করোনায় মুখগহ্বরে দেখা দিচ্ছে ৪ সমস্যা!

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Apr 11, 2021 03:13 pm
করোনায় মুখগহ্বরে দেখা দিচ্ছে ৪ সমস্যা!

করোনায় মুখগহ্বরে দেখা দিচ্ছে ৪ সমস্যা! - ছবি সংগৃহীত

 

করোনাভাইরাস হয়েছে তা বোঝার প্রাথমিক উপসর্গ এত দিন ছিল শুধুমাত্র স্বাদ, গন্ধ চলে যাওয়া। পাশাপাশি, জ্বর সর্দি কাশি তো রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে মুখগহ্বরে আরো একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

অ্যাসিমটোমেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে উপসর্গগুলোর দিকেই মূলত নজর দেয়া হয়। দেখা গিয়েছে, ৬০ শতাংশ রোগীর মধ্যে উপসর্গগুলো প্রকট। ওই উপসর্গের তালিকায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংযোজন হয়েছে আরো একাধিক লক্ষণ।

শুকনো মুখগহ্বর : মুখের ভিতর ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে। ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। মুখের ভিতর যে লালাক্ষরণ হয়, যা মুখের ভিতরের বাজে ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে দেয়, ওই ক্ষমতা হারিয়ে যাচ্ছে। লালাক্ষরণ হচ্ছে না। যার ফলে মুখের ভিতর শুকিয়ে যাচ্ছে। এই লক্ষণ যদি আপনারও দেখা দেয় তাহলে দ্রুত কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নেয়া বাঞ্ছনীয়।

মুখের ভিতর ঘা : যদি মুখের ভিতর গালের ওপর ঘা হয় ও তার দরুণ বাজে গন্ধ হয় মুখে, তাহলেও খুব আশঙ্কা রয়েছে দ্বিতীয় করোনার ঢেউয়ে আক্রান্ত আপনি। কারণ, করোনার মিউটেন্টের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এই মারাত্মক ভাইরাস মুখের ভিতর মাসেল ফাইবারগুলোকে আঘাত করছে। শুধু ঘা নয়, মুখের ভিতর বেশ কিছু অংশ ফুলে উঠেছে ও ব্যথা অনুভব হচ্ছে। মুখের ভিতর আলসার হয়েছে বলে অবজ্ঞা করবেন না। যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করুন।

জিভের উপর জ্বালা : করোনা হলে জিভের ওপর জ্বালা ভাব দেখা দিচ্ছে। ত্বকের উপর সমস্যা আসছে।

জিভের রঙ বদল : করোনাভআরিাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে যে সমস্যা হচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম জিভের রঙ বদল। সাধারণত, শরীরে রোগ বাসা বাঁধলে জিভ তার রূপ বদলায়। এক্ষেত্রেও তাই হয়। পাশাপাশি মুখের ভিতর সমস্যা অনুভুতি হচ্ছে। এক্ষেত্রে শরীরে যদি কোনো অসুবিধা না থাকে, কিন্তু জিভের রঙ বদলে যায়, তাহলে খেয়াল রাখুন। দ্রুত কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নেয়া যথাযথ।

সূত্র : জি নিউজ

পভিডিন আয়োডিনে করোনামুক্তি!
এক শতাংশ পভিডিন আয়োডিনের মিশ্রণ নিয়ে ৪ ঘণ্টা পরপর কুলি এবং এই মিশ্রণের কয়েক ফোঁটা নাকে ও চোখে প্রয়োগ করলে ব্যবহারকারী করোনাভাইরাস পজিটিভ থেকে দ্রুত নেগেটিভ হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের ডা: ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী ও তার পাঁচ সহযোগী চিকিৎসকের গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে আক্রান্তের মৃত্যুর আশঙ্কা কমে যাচ্ছে, তাদের অক্সিজেনও কম প্রয়োজন হচ্ছে।


এ বিষয়ে গবেষণার প্রধান ডা: ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গত ১৫০ বছর ধরে পৃথিবীতে পভিডিন আয়োডিন অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এখন এটি প্রমাণিত হয়েছে যে বিভিন্ন ঘনত্বের পভিডিন, আয়োডিন করোনাভাইরাসকে অকার্যকর দিতে পারছে।

ডা: ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী ও তার দলের পরামর্শে বাড়িতে অবস্থান করে চিকিৎসাটি যারা নিয়েছেন তাদের মোটসংখ্যা ছিল এক হাজার ১১৩ জন। এরা সবাই করোনা আক্রান্ত ছিলেন। এদের মধ্যে থেকে ৬০৬ জনকে বাছাই করা হয় দৈবচয়নের ভিত্তিতে। এই ৬০৬ জন করোনা পজিটিভ রোগীকে একই রকমভাবে দৈব চয়নের মাধ্যমে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এক ভাগে ৩০৩ জন রোগীকে ১০ শতাংশ পভিডিন আয়োডিন মিশ্রিত পানি দিয়ে চার সপ্তাহ ধরে কুলি করানো হয় ৪ ঘণ্টা পরপর। এই রোগীদের নাকে ও চোখেও একই মিশ্রণের ড্রপ দেয়া হয় একইভাবে চার সপ্তাহ ধরে। অন্য ৩০৩ জনকে একইভাবে ৪ ঘণ্টা পরপর চার সপ্তাহ ধরে কুসুম গরম পানি দিয়ে কুলি করানো হয়। দুই গ্রুপের ৬০৬ জনকে একই সাথে লক্ষণভিত্তিক ওষুধ ও চিকিৎসা দেয়া হয়। দুই গ্রুপের সবারই প্রতি তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম দিন আরটি পিসিআর পরীক্ষা করানো হয়। দুই গ্রুপের সব রোগীরই একই সাথে চতুর্থ সপ্তাহে থাইরয়েড হরমোন লেবেল টিএসএইচ, টি৩, এফটি৪ পরীক্ষা করা হয়।

ডা: ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ৩০৩ জনের যে গ্রুপটিকে ১ শতাংশ পভিডিন আয়োডিন দেয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে দ্রুত অসুস্থতা দূর হয়ে তারা করোনা নেগেটিভ হন। তাদের মধ্যে মৃত্যুহারও হ্রাস পায়।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us