নিউ ইয়র্কে অবৈধ অভিবাসীরাও পাচ্ছেন বেকার ভাতা
নিউ ইয়র্কে অবৈধ অভিবাসীরাও পাচ্ছেন বেকার ভাতা - ছবি : সংগৃহীত
নিউ ইয়র্ক রাজ্যের অবৈধ অভিবাসী ও একসময় কারাগারে ছিলেন, এমন লোকজন শিগগিরই বেকার ভাতা পেতে পারেন। পূর্বেকার ফেডারেল এইড প্যাকেজে তারা এই ভাতা পাওয়ার উপযুক্ত ছিলেন না।
ওয়েস্টার্ন কুইন্সের অংশবিশেষের প্রতিনিধিত্বকারী স্টেট সিনেটর জেসিকা র্যামোস এক্সক্লুডেড ওয়ার্কার্স ফান্ড নামে পরিচিত এই প্রস্তাবটি দিয়েছেন। বুধবার তিনি টুইটারে বলেন, বিষয়টি রাজ্যের বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, অবৈধ হলেও পরিবারকে সহায়তা করার জন্য নিউ ইয়র্কের প্রতিটি লোকের অর্থপূর্ণ ত্রাণ লাভের সুযোগ পাওয়া উচিত।
এই পরিকল্পনাটি কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তা নিয়ে রাজ্যের আইনপ্রণেতারা ও গভর্নর অ্যান্ড্রু কমোর অফিস ইতোমধ্যেই আলোচনা শুরু করে দিয়েছে।
সিনেট ও অ্যাসেম্বিলর ডেমোক্র্যাটরা এক্সক্লুডেড ওয়ার্কার্স ফান্ডে ২.১ বিলিয়ন ডলার প্রদান করার প্রস্তাব করেছেন। এর ফলে অনেক প্রাপক সহায়তা হিসেবে ২৭ হাজার ডলারের বেশি পেতে পারেন।
অবৈধ অভিবাসী এবং ২০১৯ সালের অক্টোবরের পর কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া, এর ফলে কাজ করার সুযোগ যারা পাননি, তারা মার্চে মহামারী শুরুর সময থেকে বেকার ভাতা পেতে পারেন।
তারা ভূতাপেক্ষভাবে ২০২০ সালের মার্চ থেকে জুলাই পযৃন্ত প্রতি সপ্তাহের জন্য ৬০০ ডলার করে, ১ আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহে ৩০০ ডলার করে ভাতা পাবেন।ফলে যারা মহামারীর পুরো সময় কাজ করতে পারেননি, তারা দ্রুত ২০,৭০০ ডলার ও সেইসাথে আরো ৬,৬০০ ডলার পাওয়ার উপযুক্ত বিবেচিত হবেন।
দাম বাড়ানোর খেসারত, দান করতে হবে ১২ লাখ ডিম
ডিম পাড়ে হাঁসে, খায় বাগডাশে!
করোনাভাইরাসের সময় নিউ ইয়র্কের একটি প্রতিষ্ঠান ডিমের দাম বাড়িয়েছিল অত্যাধিকভাবে। আর তার জের ধরে তাদের এবার মাশুল হিসেবে ১২ লাখ ডিম দান করতে হলো। নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে এই মর্মে একটি সমঝোতা হয়েছে।
দেশের চতুর্থ ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিলানডেল ফার্মস করোনাভাইরাস মহামারীর সময় ২০২০ সালের মার্চ ও এপ্রিলে ডিমের দাম চারগুণ পর্যন্ত বাড়িয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে এজি লেতিতিয়া জেমসের অফিস প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করে।
এরপর সমঝোতা হিসেবে ওহাইয়ো ও পেনসিলভানিয়াভিত্তিক পাইকারি ডিম বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি দাম বাড়ানো বন্ধ করতে ও ১২ লাখ বা এক লাখ কার্টন ডিম বিনা মূল্যে নিউ ইয়র্কের বিভিন্ন ফুড ব্যাংকে দান করতে সম্মত হয়।
ফুড ব্যাংকগুলো ফুড প্যান্ট্রিস, স্যুপ কিচেন, হোমলেস সেল্টার্সের মাধ্যমে অভাবীদের মধ্যে ওই ডিম বিতরণ করবে।
এক বিবৃতিতে জেমসের অফিস জানায়, ওই প্রতিষ্ঠানটি নজিরবিহীনভাবে ডিমের দাম বাড়িয়েছিল। ফলে নিউ ইয়র্কবাসী তাদের পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে কঠিন অবস্থায় পড়েছিল।