২০২০ সালে বিজ্ঞানের ১০ রেকর্ড
২০২০ সালে বিজ্ঞানের ১০ রেকর্ড - ছবি সংগৃহীত
২০২০ সালে বিজ্ঞানের নানা ক্ষেত্রে ১০টি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি বিজ্ঞান সাময়িকী ‘লাইভ সাইন্স’-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে করোনা মহামারীতে সারা বিশে^ জনজীবন থমকে গেলেও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে নানামুখী আবিষ্কারের চেষ্টা থেমে থাকেনি। বিজ্ঞানী ও গবেষকরা নতুন নতুন উদ্ভাবন ও আবিষ্কারের চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। তারই অংশ হিসেবে, ২০২০ সালে বিজ্ঞানের ১০টি ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। সেসব রেকর্ডের কথাই তুল ধরা হয়েছে লাইভ সাইন্সের নিবন্ধে।
পাখির দীর্ঘতম উড়াল
একটি গডউইট (কালোলেজ জৌরালি, বৈজ্ঞানিক নাম, খরসড়ংধ ষধঢ়ঢ়ড়হরপধ) পুরুষ পাখি আগের রেকর্ড ভেঙে ২০২০ সালে সবেচেয়ে লম্বা উড়াল দেয়ার রেকর্ডের জন্ম দিয়েছে। পাখিটি গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা থেকে যাত্রা শুরু করে একটানা ১১ দিন উড়ে ৭,৫০০ মাইল বা ১২,০০০ কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করে নিউজিল্যান্ডে পৌঁছে। এখন পর্যন্ত পাখিদের ক্ষেত্রে এটিই সবচেয়ে দীর্ঘ বা লম্বা উড়াল। এর আগে ২০০৭ সালে একটি স্ত্রী গডউইট পাখি ৯ দিনে ৭,১৪৫ মাইল বা ১১,৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়েছিল।
গডউইট পাখিগুলো সাধারণত আলাস্কা থেকে নিউজিল্যান্ডে মাইগ্রেশন করে থাকে। এই পাখিটিও সেই একই উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল। বিজ্ঞানীরা গত বছর স্যাটেলাইটের সাহায্যে এই পাখিটিকে শনাক্ত করেন এবং এর নাম দেন ৪ বিবিআরডব্লিউ। এরপর তারা পাখিটির উপর নজর রাখতে থাকেন।
পাখিটি আলাস্কার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে যাত্রা শুরু করার ১১ দিন পরে নিউজিল্যান্ডে এসে পৌঁছে। এ সময় পাখিটি ৭,৫৮১ মাইল ১২,২০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। অবশ্য এটি বাতাসের কারণে তার গতিপথ থেকে অনেকটা দূরে চলে গিয়েছিল। সে কারণে তাকে অতিরিক্ত পথ অতিক্রম করতে হয়ছে এবং সময়ও বেশি লেগেছে। উড়ার সময় পাখিটির গতি ছিল ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার।
সবচেয়ে লম্বা প্রাণী
২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ার গভীর সাগরে এ পর্যন্ত দেখা সবচেয়ে লম্বা একটি প্রাণীর সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। তারা বিরল এ প্রাণীটির নাম দিয়েছেন সিফোনোফোর। গবেষকরা রিমোটলি অপারেটেড ভেহিক্যাল (আরোভি) ব্যবহার করে সবচেয়ে দীর্ঘ এই প্রাণীর সন্ধান পান। এর দৈর্ঘ্য ১৫০ ফুট বা ৪৬ মিটার। এর আগে গবেষকরা ১৩০ ফুট দীর্ঘ সিফোনোফোর-এর সন্ধান পেয়েছিলেন।
গবেষকরা বলেছেন, এটি সুতার মতো দীর্ঘ যা অনেকগুলো ক্ষুদ্র প্রাণীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠে। এসব ক্ষুদ্র প্রাণীকে বলা হয় জুইডস যার প্রত্যেকটিই আলাদাভাবে জীবন যাপন করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এরা সবাই পরস্পরের সাথে যুক্ত থেকে সিফোনোফোরের দেহ হিসেবে কাজ করে যায়।
