কতটা ভয়াবহ জাপানের নতুন স্ট্রেইন ‘ইক’

অন্য এক দিগন্ত | Apr 06, 2021 07:28 am
কতটা ভয়াবহ জাপানের নতুন স্ট্রেইন ‘ইক’

কতটা ভয়াবহ জাপানের নতুন স্ট্রেইন ‘ইক’ - ছবি : সংগৃহীত

 

মাত্র কয়েক মাস পরই জাপানে শুরু হচ্ছে অলিম্পিক গেমস। আর তার আগে ওই দেশের চিকিৎসকদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে করোনাভাইরাসের নয়া স্ট্রেইন। ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় আগেই করোনার নয়া রূপের তাণ্ডবে নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এবার জাপানে খোঁজ মিলল আর এক স্ট্রেইনের। গবেষকরা তার নাম দিয়েছেন ইক। গত মাসেই টোকিও হাসপাতালে প্রথম এই ইকের অস্তিত্ব নজরে পড়ে চিকিৎসকদের। জানা গেছে, মার্চে টোকিও হাসপাতালে যতজনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশ রোগী ইক স্ট্রেইনে সংক্রামিত হয়েছেন। দেশজুড়ে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিশ্চিন্ত হওয়ার জায়গা নেই। কারণ জানা গেছে, টিকার প্রয়োগে মানুষের শরীরে যে রক্ষাকবচ গড়ে ওঠে, তাতেই আঘাত হানছে ইক।

জাপানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মার্চ মাসে টোকিও মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তাদের মধ্যে ১০ জনের শরীরে নয়া স্ট্রেইন ইক সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তবে শুধু মার্চ নয়। ফেব্রুয়ারিতেও দু’জনের শরীরে নয়া এই স্ট্রেইনের অস্তিত্ব মিলেছে। গত দুমাসে ৩৬ জন আক্রান্তের মধ্যে ১২ জন ইক স্ট্রেইনে আক্রান্ত বলে জানা যাচ্ছে।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, নয়া স্ট্রেইনের উৎপত্তি হয়েছে জাপানেই। কারণ গত দু’মাসে আক্রান্তদের কেউ বিদেশে সফর করেননি। আর তাদের কেউই পরস্পরের সংস্পর্শে আসেননি। তাহলে বাইরে থেকে নয়া স্ট্রেইন টোকিওয় ঢোকার কথা নয়। কাজেই করোনা ভাইরাস টোকিও শহরেই রূপ বদলেছে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

এহেন পরিস্থিতিতে আগামী জুলাই মাসেই দেশে শুরু হচ্ছে অলিম্পিকস। জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সাধারণের মধ্যে টিকাকরণ পুরোপুরি শুরু হয়নি। তাই নয়া স্ট্রেইন যদি দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায় তাহলে ওলিম্পিকস শুরুর আগে কীভাবে তার মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়েই জাপানের স্বাস্থ্য বিভাগের কপালে ভাঁজ পড়েছে।

সূত্র : বর্তমান

ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়ে গেল
ফের বাড়ছে আতঙ্ক। লাগাতার উর্ধ্বমুখী কোভিড সংক্রমণের গ্রাফ। চলতি বছরে প্রথমবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষের গণ্ডি টপকে গেল। যা রেকর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৩ হাজার ৫৫৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪৭৮ জন রোগীর। অন্যদিকে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৪৭ জন। ভারতে মোট আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ২৫ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৭ জন মানুষ। সুস্থ হয়েছেন মোট ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৮২ হাজার ১৩৬ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭ লক্ষ ৪১ হাজার ৮৩০ জন। মোট মৃত ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ১০১ জন। গতকাল পর্যন্ত দেশে এই রোগের মোট টিকাকরণ হয়েছে ৭ কোটি ৯১ লক্ষ ৫ হাজার ১৫৩ জন। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে সাময়িক স্বস্তির খবর, গত বছরের তুলনায় এই বছর মৃত্যুর হার বেশ খানিকটা কম।

সেকেন্ড ওয়েভে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত দেখা দিয়েছে। এছাড়া ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাতেও অবস্থা বেশ খারাপের দিকেই। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং তেলঙ্গানাতেও। আক্রান্তের নিরিখে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পিছিয়ে থাকলেও বিহার, ঝাড়খণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড এবং ওড়িশাতেও গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। কেন্দ্রের দাবি, গত বছর গোটা ভারতে লকডাউন জারি করে করোনার প্রকোপ ঠেকানো গিয়েছিল। মিলেছিল সাফল্যও। কিন্তু তার ফলে ভারতের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছিল। প্রভাব পড়েছিল দেশবাসীদের রোজগারের উপরেও।

এরমধ্যে বছর ঘুরতে না ঘুরতে ফের লকডাউন করা হলে দেশের অর্থনীতি এবং দেশবাসীদের অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে পৌঁছবে বলে আশঙ্কা। তাই সাতপাঁচ ভেবে দেশজু঩ড়ে মাস্কের ব্যবহার এবং কোভিড সুরক্ষাবিধি নিয়ে বিশেষ ক্যাম্পেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। আগামীকাল থেকেই জনসচেতনতার এই কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, করোনা প্রভাবিত রাজ্যে এলাকাভিত্তিক কনটেইনমেন্ট জোন, আংশিক লকডাউন, নাইট কার্ফুর মাধ্যমে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।

সূত্র : বর্তমান


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us