৩ হাজার টাকার বাটির দাম ৪ কোটি ডলার!

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Mar 14, 2021 02:46 pm
৩ হাজার টাকার বাটির দাম ৪ কোটি ডলার!

৩ হাজার টাকার বাটির দাম ৪ কোটি ডলার! - ছবি সংগৃহীত

 

জীবনে কখনো লটারির টিকিট কাটেননি। কিন্তু লটারির টিকিট না কেটেও ‘লটারি’ জিতে ফেললেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের এক বাসিন্দা। তাও আবার যে সে লটারি নয়, একেবারে জ্যাকপট!

৩৫ ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় তিন হাজার টাকা) বিনিয়োগ করে তিনি কোটি টাকা আয় করতে চলেছেন! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি আসলে সম্প্রতি পোর্সেলিনের একটি বাটি কিনেছিলেন।

বাড়ির কাছেই একটি দোকান থেকে বাটিটি কিনেছিলেন তিনি। দাম পড়েছিল বাংলাদেশী মুদ্রায় তিন হাজার টাকা।

ধবধবে সাদা রঙের পোর্সেলিনের উপর নীল রঙের ফুলের কাজ করা হাতের তালুর মাপের ওই বাটিটিকে দেখতে খুবই সুন্দর।

বাটির গায়ে খোদাই করা নীল রঙের কারুকার্য তার জৌলুস আরো বাড়িয়ে তুলেছে। বাড়ি ফিরে বাটিটিকে ভালো করে পর্যবেক্ষণের পর ওই ব্যক্তি বুঝতে পেরেছিলেন এটা কোনো সাধারণ বাটি নয়।

ওই ধরনের নকশা ইদানীং কালে দেখা যায় না। তিনি এক পুরাতত্ত্ববিদের কাছে বাটি নিয়ে হাজির হন। তিনি ভালো করে পর্যবেক্ষণের পর জানান সন্দেহ একদম সঠিক।

ওই বাটি ১৫ শতকের মিং সাম্রাজ্যের সময়কার। ১৩৬৮ থেকে ১৬৪৪ সাল পর্যন্ত চীনে মিং সাম্রাজ্যের আধিপত্য ছিল।

ওই সময়ই রাজার জন্যই মূল্যবান এই পোর্সেলিনের বাটি ব্যবহার করা হতো। পোর্সেলিনের বাসনপত্রের গায়ে আঁকা থাকত রংবেরঙের ফুলের নকশা।

ঠিক ওই বাটিটিতে যেমন নকশা আঁকা রয়েছে। পোর্সেলিনের বাসনপত্রের বহুল চল ছিল চীনে। পরবর্তীকালে ইউরোপে পোর্সেলিনের বাসনপত্র রফতানি হতো চীন থেকে।

কিন্তু এ রকম দুর্মূল্য একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সুদূর চীন থেকে আমেরিকার কানেকটিকাটে কী ভাবে পৌঁছল তা ভেবেই আশ্চর্য হচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

কোন পথে কী ভাবে বাটিটি ওই ব্যক্তির হাতে পৌঁছল তা জানার চেষ্টা চলছে। ওই সময়ের আর কোনো দুর্মূল্য জিনিস বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে রয়েছে কি না তাও জানার চেষ্টা চলছে।

বাটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব জানার পর তা নিলাম করার মনস্থির করেছেন ওই ব্যক্তি। আগামী ১৭ মার্চ তা নিলামে উঠবে।

বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে যাচাই করে তিনি জেনেছেন এর দাম ৪ কোটি থেকে সাড়ে ৫ কোটি টাকার মধ্যে।

আড়াই হাজারে জিনিস কিনে রাতারাতি কোটিপতি হতে চলেছেন কানেকটিকাটের ওই ব্যক্তি।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

ডিনার ও সাপারের মধ্যে পার্থক্য কী
মিজানুর রহমান

বর্তমানে Dinner (ডিনার) ও Supper (সাপার)-এর অর্থ প্রায় একই। দিনের শেষ খাবার, মানে রাতের খাবার। Dinner শব্দটা মূলত ফর্মাল ওয়েতে বেশি ব্যবহৃত হয় এখন। ব্রিটিশ ইংলিশে কখনো কখনো শেষ বিকালের নাস্তাকেও supper বলা হয়।

রাতের খাবারকে দিনের প্রধান খাবার হিসেবে গণ্য করার রীতিটা তুলনামীলকভাবে অনেকটাই নতুন। দীর্ঘদিন ধরে দুপুরের খাবারকে দিনের প্রধান খাবার হিসেবে গণ্য করা হতো। তখন দিন শেষে যে হালকা খাবার খাওয়া হতো, তার নাম ছিল Supper.

