছে। এখানেই শেষ নয়। বাবা ফরিদের কবিতা বা শ্লোক যা-ই বলি না কেন, সেগুলোর গভীর দর্শন, ঈশ্বর আরাধনার ভাবের কারণে শিখ গুরু অর্জুন দেব একশর অধিক শ্লোক ‘গ্রন্থ সাহিব’-এ অন্তর্ভুক্ত করেন। এমনকি খোদ গুরু নানক, বাবা ফরিদের কবিতা এবং দর্শনের ভক্ত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে বাবা ফরিদকে নিয়ে ছোট বড় গবেষণা হয়েছে। বাবা ফরিদের কবিতা সংকলনের ইংরেজি অনুবাদ করে রাণা নায়ের ২০০৭ সালে সাহিত্য অকাদেমির গোল্ডেন জুবিলি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। পাঞ্জাবের ফরিদকোট শহরটি তার নামেই নামকরণ করা হয়েছে। সেখানে তার নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এমনকি পাকিস্তানের শাহিওয়ালেও বাবা ফরিদের নামে মাদরাসা রয়েছে।

জীবনের শেষ সময়টা বাবা ফরিদ আজোদানে চলে যান। দাস বংশের শাসনের সময়কার ভারতের অবস্থা এতো খারাপ হয়ে যায় যে অনেকেই দিল্লি থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলে যেতে থাকেন। বাবা ফরিদ যে জায়গাটিতে অবস্থান করেছিলেন সেটি বর্তমানে পাকিস্তানের পাকপাটন এবং সেখানেই ১২৬৬ খ্রিষ্টাব্দে তার মৃত্যু হয়। পাকপাটনেই তার মাজার অবস্থিত। এখনো বহু ভক্ত সেখানে যান এবং তার মাজারে ফুল, চাদর প্রভৃতি দিয়ে ভক্তি নিবেদন করেন। তবে বাবা ফরিদ মূলত বেঁচে আছেন তার অসামান্য সব কবিতার মধ্যে দিয়ে যার কিছু কিছু দেশ কালের সীমানা পেরিয়ে গেছে। সে উদাহরণ তো এই লেখার শুরুতেই দেয়া হয়েছে। এছাড়া না বললে একটা জিনিস বাদ থেকে যাবে যে বাবা ফরিদের মতো সুফী, দরবেশ, কবিদের জীবন থেকে আমাদের সবচেয়ে বড় যে শিক্ষাটা নেওয়া উচিত, তা হলো ধর্মীয় বিভেদ ভুলে সম্প্রীতি তৈরি করা। তারা বারবার বলেছেন সহিংসতা না করে প্রেমের পথে চলতে। প্রতি-প্রহার করা থেকে বিরত থাকতে।

শেখ ফরিদ বলেন, ‘ফরিদ, যে তোমাকে আঘাত করে তাকে প্রত্যাঘাত করো না। মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না।’


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us