ভালো ঘুমের জন্য যেসব কাজ করা উচিত
ভালো ঘুমের জন্য যেসব কাজ করা উচিত - ছবি সংগৃহীত
বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ, কিংবা মাঝ রাতে হঠাত ঘুম ভেঙে যত আবোলতাবোল চিন্তায় বাকি রাতের ঘুমের দফারফা। ব্যার্থ প্রেমের মন কেমন বা বয়সের চাপে দুশ্চিন্তা, যত কাণ্ড ওই রাতেই। এদিকে আবার সারা দিনের সব কাজ ঠিক ঠাক করতে ঘুমটাও জরুরি। তাই ঘুমের সমস্যা মেটাতে মাথায় রাখুন সাধারণ কয়েকটা দিক।
ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত এক ঘন্টা আগে রাতের খাওয়া সেরে ফেলুন। তারপর আপনার হাতের কাজগুলেো করুন, এতে খাবারও হজম হবে আর ঘুমের সমস্যাও মিটবে।
অঙ্ক পরীক্ষার আগের রাত থেকে অফিস প্রেজেন্টেশনের আগের রাত। জেগে থাকার একমাত্র মহৌষধ চা বা কফি। আসলে চা, কফি, সোডা এই ধরনের পানীয়ে রয়েছে ক্যাফিন যা ঘুম কমিয়ে দেয়, এবং শুধু তাই নয় মাত্র কয়েক কাপ চা বা কফি-তে ভর দিয়েই জেগে থাকা যায় কুড়ি ঘন্টা।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। এতে সারাদিনের মানসিক চাপ থেকে হালকা হবেন অনেকটা। ঘুমও আসবে সহজে।
ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত এক ঘন্টা আগে টিভি আর আপনার স্মার্ট ফোনটা সরিয়ে ফেলুন হাতের নাগালের বাইরে। এই ধরনের গ্যাজেট মানসিক চাপ তৈরি করে এবং ঘুমের সমস্যা বাড়ায়। বদলে যতক্ষণ না ঘুম আসছে যেকোনো ধরনের বই পড়তে পারেন। আসলে একটানা অনেক্ষণ বই পড়লে চোখ ক্লান্ত হয়ে যায়, ফলে ঘুম এসে যায় সহজেই।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমও কমে যায়, আসলে একটা বয়সের পর মানুষের মস্তিষ্কের খাটনি কমে যায়, সে ক্লান্তও কম হয়, ফলে ঘুমও কমে যায় খুব স্বাভাবিকভাবেই। আসলে আমাদের মস্তিষ্কে থাকা মেলাটনিনের স্তর কমে আসে এই সময়। এক্ষেত্রে মেলাটনিন সাপ্লিমেন্ট নেয়া যেতে পারে তবে অবশ্যই চিকিতসকদের পরামর্শ ছাড়া এধরনের ওষুধ খাবেন না।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ডায়াবেটিসের ভ্যাকসিন!
নুরে আলম সিদ্দিক
টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষ বিটা কোষ ধ্বংস হওয়ায় অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। এ কারণে দেখা দেয় ডায়াবেটিস। টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের রোগ নির্ণয়ের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভ্যাকসিন বিটা কোষকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে। ‘ল্যানসেট’ সমায়িকীতে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ইসরাইল, ইংল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও বুলগেরিয়ার নতুন ডায়াগনোসিস করা ২০০ রোগীকে ভ্যাকসিন দিয়ে দেখা গেছে বিটা কোষ ধ্বংস প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়ায় তারা ইনসুলিন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে ডায়ামিড ভ্যাকসিন। ইউরোপ ও আমেরিকায় এ ভ্যাকসিন নিয়ে তিন পর্যায়ের গবেষণার শেষ পর্যায়ে আছে। এর আগের দুটো পর্যায়ের গবেষণায় এর কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত ৬৪০ শিশুর ওপর শেষ ধাপের এ গবেষণা করা চলছে। গবেষণার প্রথম পর্যায়ে ৭টি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ শুরু করলেও তৃতীয় পর্যায় পর্যন্ত টিকে আছে ডায়ামিডই। এ ভ্যাকসিন দেয়ার ১৫ মাস পর্যন্ত ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ওপর নজর রাখা হবে। আর পরীক্ষার ফলাফল ভালো হলেই বাজারে আসবে এ ভ্যাকসিন। লাখ লাখ শিশু মুক্তি পাবে ডায়াবেটিসের অভিশাপ থেকে।