ভারতে করোনার দেশী স্ট্রেন! ছড়াতে পারে ১৫ ভাবে
ভারতে করোনার দেশী স্ট্রেন! ছড়াতে পারে ১৫ ভাবে - ছবি : সংগৃহীত
ভারতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে কোভিড-১৯। মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নজিরবিহীনভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু' লাখ ছাড়াল। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু' লাখ ৭৩৯। মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৩৮ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৩ হাজার ৫২৮ জন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৪০ লাখ ৭৪ হাজার ৫৬৪। নিরিখে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৬ হাজার ১৭৩ থেকে ১৪ লাখ ৭১ হাজার ৪৭৭ এ পৌঁছতে কয়েকদিন মাত্র সময় নিয়েছে কোভিড। এই প্রথম এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দু লাখ অতিক্রম করল। যদিও এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক কোটি ২৪ লাখ ২৯ হাজার ৫৬৪ জন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। গত ৫ এপ্রিল নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক লাখ ৩ হাজার ৫৫৪। ১০ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮৪ জন। ১৪ এপ্রিল অর্থাৎ বুধবার সেই সংখ্যাটা পৌঁছয় এক লাখ ৮৪ হাজার ৩৭২ এ। আজ অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল দু লাখের সীমানা পেরিয়ে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত বছরের তুলনায় এবারের সংক্রমণের গতি অনেকটাই বেশি। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, এবারে আরো ভয়ংকর চিত্র দেখতে চলেছে ভারত।
দিল্লি, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে দ্রুত গতিতে বাড়ছে মহামারী। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র রাজধানী নয়া দিল্লিতে সংক্রমিত হয়েছেন ১৭ হাজার ২৮২ জন। মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি এতটাই ভয়ংকর যে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছে শিবসেনা সরকারকে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও পরিস্থিতিও দিন দিন শঙ্কা বাড়াচ্ছে। বুধবার নবান্ন জানায়, ওই দিন পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২৪। মঙ্গলবার রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ হাজার ৮১৭ জন, মৃত্যু হয়েছিল ২০ জনের। মাত্র এক দিনে সেই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১ হাজার। এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ৩২ হাজার ৬২১ জন। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৩০ হাজার ১১৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৪৫৮ জনের। কমছে রাজ্যের সুস্থতার হারও। এই মুহূর্তে রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৩.১৬ শতাংশ।
বর্তমানে দেশী স্ট্রেন বা ডাবল মিউট্যান্ট চিকিৎসকদের মাথাব্যথার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রিটেন এবং ব্রাজিল স্ট্রেনের হাইব্রিড। জানা গেছে, ওই স্ট্রেন ১৫ রকম কায়দায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। এদিকে সার্বিকভাবে প্রায় ৫ হাজার মিউটেশন ঘটিয়েছে করোনা। ফলত পরিস্থিতি যে ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে তা বলাই বাহুল্য।
সূত্র : এই সময়