হাঁটু ব্যথায় কী করবেন
হাঁটু ব্যথায় কী করবেন - ছবি সংগৃহীত
হাঁটুতে বিভিন্ন কারণে ব্যথা হতে পারে। অস্টিওআথ্রাইটিস অন্যতম কারণ। এ ছাড়াও আঘাতেও হতে পারে ব্যথা। ব্যথা হলে চুপচাপ বসে না থেকে ধীরে ধীরে হাঁটু নাড়াচড়া করুন। মানে হলো অতিরিক্ত বিশ্রাম নিতে যাবেন না। তবে আঘাতের কারণে ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই বিশ্রাম নিতে হবে। প্রতিদিন কিছু না কিছু ব্যায়াম করুন। তাই বলে দৌঁড়-ঝাপ করতে যাবেন না। শুরুতে হাঁটা দিয়ে শুরু করুন। সাইক্লিং, সাঁতার কাটাও কিন্তু হাঁটু ব্যথায় বেশ উপকারী। হাঁটুব্যথা কমাতে হাঁটুর মাংসপেশী শক্ত করার কাজটি বেশ উপকারী। এটা করা যায় ব্যায়ামের মাধ্যমে। গোড়ালির নিচে দুটো বালিশ দিয়ে একটু উঁচু করুন। এবার হাঁটু ভাঁজ না করে আস্তে আস্তে গোড়ালি দিয়ে বালিশের ওপর চাপ দিন। এভাবে দিনে তিনবার করতে পারেন ১০ মিনিট করে। দৌড়, লাফ-ঝাঁপ করলে হাঁটু ব্যথা বাড়বে। তাই এগুলো বাদ দিন।
হাঁটুর আথ্রাইটিস সাধারণত একটু বেশি বয়সেই হয়ে থাকে। বয়সের কারণে অনেকেই পড়ে আঘাত পান। পড়ে গেলে হাঁটু আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এতে ব্যথা আরো বাড়তে পারে। তাই পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে হলে চলতে হবে সাবধানে। প্রয়োজনে হাঁটাচলার সময় লাঠির সহায়তা নিতে পারেন। অনেকে লাঠি দিয়ে চলাফেরা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। তাদের বলছি দেখুন লজ্জার চেয়ে সুস্থ থাকা জরুরি তাই নয় কি?
অতিরিক্ত ওজন কিন্তু হাঁটুর ব্যথার জন্য দায়ী। কারণ অতিরিক্ত ওজন বহনের জন্য হাঁটুর ওপর চাপ পড়ে। এতে হাঁটুর হাড়, তরুণাস্থিতে ক্ষয় দেখা দেয়। তাই ওজন কমিয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে ডায়েটিশিয়ানের সহায়তা নিন।
জুতার সোল কুশনযুক্ত হলে হঁটিুর ওপর চাপ কম পড়ে। বাজারে এখন এমন জুতা পাওয়া যায়। এমন জুতা পড়তে পারেন। হাঁটুতে আঘাত পেলে বরফ-গরম পানির খেলা খেলতে পারেন। প্রথম তিন-চার দিন চলতে পারে এ খেলা। বরফ প্লাস্টিকের কাগজ বা কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে হাঁটুতে দিন। এভাবে ১৫-২০ মিনিট করে দিনে তিন-চার বার। এরপর গরম পানি ছ্যাকও দিন ১৫-২০ মিনিট ধরে দিনে তিন-চার বার। এ সময় ব্যায়াম করবেন না। পারলে পুরোপুরি বিশ্রাম নিন। ব্যান্ডেজ হাঁটুতে প্যাচিয়ে দিন। ঘুমানোর সময় পা একটু উঁচু করে ঘুমান।
স্তন ক্যান্সারের নতুন জিন
আজাদুল কবির আজাদ
নারীদের জন্য আতঙ্ক স্তন ক্যান্সার। প্রতি বছর বিশ্বে অন্তত পাঁচ লাখ নারীর মৃত্যুর কারণ এ ক্যান্সার। দিন দিন এ সংখ্যা বেড়েই চলছে। এ ক্যান্সারের কারণ আবিষ্কারে বিজ্ঞানীরা থেমে নেই। এরই ধারাবাহিকতা হিসেবে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা স্তন ক্যান্সারের কারণ হিসেবে আবিষ্কার করেছেন পাঁচটি জিন। তাদের এই গবেষণার ফলে স্তন ক্যন্সারে আক্রান্তদের আরো উন্নত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে। ব্রিটেনের ক্যামব্রিজ বিশ¡বিদ্যালয়ের ডগলাস এসটনের নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণায় ১৬ হাজার ৫৩৬ জন রোগীর তথ্য ও জিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
এতে স্তন ক্যান্সারের পাঁচটি জিন এ ক্যান্সারের কারণ হিসেবে তারা আবিষ্কার করেন। তাদের গবেষণায় স্তন ক্যান্সারের আরো ১৩টি পৃথক জিনগত কারণ উঠে এসেছে। আরো কিছু অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ জিনগত কারণও সেখানে ব্যাখা করা হয়েছে, যা অন্তত ২০ ভাগ ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী। স্তন ক্যানারের জন্য পারিবারিক অর্থাৎ জিনগত ধারা অন্যতম কারণ এই বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত। যে পরিবারে স্তন ক্যান্সার রয়েছে সেই পরিবারিক ধারায় রোগটির ঝুঁকি দ্বিগুণ। এসটন ও তার সহকর্মীদের এই পর্যবেক্ষণ ‘নেচার জেনেটিকস’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।