তাইওয়ান দখল করে নেবে চীন!
চীনা ট্যাঙ্ক - ছবি : সংগৃহীত
গত মার্চের শুরুতে পেন্টাগন জানায়, তাইওয়ান দখল করতে চায় চীন। যুক্তরাষ্ট্রের কারণেই চীন এখনো অগ্রসর হয়নি।’ তবে যেকোনো প্রকারে তাইওয়ান দখল করবেই বলে সূত্রের খবর। রয়টারের খবরে প্রকাশ, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং তার ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন, চীনারা টার্গেট পূরণ করবেই। ‘তাইওয়ানকে অবশ্যই নিজ ভূখণ্ডের সাথে একীভূত করা হবে।’
চীনের সামরিক শক্তির সাথে লড়তে তাইওয়ান দূরপাল্লার মিসাইল এবং শক্তিশালী সাইবার ডিফেন্স তৈরি করছে। বিগত ছয় মাসে তিনটি ঘটনায় তাইওয়ানের ছয়টি ফাইটার জেট আকাশে নিজেদের জেটের সাথে ধাক্কা লেগে পুড়ে বিনষ্ট হয়েছে। ফাইটার জেটের জন্য এসব বিরল ঘটনা। ধারণা করা হচ্ছে, চীন উচ্চ প্রযুক্তির জ্যামিং সিস্টেম ব্যবহার করে ফাইটার জেটের গতিপথ ও অটোপাইলট নিয়ন্ত্রণ করেছে।
তাইওয়ান সম্প্রতি চীনে আঘাত করতে সক্ষম, মিসাইল তৈরি করছে। সেনাবাহিনীকে আধুনিকীকরণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দিচ্ছে। তাইওয়ান খুব দ্রুত সেনাসংখ্যা বৃদ্ধি করছে। তাইওয়ান ঘোষণা দিয়েছে, যদি চীন তাইওয়ানের দংসু উপদ্বীপে কোনো বিমান পাঠায় তবে কোনো সাবধানবাণী ব্যতিরেকে তা ধ্বংস করে দেয়া হবে। তাইপের এসব সামরিক নির্মাণকে বেইজিং নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করছে। এখন চীনা রনতরী তাইওয়ানের কাছাকাছি অবস্থান করছে। চীনের প্রথম বিমানবাহী কেরিয়ার ও আরো পাঁচটি যুদ্ধজাহাজের ফ্লোটিলা তাইওয়ানের জলসীমার পূর্বে গত ৯ এপ্রিল থেকে সপ্তাহের জন্য মহড়া প্রদান করেছে। গত শনিবার জাহাজগুলো মিয়াকো প্রণালী অতিক্রম করলে জাপানি সেনাবাহিনী তা প্রত্যক্ষ করে। ওকিনাওয়া থেকে মিয়াকো প্রণালী ১৩০ নটিকেল মাইল চওড়া ও জাহাজ চলাচলের জন্য বেশ উপযোগী।
প্রয়োজনে তাইওয়ানের সামরিক স্থাপনায় আঘাত করার জন্য চীন চারপাশে ব্যুহ রচনা সম্পন্ন করেছে। তবে চীন তাইওয়ানে কোনো সামরিক ব্যবস্থা নিতে চায় না। সেখানে চীনপন্থী তাইওয়ানি রয়েছে যারা চীনের সাথে কাজ করতে আগ্রহী। চীন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাইওয়ান কোনো স্বাধীনতার পদক্ষেপ নিলে সেটি হবে তাইওয়ানের শেষ দিন।
চীনের বহু মিসাইল যার রেঞ্জ এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৬০০ কিলোমিটারের বেশি, তাইওয়ানের কৌশলগত এলাকার দিকে তাক করা আছে। যুদ্ধের প্রথম দফায় চীন মিসাইল আক্রমণ করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিক সেন্টারের মতে, চীনা মিসাইল বিশ্বের সবচেয়ে সঠিকভাবে লক্ষ্য চিহ্নিত করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম। এ জন্য তাইওয়ান ও তার মিত্ররা শক্তিশালী বলয় তৈরি করতে চায়। ফোর্বস জানিয়েছে, এরই মধ্যে তাইপে অ্যান্টি শিপ মিসাইল বানিয়েছে যার সহায়তায় যুদ্ধরত অর্ধেক চীনা জাহাজ ডুবিয়ে দেয়া যাবে। গত বছরই তাইওয়ান ২.৪ বিলিয়ন খরচ করে ৪০০ বোয়িং হারপুন মিসাইল, ১০০ ট্রাক লঞ্চার এবং ২৫টি মোবাইল রাডার কিনেছে। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট দেশে স্কাই বো-৩ সুপারসনিক মিসাইল তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন যার মাধ্যমে ভূমি ও সাগরের লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করা যায়। যুক্তরাষ্ট্র প্যাট্রিয়ট ও এফ-১৬ বিমান প্রস্তুত রেখেছে তাইওয়ানকে সহায়তার জন্য।