বৃহত্তম কচ্ছপ
এ পর্যন্ত পৃথিবীতে সন্ধান পাওয়া সবচেয়ে বড় কচ্ছপটি অন্তত ৮০ লাখ বছর আগে বেঁচে ছিল। এটির খোলসের ব্যাস প্রায় ৮ ফুট বা ২.৪ মিটার। আর ওজন ছিল প্রায় ২,৫০০ পাউন্ড বা ১,১৪৫ কেজি। মায়োসিন যুগে দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরাঞ্চলে এর বসবাস ছিল। সম্প্রতি ভেনিজুয়েলায় এই কচ্ছপটির খোলস পাওয়া যায়। এটি বিলুপ্তপ্রায় ঝঃঁঢ়বহফবসুং মবড়মৎধঢ়যরপঁং প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত, যা বর্তমানে অ্যামাজন নদীতে বাসকারী তার নিকটতম প্রজাতি চবষঃড়পবঢ়যধষঁং ফঁসবৎরষরধহঁং কচ্ছপের চেয়ে একশো গুণ বেশি বড় ছিল। এর আকার ছিল বর্তমানে জীবিত সবচেয়ে বড় কচ্ছপের (উবৎসড়পযবষুং পড়ৎরধপবধ) দ্বিগুণ। গত বছর ১২ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্স অ্যাডভান্স এ বিষয়ে নিবন্ধ প্রকাশ করে।
গবেষকরা বলছেন, পুরুষ কচ্ছপটির আত্মরক্ষার জন্য তার শরীরে শিংয়ের মতো অস্ত্র ছিল। কিন্তু এই শিং শিকারিদের মোকাবেলা করার জন্য যথেষ্ট ছিল না। তার খোলসে কুমিরের দাঁতের চিহ্ন থেকে সেটা সহজেই বোঝা যায়।
প্রাচীন যমজ শিশু
অস্ট্রিয়ার ক্রেমস-ওয়াচবার্গের একটি প্রতœতাত্ত্বিক খনন কাজের স্থানে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন যমজ শিশুর দেহাবশেষের সন্ধান পাওয়া গেছে। ২০০৫ সালে ডিম্বাকৃতির একটি কবর আবিষ্কৃত হয়েছিল। তখন থেকেই শুরু হয় গবেষণা। গবেষকরা ২০২০ সালে এসে জানান, যমজ শিশুর দেহাবশেষ দুটি ৩১ হাজার বছর আগের প্রস্তর যুগের সময়কার।
ডিএনএ গবেষণা করে তারা বলেছেন, এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে প্রাচীন যমজ হচ্ছে এ শিশু দুটি। এদের একটি প্রসবকালে মারা যায়। আরেকটি জন্মের ৫০ দিন পর মারা যায়। কবরটিতে হাতির দাঁতের তৈরি নেকলেসের পুঁতি পাওয়া গেছে। শিশু দুটির দেহের উপরে হাতির কাঁধের ফলক রাখা হয়েছিল যাতে দেহ দুটি অক্ষত থাকে। গবেষকরা শিশু দুটির দাঁতের এনামেলে কার্বন, নাইট্রোজেন এবং বেরিয়ামের আইসোটোপ বিশ্লেষণ করে আরো জানান, পরে মারা যাওয়া শিশুটিকে জন্মের পর বুকের দুধ খাওয়ানো হয়েছিল।
দীর্ঘ সময় ধরে তোলা ছবি
বিয়ারের একটি ক্যান, ফটোগ্রাফিক পেপার ও নি¤œ প্রযুক্তির একটি পিনহোল ক্যামেরা দিয়ে আকাশে প্রতিদিন সূর্যের যাত্রা বা পথচলার ছবি তোলা শুরু করা হয়েছে সেই ২০১২ সাল থেকে, শেষ হয়েছে ২০২০ সালে এসে। ৮ বছরের বেশি সময় ধরে তোলা এ ছবিই হচ্ছে পৃথিবীতে দীর্ঘতম সময় ধরে তোলা ছবি। এর আগে সবচেয়ে বেশি সময় নিয়ে তোলা ছবির মেয়াদ ছিল চার বছর আট মাস। সেটি তুলেছিলেন জার্মান আর্টিস্ট মাইকেল ওয়েসলি।
যুক্তরাজ্যের হার্টফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের মাস্টার্সের একজন ছাত্র রেগিনা ভালকেনবোর্গ তার নিজের ভাবনা থেকে ওই ক্যামেরা বানিয়েছিলেন। এরপর তিনি ক্যামেরাটি বিশ^বিদ্যালয়ের বেফোর্ডব্যুরির অবজারভেটরির টেলিস্কোপে স্থাপন করেন। কিন্তু এক সময় তিনি এই ক্যামেরার কথা ভুলে যান। ২০২০ সলে এসে সেই ক্যামেরা ও তোলা ছবি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এটিই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সময় নিয়ে তোলা ছবির স্বীকৃতি পেয়েছে।
