যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি বদলে দিচ্ছে তুরস্কের সশস্ত্র ড্রোন
যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি বদলে দিচ্ছে তুরস্কের সশস্ত্র ড্রোন - ছবি সংগৃহীত
তুরস্কের বিশ্ব নন্দিত সশস্ত্র ড্রোন লিবিয়া ও আজারবাইজান যুদ্ধে বিপুল প্রভাব বিস্তার করেছে। তুরস্ক থেকে হাজার মাইল দূরে সংগঠিত এ যুদ্ধের গতিপ্রকৃতিকে দেশটির স্বার্থের অনুকূলে এনেছে এ ড্রোন। এ কারণেই তুরস্ক নির্মিত এ বিশ্ব নন্দিত ড্রোন এখন আন্তর্জাতিক গণ-মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। নতুন এক রিপোর্টে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ এ তথ্য জানিয়েছে।
তুরস্কের তৈরী বায়কার কোম্পানির টিবি-২ ড্রোন আজারবাইজান ও ত্রিপলিভিত্তিক লিবিয়া সরকারের পক্ষে বিপুল ভূমিকা রাখে। এ দু’দেশই তুরস্কের মিত্র। ব্লুমবার্গের এ প্রতিবেদনে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পে উন্নতির কথাও বলা হয়েছে।
তুরস্কের ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারের কৌশলগত ব্যবহার সমগ্র বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। তুরস্কের এ সাম্প্রতিক সাফল্যের আলোকে অনেক দেশ তাদের সামরিক কৌশল ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঠেলে সাজাচ্ছে। লিবিয়া, সিরিয়া ও নাগোরনো-কারাবাখের যুদ্ধক্ষেত্রে সাফল্যের কারণে তারা এমনটি করছে। এমনকি যুক্তরাজ্যও এখন এ তুর্কি মডেলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অনুকরণ করছে। যুক্তরাজ্য ন্যাটো প্রতিরক্ষা বাহিনীতে তুরস্কের ভূমিকারও প্রশংসা করছে।
বায়ার আখতার টিবি-২ ড্রোন তুরস্কের প্রতিরক্ষা কোম্পানি বায়কার টেকনোলজি তৈরী করেছে। তুরস্কের সেনাবাহিনী এ ড্রোনটি ২০১৫ সাল থেকে ব্যবহার করছে। আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে আজারবাইজান সরকারের কারাবাখ যুদ্ধের সাফল্যের মূল কারণ বলে মনে করা হয় এ ড্রোনকে। লিবিয়া ও কারাবাখ যুদ্ধে এ ড্রোনের ব্যবহারকে নতুন ধরনের যুদ্ধ প্রযুক্তির সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
সূত্র : ইয়েনি সাফাক
ইসরাইলকে বয়কট করার আইন বাতিল করল সুদান
ইসরাইলকে বয়কট করার একটি আইন বাতিল করেছে সুদান। ওই আইনে ইসরাইলকে বয়কট করার বিষয়টির স্বীকৃত ছিল। যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীন হবার পর থেকেই ইসরাইল ওপর এ আইনটি আরোপ করে সুদান। মঙ্গলবার সুদানের মন্ত্রী পরিষদ এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে বলে আনাদোলু এজেন্সি তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, সুদানের মন্ত্রী পরিষদ আজ তাদের সভায় একটি নতুন আইন প্রণয়ন করেছে। এ আইনের মাধ্যমে ১৯৫৮ সাল থেকে ইসরাইলের ওপর বয়কটের বিষয়ে যে আইন ছিল তা বাতিল করা হয়েছে।
এ বিবৃতিতে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে যে ফিলিস্তিনি ইস্যু সমাধানে সুদান সবসময় সক্রিয় থাকবে। সুদানের মতে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমে এ ইস্যুর নিষ্পত্তি হবে।
এ বিবৃতিতে এ বিষয়টিও উল্লেখ করা হয় যে এ আইনটি তখনই প্রয়োগ করা হবে যখন চূড়ান্তভাবে এ আইনটি মন্ত্রিসভা ও সার্বভৌম পরিষদ কর্তৃক স্বীকৃত হবে।
সুদান গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ইসরাইলের সাথে তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করে। এ স্বীকৃতিদানের পর যুক্তরাষ্ট্র সুদানকে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্রের তালিকা থেকে বাদ দেয়।
সূত্র : মিডল ইস্ট মিরর