ইসলাম সম্পর্কে যা বলেছিলেন গ্যেটে
ইয়োহান ভলফগাং ফন গ্যেটে - ছবি সংগৃহীত
মহাকবি ইয়োহান ভলফগাং ফন গ্যেটে (১৭৪৯-১৮৩২) বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব। ফরাসি বীর নেপোলিয়ানের জবানীতে তা ধরা পড়ে সংক্ষেপে। যখন গ্যেটের সাথে তার দেখা হলো এফোর্টে, তাকে দেখে একদৃষ্টে তাকিয়ে রইলেন নেপোলিয়ান আর অকস্মাৎ বলে উঠলেন, Vous etes un hom me! আপনি তাহলে একজন মানুষ! এর মানে স্পষ্ট। পশ্চিমা দুনিয়ার বহু মহারথীর কাছে গ্যেটের সম্মান দৈবপুরুষের মতো!
জাতীয় সীমারেখা থেকে তার চিন্তা ছিল বিশ্বের আকাশে প্রসারিত। জাতিতে জাতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বদলে তিনি চাইতেন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। পশ্চিমা দুনিয়ার তিনিই পয়লা কবি ও সাহিত্যিক, যিনি ঘোষণা করেন, ‘জাতীয় সাহিত্য এখন প্রায় অহেতুক এক স্লোগান। সময় এসেছে বিশ্বসাহিত্যের। সবার উচিত তার জন্য দরোজা খুলে দেয়া।’ বস্তু বিশ্বসাহিত্য কথাটি গ্যেটেরই উদ্ভাবন!
গ্যেটে ছিলেন বৈজ্ঞানিক কবি এবং কবিবৈজ্ঞানিক। ছিলেন প্রখর দার্শনিক, কূটনীতিবিদ এমনকি চিত্রশিল্পী! শরীর বিজ্ঞানে তিনি আবিষ্কার করেন মানুষের উপরের চোয়ালের সংযোগ হাড়, উদ্ভিদতত্ত্বে উদ্ভাবন করেন গাছের রূপান্তর। শরীরতত্ত্ব, ধাত্রীবিদ্যা, বর্ণতত্ত্ব, রসায়নশাস্ত্রসহ বিচিত্র বিষয়ে ছিল তার বিচরণ। কিন্তু তিনি প্রথমত এবং প্রধানত ছিলেন কবি। তার শ্রেষ্ঠতম কীর্তি হচ্ছে কাব্যনাটক ফাউস্ট। বস্তুত দান্তের ডিভাইন কমেডির পরে পশ্চিমা দুনিয়ায় ফাউস্টকেই ধরে নেয়া হয়েছে শ্রেষ্ঠতম কাব্য হিসাবে। ১৫৮৭ সালে প্রকাশিত বিখ্যাত জার্মান উপকথা ফাউস্ত-এর উপর ভিত্তি করে এই কাব্যনাটক লেখা হয়েছিল দুই খণ্ডে। এর প্রথম খণ্ড লিখতে গ্যেটের সময় লেগেছিল ৩০ বছর। দ্বিতীয় খণ্ড সম্পন্ন হতে লেগেছিল ২৫ বছর। বলতে গেলে জীবনভর ফাউস্ট রচনা করে এর সাফল্য ও ঋদ্ধিগুণে গ্যেটে নিজেই হয়ে ওঠেন ফাউস্ট আর ফাউস্টই হয়ে ওঠে গ্যেটে!