রেগিনা ভালকেনবোর্গ বর্তমানে বার্নেট অ্যান্ড সাউথগেট কলেজের ফটোগ্রফি টেকনিশিয়ান। তিনি বলেন, আমি আসলে এত দীর্ঘ সময় নিয়ে সূর্যালোকের আলোক বিচ্ছুরণের চিত্র ধারণ করার কথা ভাবিনি। কিন্তু আমি বিস্মিত যে আমার ঐ ক্যামেরায় ধারণ করা ছবিটি টিকে গেছে এবং তা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
বজ্রপাতের সবচেয়ে দীর্ঘ আলো
বজ্রপাতের সময় আলোর যে ঝলকানি আমরা দেখতে পাই তার দৈর্ঘ্য কত হতে পারে সে বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট ধারণা নেই। আমরা মনে করি এর দৈর্ঘ্য খুব বেশি হবে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে বড় বজ্রপাতের আলোর দৈর্ঘ্য ৪০০ মাইলেরও (৭০০ কি.মি.) বেশি। এর আগে সবচেয়ে বড় বজ্রপাতের আলোর দৈর্ঘ্য ছিল ২০০ মাইল। যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমাতে ২০০৭ সালে এটি রেকর্ড করা হয়েছিল।
নতুন রেকর্ড সৃষ্টিকারি এই আলোর ঝলকানি ২০১৮ সালে ব্রাজিলে দেখা গিয়েছিল। এর দৈর্ঘ্য ছিল পূর্ব আর্জেন্টিনা থেকে আটলান্টিক পর্যন্ত প্রসারিত। অনেক বিশ্লেষণের পর ২০২০ সালে গবেষকরা জানান, এখন পর্যন্ত রেকর্ড হওয়া সবচেয়ে বড় বজ্রপাতের আলো এটি। ওয়ার্ল্ড মিটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনও (ডগঙ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শব্দের সর্বোচ্চ গতি
শব্দ কত দ্রুত যেতে পারে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চলে আসছে। শব্দ একেক মাধ্যমে একেক রকম গতিতে চলে। এটি কঠিন, তরল এবং বায়বীয় মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন গতিতে চলে। কাজেই শব্দ কত দ্রুত যাবে তা শব্দটি কোন মাধ্যম দিয়ে যাচ্ছে তার উপর নির্ভর করবে। শব্দের সর্বোচ্চ গতিবেগ কত তা নিয়ে গবেষণা করেছেন লন্ডনের কুইন মেরি বিশ^বিদ্যালয়ের গবেষক কস্টিয়া ট্রাচেঙ্কো ও তার দল।
তারা তাদের গবেষণার তাত্ত্বিক ফলাফল হাইড্রোজেন পরমাণুতে পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেন। তাদের মতে, সবচেয়ে কম ভরের পরমাণুতে শব্দ সবচেয়ে দ্রুত গতিতে চলে। হাইড্রোজেন সবচেয়ে কম ভরের পরমাণু হলেও এটি কঠিন নয়। এটিকে কঠিন অবস্থায় পরীক্ষা করার জন্য তারা ওই ধরনের একটি কোয়ান্টাম মেশিনে পরীক্ষাটি চালান। তারা অনেক বেশি চাপের মাধ্যমে হাইড্রোজেন পরমাণুকে কঠিন অবস্থায় পরিণত করে তাতে শব্দ চালনা করে শব্দের গতিবেগ মেপে দেখেন। এতে দেখা যায়, শব্দটি ঘণ্টায় ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৬০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। অর্থাৎ শব্দের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে প্রতি সেকেন্ডে ৩৬ কিলোমিটার বা ২২ মাইল।
প্রাচীনতম শুক্রাণু
