সূর্যমুখী : বীজের কেজি ৬০ টাকা, তেল ২৮০

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Apr 04, 2021 06:51 pm
সূর্যমুখী

সূর্যমুখী - ছবি সংগৃহীত

 

নীলফামারী জেলায় ভোজ্য তেলের ঘাটতি মেটাতে প্রায় ২ হাজার বিঘায় সূর্যমুখীর সফল চাষের পর ওই বীজ থেকে তেল আহরণ শুরু হয়েছে। জেলা শহরের পুরাতন রেল স্টেশনের অদূরে ওই তেল মাড়াই শুরু করেছে পুষ্টিবাড়ি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রাথমিকভাবে তারা সাধারণ একটি তেল মাড়াই মেশিন ভাড়ায় নিয়ে ওই কার্যক্রম শুরু করেছেন।

কারখানার উদ্যোক্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে স্বল্প পরিসরে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছি। ভোক্তাদের চাহিদানুযায়ী বৃহৎ আকারে উৎপাদনে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রমতে, এবছর জেলায় ১ হাজার ৯৯০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছে কৃষকরা। প্রতি বিঘায় উৎপাদন হচ্ছে ২৮০ কেজি বীজ। প্রতি কেজি বীজের সম্ভাব্য মূল্য ধরা হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।
রোববার দুপুরে ওই কারখানায় গিয়ে দেখা যায় সূর্যমুখী বীজ থেকে তেল সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারখানায় নিয়োজিত কর্মীরা। সেখানে পুরোনো দিনের ঘানি আকৃতির দুটি ঘানি ও একটি হোলারে বৈদ্যুতিক যন্ত্রে ভাঙ্গানো হচ্ছে সূর্যমুখীর বীজ। বীজ থেকে বের হচ্ছে সূর্যমুখীর তেল।

উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটির অংশিদার মো. রফিক খন্দকার বলেন, আমরা ছোট আকারে তেল উৎপাদন শুরু করলেও সরকারি প্রণোদনা বা ব্যাংক ঋণ সুবিধা পেলে বৃহৎ আকারে কারখানা গড়ে তুলবো। তাতে করে উৎপাদন খরচ কমবে। এখন প্রতি কেজি তেল ২৮০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।
তিনি বলেন, সূর্যমুখীর চাষ বাড়লে এলাকায় ক্ষতিকর তামাক চাষ কমবে, অন্যদিকে কৃষকরা লাভবান হবেন। ভোক্তারা তুলনামূলক কম দামে পুষ্টি সমৃদ্ধ এই ভোজ্য তেল কিনতে পারবেন। একদিকে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, সূর্যমুখী চাষে এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী। সরকারি প্রণোদনায় এ বছর জেলায় ১ হাজার ৯৯০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে তেল আহরণের কাজ শুরু হয়েছে। এখন আমাদের সঠিক উদ্যেক্তা তৈরী হওয়া দরকার।”

তিনি অবলেন, “দেশে প্রতি বছর ২৮ হাজার কোটি টাকার সোয়াবিন তেল আমদানী করা হয়। তেলের আমদানী কমাতে সরকার এর চাষ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। তাতে করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। সূর্যমুখীর গাছ জ্বালানীর কাজে ব্যবহার হয়, খৈল পশুখাদ্য তৈরীর কাঁচামাল। কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। আগামীতে এর চাষ আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।

তিনি জানান, সূর্যমুখী তেলে আছে মানবদেহের জন্য উপকারী ওমেগা ৯ ও ওমেগা ৬, আছে ফলিক অ্যাসিড। সূর্যমুখীর তেলে আছে শতকরা ১০০ ভাগ উপকারী ফ্যাট। আরও আছে কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ও পানি। এই তেল স¤পূর্ণ ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলমুক্ত। আছে ভিটামিন-ই, ভিটামিন কে মিনারেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি রোগীর জন্যও সূর্যমুখীর তেল নিরাপদ।”

সূত্র : বাসস

 

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us