তার আত্মজীবনী From My Life: Poetry and Truth এক অসামান্য সাহিত্যকর্ম। ১৮১১ সালে প্রকাশিত হয় এর প্রথম খণ্ড। এরপর একে একে ছাপা হয় কয়েকটি খণ্ড। বিশ্বসাহিত্যে শ্রেষ্ঠতম আত্মজীবনীর মধ্যে গ্যেটের আত্মচরিতকে বরণ করা হয়। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে প্রচুর কবিতা, Wilhelm Meister's Apprenticeship এবং Bildungsroman Ges The Sorrows of Young Werther নামক উপন্যাস।
প্রাচ্যের প্রতি গ্যেটের শ্রদ্ধা ছিল। বিশেষত ইসলামের প্রতি। ১৭৭০ সালে যখন স্টেরসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, প্রাচ্যবিদ হারদার-এর প্রেরণায় আরবি শিখতে শুরু করেন। শেখেন আল কুরআনের পাঠ ও অনুবাদ। কুরআন নিয়ে তার অনুসন্ধিৎসা জারি ছিল বরাবরই।
১৮১৩ সালে মহাকবি হাফিজের কবিতার সাথে তিনি পরিচিত হন অনুবাদের মাধ্যমে। হাফিজ তাকে এতটাই অধিকার করেন যে, গ্যেটে ফারসি ভাষা শিখতে শুরু করেন। ঠিক হাফিজের মতো করে তিনি পরিণত বয়সে রচনা করেন অনেক প্রেমের কবিতা। ১৮২৭ সালে লিখতে শুরু করেন West-östlicher Divan বা প্রতীচ্য-প্রাচ্যের দেওয়ান। ফাউস্টের পরে এটি তার অন্যতম সেরা রচনা। ১২ খণ্ডে বিভক্ত এ বইয়ের প্রতিটি খণ্ডের নাম ফারসি ভাষায়। প্রথম খণ্ডটির নাম, মোগান্নিনামা বা গায়কপর্ব। এ খণ্ডে আছে ১৭টি কবিতা। প্রথম কবিতাটির নাম হিজরাহ বা দেশত্যাগ। যা হজরত মুহাম্মদ সা:-এর হিজরতের প্রতি ইঙ্গিতবাহী। গ্যেটে তারই অনুকরণে অশান্তিভরা দুনিয়া ছেড়ে হিজরত করতে চেয়েছেন নির্মল প্রাচ্যে। যেখানে রয়েছে প্রেমের মদিরা আর খিজিরের আবে হায়াত! কবিতাটির শুরুতে গ্যেটে স্পষ্ট লিখেন-
উত্তর দক্ষিণ পশ্চিম সবদিকেই লেগেছে ভাঙন
সিংহাসন হচ্ছে বিধ্বস্ত, রাজ্য করছে টলমল
হিজরত করো সুনির্মল প্রাচ্যে
যেখানে গোত্রনেতার মণ্ডপে জমবে মাহফিল;
সেখানে প্রেমের মদিরায় আর গানে
তোমাকে তারুণ্য দেবে খিজিরের আবে হায়াত!
গ্যেটে যে হিজরত করতে চান, এর পেছনে আছে ঐশী অভিপ্রায়। তিনি চান পবিত্র আত্মা এবং সত্যকে। যা অশেষ মহিমায় বিভূষিত। যা শুনিয়ে দেয় ওহিলব্ধ স্বর্গের বাণী, মানুষের বোধগম্য ধরণীর ভাষায়। গ্যেটে সবাইকে সাথে নিতে চান সেই হিজরতের পথে। কেননা -
সেখানে আজো বিরাজ করে পবিত্র আত্মা আর সত্য
সেখানে যাবো আমি সবাইকে নিয়ে
সেখানে; গভীরে; সকল কিছুর উৎসমূলে
সেখানে শেষহীন মহিমা আজো শুনিয়ে দেয়
স্বর্গের বাণী, ধরণীর ভাষায়!
এ কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় অধ্যায় হাফিজনামা। এতে আছে বড় ও মাঝারি আকারের ১০টি কবিতা। এতে মহাকবি হাফিজের গৌরব ও মহিমার বিবরণের মধ্য দিয়ে এক জার্মান কবি আত্মহারা আবেগের ভেতর দিয়ে এক ফারসি কবির সৌন্দর্য ও রহস্যের গভীরে প্রবেশ করেছেন। তৃতীয় অধ্যায় ইশকনামা বা প্রেমধারায় আছে ১৫টি কবিতা। অপরিচিত, গোপন বস্তু ও বিষয়ের সহযোগে এক মিশ্রিত আবেগকে ব্যক্ত করে এ অধ্যায়। এতে আছে এমন সব কসিদা, যাকে অস্বীকার করবে না ইন্দ্রিয়। কিছু কবিতা এমন, যাকে প্রাচ্যের মন আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যায় নিয়ে যেতে পারে। যার মধ্যে ইসলামী ঐতিহ্যের প্রেমধারা গোপনে নিঃশ্বাস ফেলে চলে।
চতুর্থ অধ্যায় তাফকিরনামা বা চিন্তাঅধ্যায়। এতে আছে ছোট-বড় ২৫টি কবিতা। নৈতিকতা, জীবনরহস্য, প্রাচ্যের জীবনাচার এবং প্রজ্ঞা ও প্রকৃতি এতে বিবৃত। পঞ্চম অধ্যায়ের শিরোনাম, রঞ্জনামা বা দুর্ভাবনার বিবরণী। এতে আছে ১৬টি কসিদা। যাতে প্রধানত মানব মন, প্রাচ্যের মনস্তত্ত্ব এবং বিরহ ও বেদনার আকুলতা ভাষা পেয়েছে। এর ভাষাভঙ্গি প্রাচ্যের কবিমনের কাছে পরিচিত। যখন সে পুরস্কার না পেয়ে হতাশ হয় কিংবা সুফি বা আত্মনিগ্রহে থাকা মানুষের সাথে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয় অথবা যখন সে পৃথিবীর সাথে লড়াই করে, তখন তার ভাষা যে অবয়ব পায়, গ্যেটে তারই কাছাকাছি থেকেছেন।