ঐতিহাসিকভাবে দিনের প্রধান খাবারটিকে ডিনার (Dinner) বলা হতো। যেহেতু দুপুরের খাবারই ছিল দিনের প্রধান খাবার, তাই এটির নাম ছিল ডিনার আর রাতের হালকা খাবারটির নাম ছিল সাপার। কিন্তু আমরা এখন ডিনারকে লাঞ্চ (Lunch) হিসেবে জানি আর সাপারকে চিনি ডিনার হিসেবে!

অষ্টাদশ ও উনবিংশ শতাব্দীর ব্রিটিশ লেখকদের লেখা থেকেও ডিনার এবং সাপারের পার্থক্য স্পষ্ট।
It is somewhere about five or six o'clock in the afternoon, and a balmy fragrance of warm tea hovers in Cook's Court. It hovers about Snagsby's door. The hours are early there: dinner at half-past one and supper at half-past nine.
— Charles Dickens, Bleak House, 1853

চার্লস ডিকেন্সের এই লেখা থেকেও স্পষ্ট দুপুরের খাবারকে ডিনার বলা হতো, আর রাতের খাবারকে বলা হতো সাপার।

শুধু ব্রিটিশ না, মার্কিন লেখকদের লেখায়ও ডিনার ও সাপারের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য নিরুপণ করা ছিল।
Breakfast was our principal meal; midday dinner, except on Sundays, and supper were casual menus, often composed of leftovers from the morning. These breakfasts, served promptly at 5:30 A.M., were regular stomach swellers.
— Truman Capote, “The Thanksgiving Visitor,” 1967

এই লেখা থেকেও এটা স্পষ্ট যে মাত্র ৬০ বছর আগেও যুক্তরাষ্ট্রে দুপুরের খাবারকে ডিনার বলা হতো। আরো প্রচুর উদাহরণ দেয়া যায় চাইলে।

Supper শব্দটা এসেছেই প্রাচীন ফরাসি শব্দ souper থেকে, যার অর্থ ছিল বিকেলে পরিবেশন করা এমন খাবার, যা সারাদিন পরিবেশিত অন্যান্য খাবারের তুলনায় হালকা।

পানি তো নষ্ট হয় না, তাহলে পানির বোতলে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ লেখা থাকে কেন?
অপচনীয় পণ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ লেখাটা কিছুটা অযৌক্তিক। মাছ, মাংস বা দুগ্ধজাত পণ্যের গায়ে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ লেখাটা হয়তো ঠিক আছে। কিন্তু খাবার পানির বোতলে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ লেখাটাকে অনেকের কাছে ‘ননসেন্স’ মনে হতে পারে। H2O কী দীর্ঘদিন কিংবা আজীবন একইরকম থাকার কথা না?

উত্তর হচ্ছে- ‘হ্যাঁ’। কিন্তু এই মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখের সঙ্গে পানির কোনো সম্পর্ক নেই। ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি রাজ্য নতুন এক আইন জারি করে যার ফলে সেই রাজ্যে বিক্রিত প্রতিটি খাদ্যপণ্যে সর্বোচ্চ দুই বছর বা তার কম মোয়াদোত্তীর্ণ তারিখ লেখা থাকতে হবে। এই আইনের কারণে নিউ জার্সিতে বিক্রিত সব পানির বোতলের গায়ে দুই বছরের মেয়াদ লেখা থাকতো। এমনকি সেখান থেকে অন্যান্য রাজ্যগুলোতেও যেসব পানি রফতানি করা হতো, সেগুলোর গায়েও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ লেখা থাকতো। সেই থেকে ধীরে ধীরে এটি একটি রীতিতে পরিণত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কখনোই খাবার পানির জন্য নির্দিষ্ট কোনো মেয়াদোত্তীর্ণের সময়সীমা বেধে দেয়নি। নিউ জার্সিও এক পর্যায়ে এই আইন বাতিল করে। কিন্তু বহু বছর প্রচলিত থাকার ফলে এটি স্থায়ী রীতিতে পারিণত হয়। বোতলজাত কোম্পানিগুলোও এই রীতি মেনে বোতলের গায়ে এক্সপাইরেশন ডেট লেখা চালু করেছে।

‘এক্সপায়ার্ড’ পানি শরীরের জন্য ক্ষতিকর না, এটা যেমন ঠিক, তেমনি একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর এ পানি পান না করাই ভালো। পানির বোতলে যে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয় সেখানে পলিথিন টেরিপথালেট এবং হাই ডেনসিটি পলিথিন ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘদিন বোতলে থাকার কারণে তাই পানির স্বাদ কিছুটা নষ্ট হয়ে যায়।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us