মিয়ানমারের একটি খনিতে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত প্রাচীনতম শুক্রাণুর সন্ধান মিলেছে। খনিজ অ্যাম্বারের (তৈলস্ফটিক) মধ্যে এই শুক্রাণুর সন্ধান পাওয়া যায়। এটি হলো এখন পর্যন্ত মানুষের সন্ধান পাওয়া প্রাচীনতম শুক্রাণুর নমুনা। এর আগে পাওয়া প্রাচীনতম শুক্রাণুর বয়স ছিল ৫০ মিলিয়ন বা ৫ কোটি বছর। কিন্তু মিয়ানমারের খনিতে পাওয়া শুক্রাণুর বয়স প্রায় ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি বছর।
অ্যাম্বার হচ্ছে বিশেষ এক ধরনের গাছ থেকে নিঃসৃত আঠালো পদার্থ। এই আঠালো পদার্থে ছোট পতঙ্গ থেকে শুরু করে যেকোনো কিছুই আটকা পড়লে সেটি নষ্ট হয় না, সময়ের বিবর্তনে সেটি মমিতে পরিণত হয়। কোনো মানুষ এই অ্যাম্বারে আটকা পড়েছিল কি না তা অবশ্য গবেষকরা জানাননি।
প্রাচীনতম উপাদান
অর্ধ শতাব্দী আগে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়া উল্কাপিণ্ডের অভ্যন্তরে পাওয়া স্টারডাস্ট বা নক্ষত্রের ধূলিকণাকে পৃথিবীতে পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীন উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। একটি মৃত নক্ষত্র থেকে প্রাচীন এই ধূলিকণাটি ১৯৬৯ সালে এটি অস্ট্রেলিয়ায় এসে পড়ে। এই স্টারডাস্ট বা ধূলিকণার বয়স প্রায় ৭ বিলিয়ন বা ৭০০ কোটি বছর।
এরপর থেকে নক্ষত্রের এই ধূলিকণা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। ২০২০ সালে গবেষকরা জানান, এ পর্যন্ত পৃথিবীতে পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীন উপাদান এই স্টারডাস্ট। এই স্টারডাস্টে এমন কিছু কণা পাওয়া গেছে যা সূর্যেরও আগে তৈরি হয়েছে। সূর্যের বয়স ৪.৬০ বিলিয়ন বা ৪৬০ কোটি বছর। কিন্তু এই স্টারডাস্টের কিছু কণার বয়স ৭০০ কোটি বছরেরও বেশি। আবার কিছু কণার বয়স ৪৬০ কোটি বছরের বেশি। প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস জার্নালে গত ১৩ জানুয়ারি এই আবিষ্কারের তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রাচীনতম অন্ত্র
গবেষকরা যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যের নায়ী কাউন্টিতে প্রায় ৫৫ কোটি বছর আগের একটি অন্ত্রের সন্ধান পেয়েছেন। দেখতে অনেকটা কৃমির মতো এ অন্ত্রটিই এ পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীন। গবেষকরা সিটি-ইমেজিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসিল থেকে এই অন্ত্রটি চিহ্নিত করেন।
গবেষক দলের সদস্য এমি স্মিথ বলেন, এটি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ক্লডিনোমর্ফস প্রজাতির কোনো প্রাণীর অন্ত্র হতে পারে। ক্লডিনোমর্ফস কি ধরনের প্রাণী ছিল তা জানতে এই আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের সহায়তা করবে। তবে তারা মনে করছেন, প্রাণীটি দেখতে হয়তো বর্তমান যুগের কোরাল মাছ কিংবা ফিতা কৃমির মতোই ছিল। আজ থেকে প্রায় ৫৮ কোটি বছর আগে খুবই নরম দেহবিশিষ্ট এ প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল পৃথিবীতে। নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে গত ১০ জানুয়ারি এই আবিষ্কারের তথ্য প্রকাশ করা হয়।