ষষ্ঠ অধ্যায়ের শিরোনাম হেকমতনামা বা প্রজ্ঞার বিবরণী। এতে আছে ক্ষুদ্র অবয়বের ৫৬টি কবিতা। প্রতিটিই তুমুল প্রাণাধারের মতো। এতে প্রাচ্য ও মুসলিম দর্শনের নমুনা ও অন্তঃসার অভিনব সৌন্দর্যে প্রতিফলিত হয়েছে। বিভিন্ন চরিত্র এখানে বিচিত্র স্বরূপে উদ্ভাসিত এবং সংলাপমুখর।
সপ্তম অধ্যায় তৈমুরনামা বা তৈমুরের বিবরণী। এতে আছে মধ্য আকারের দু’টি কবিতা। এটি এমন কিছু বৈশ্বিক আয়না সামনে আনে, যা আমীর তৈমুরের সূত্র ধরে আমাদের অতীতের এমন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করায়, যেখানে আমরা এখনো আছি। অষ্টম অধ্যায় জুলায়খানামা। এতে আছে ৪৭ টি ছোট-বড় কবিতা। এতে আছে এমন সব অনুভূতিশীল বিবরণ, যা আল কুরআনে বর্ণিত জুলায়খাকে নতুনভাবে দীপ্তিমান করে। প্রেম যাকে কবি বানায় এবং সে কালের অত্যাচার এবং নিজের বয়সের বৃদ্ধিকেও পরাজিত করে দেয় প্রেমের দ্বারা। এখানে উচ্চতর সম্পর্কের ধরণে প্রেমের ইহলৌকিক রূপ পারলৌকিক সম্পর্কের যবনিকায় নিজেকে নিমজ্জিত করে। নবম অধ্যায় সাকিনামা বা পানীয় পরিবেশকের বিবরণী। এতে কবি সংঘাতে লিপ্ত হন সহজাত মদ্যপের সাথে, যে মাতাল আবার অশরীরী। সে আসলে আত্মা। সুনিপুণ সুন্দর বালক সে। শরাব পরিবেশন করে শরাবের সুখ বাড়িয়ে দেয়। অচিরেই সে সাধকের কাছে সমর্পিত হবে, যেন সে হয় গোপন রহস্যের পাহারাদার। তার সামনে আনন্দলোক ও নিখিল চিন্তা ঢেলে দেবেন এক সাধক। এতে সংলাপের জন্য আনা হয়েছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বকে। এতে আছে ছোট-বড় ২২টি কবিতা।
দশম অধ্যায় মিসালনামা বা দৃষ্টান্তের বিবরণ। এতে এমন বহু দৃশ্য, যা মানবিক জীবনের উপর ভিত্তি করে একটি সমান্তরাল অবস্থান তৈরি করে। জীবনকে খাড়া করে এক অভূত প্রতিসাম্যে। এতে আছে দশটি মাঝারি আকারের কবিতা। একাদশ অধ্যায় পারসিনামা বা পারস্যের বিবরণী। এতে অগ্নিপূজকদের ধর্মাচারসমূহ বিবৃত। একে না জানলে প্রাচ্যের জীবনের ধারাক্রম অস্পষ্ট থেকে যায়। এতে আছে দু’টি কবিতা। প্রথমটি বিপুলাকার, দ্বিতীয়টি ক্ষুদ্র।
দ্বাদশ খণ্ড খুলদনামা বা চিরন্তনতার অধ্যায়ে আছে ১১টি কবিতা। সেখানে প্লেটোনিক চিত্রের মাধ্যমে এমন এক সৌন্দর্য ব্যক্ত করা হয়েছে, যার সাথে মানুষ চিরকাল যুক্ত থাকতে চায়। এখানে হুরদের হাসির আওয়াজ শোনা যায়। জান্নাতুল ফেরদৌস চিত্রণের প্রচেষ্টা থাকে কিংবা প্রেমিক প্লেটোনিক নজরে দেখতে থাকে অভূত সৌন্দর্য।
বিগলিত হয়ে ঝরে পড়ছে জান্নাতের প্রতি বিশ্বাস ও অভিপ্রায়। যার মূলে আছে হজরত মুহাম্মদ সা:-এর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাময় ভক্তি। জান্নাতে তিনি চিত্রিত করেন হুজুর সা. এর দৃশ্যপট, যার সাথে মেরাজের চিত্ররাজি যুক্ত হতে থাকে। মুসলিমদের জান্নাতে বিশ্বাস গ্যেটের কাছে এক জীবন্ত বাস্তবতা। তার ভাষায়, ‘ভক্ত মুসলমান যখন জান্নাতের কথা বলে, যেন সে নিজে সারাক্ষণ বসবাস করে জান্নাতে!’ এর মূলে কোনো অপবিশ্বাস নয়, আছে এক অমোঘ প্রতিশ্রুতি। গ্যেটের ভাষায়, ‘কুরআনের প্রতিশ্রুতিতে তার একান্ত বিশ্বাস। এ হচ্ছে তার প্রতীতি ও শিক্ষার বুনিয়াদ।’ এ কুরআন নিয়ে এসেছেন এক মহিমান্বিত পয়গাম্বর। যিনি -
উপর থেকে বুঝতে পারেন আমাদের প্রয়োজন
বোঝেন তিনি তার বজ্রগভীর ভয় দেখানো সত্ত্বেও
কীভাবে সত্যে বিশ্বাসে তিক্ততা আনে সংশয়!
অতএব তিনি শাশ্বত ধাম থেকে পাঠান
যৌবনের বিগ্রহ- যেন আমরা সবাই হই যুবক মানুষ!
স্বর্গীয় স্ফূর্তিতে দুলে আসে সেই বিগ্রহ
আমাদের গলায় জড়িয়ে যায়!
আমি তাকে বুকে ভরে নিই, হৃদয়ে পরে নিই
এ তো এক জান্নাতি উপাদান!
এর বেশি কল্পনার নেই কোনো দরকার।
আমার কোনো সন্দেহ নেই বেহেশত নিয়ে
আমি পরম নিশ্চয়তায় চুম্বন করি তাকে!
প্রিয় নবী সা:-এর অস্তিত্বকেই তিনি জেসাসের অলৌকিকতার অধিক মনে করতেন। West-östlicher Divan-এ রয়েছে এ বিষয়ে তার অসাধারণ অভিভূতি।
প্রিয় নবীর আনীত তাওহিদে তার ছিল নিবিড় আস্থা। দেওয়ানে তিনি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, ইসলামের মানে যদি হয়, এক প্রভুতে আত্মনিবেদন, তাহলে আমরা প্রত্যেকেই বেঁচে আছি ইসলামে, মারা যাই ইসলামে!
প্রথম যৌবনেই গ্যেটে হজরত মুহাম্মদ সা:-এর প্রেমে পড়ে যান। প্রিয় নবীর দুধমাতা হালিমার সাথে তার সংলাপ নিয়ে শুরু করেন নাটিকা রচনা। যা পরবর্তীতে বিলুপ্ত হয়ে যায়। অনুবাদ করেন ফরাসি চিন্তাবিদ ভল্টেয়ারের নাটক মাহুমেত। ভল্টেয়ার নবীজীর প্রতি যেখানে অশ্রদ্ধা দেখান, সেখানে গ্যেটে ভল্টেয়ারের সমালোচনা করেন। আত্মজীবনীতে তিনি প্রিয় নবীর প্রতি নিবেদন করেছেন ভক্তি ও ভালোবাসা। দান্তে থেকে নিয়ে অনেকেই মহানবীকে মিথ্যা ও কপট নবী বলে দেখাতে চেয়েছেন। গ্যেটে এর প্রতিবাদ করেন।
১৮২০ সালের ২০ ডিসেম্বর, ফন উইলামার (১৭৮৪-১৮৬০) এর কাছে লিখিত পত্রে গ্যেটে স্পষ্ট লিখেন, আজ হোক, কাল হোক, আমাদের সবাইকে গ্রহণ করতে হবে ইসলাম।
বয়স যখন ২৩, তখন গ্যেটে রচনা করেন তার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা MAHOMET'S GESANG বা ‘মুহাম্মদের গান’। এ কবিতা গ্যেটেকে দেয় বিশেষ প্রতিষ্ঠা। জার্মানিতে এটি শ্রেষ্ঠ কবিতা হিসেবে হয় পুরস্কৃত। কবিতাটি বিশ্বের বহু ভাষায় অনূদিত হয়। এ কবিতায় আশ্চর্য ভাবাবেগ আর উচ্ছ্বলতা একটি প্রবহমান পাহাড়ি ঝরনার অবয়বে হিল্লোলিত হয়েছে। সে ঝরণা প্রিয় নবীর সা: আনীত সত্যের প্রতীক।
পশ্চিমা দুনিয়ার ইসলামপ্রশ্নে যে প্রবল ফোবিয়া রয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে গ্যেটে এর চিকিৎসা হয়ে হাজির হন গৌণভাবে হলেও। আজকের ইসলাম ও পাশ্চাত্যের সঙ্কটমুখর বাস্তবতায় গ্যেটের কণ্ঠস্বর শোনা ফোবিয়াগ্রস্তদের জন্য জরুরি।
লেখক : কবি, গবেষক