ইউরিক অ্যাসিড থেকে রক্ষা পাওয়ার সহজ উপায়

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Mar 11, 2021 05:43 pm
ইউরিক অ্যাসিড থেকে রক্ষা পাওয়ার সহজ উপায়

ইউরিক অ্যাসিড থেকে রক্ষা পাওয়ার সহজ উপায় - ছবি সংগৃহীত

 

রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া এক জটিল সমস্যা। এর পরিমাণ বেড়ে গেলে গাঁটে বাত, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি অকেজো হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।

সাধারণত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া কিছুক্ষেত্রে জিনগত সমস্যাও থাকে।

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থেকে বাঁচতে কী করবেন?

১) রান্নায় তেল মশলা কম দিন। এছাড়া বড় মাছ, রেড মিট, দুধ, বেকন, কলিজা, চিনি এড়িয়ে চলুন। ইউরিক এসিডের সমস্যা হলে সামুদ্রিক মাছও এড়িয়ে চলুন।

২) ফ্যাট ফ্রি দুধ খাওয়া শুরু করুন। এছাড়া পিনাট বাটার, ফল, শাকসবজি বেশি পরিমাণে খান। শস্যদানা, রুটি, আলু খেতে পারেন। এছাড়া দুধ ও চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি খাওয়ার অভ্যাস করুন।

৩) অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ থেকে দূরে থাকুন।

৪) নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এ জন্য হাঁটা বা সাঁতার বেছে নিতে পারেন। ওজন কোনোভাবেই বাড়তে দেবেন না। রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, হৃদরোগ থাকলে ইউরিক এসিড বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে সবসময় নিজের শরীরের প্রতি যত্নশীল হোন।

৫) বাজারে পাওয়া জুস, কোমল পানীয়, লসসি খাওয়া একদমই ঠিক নয়। এতে বিপাকে সমস্যা হয়।

৬) চায়ের বদলে কফি খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রতিদিন তিন থেকে চার কাপ কালো কফি খেলে শরীর ভালো থাকে। তবে এতে যাতে কিডনির সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৭) খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি রাখুন। নিয়মিত লেবু বা ভিটামিন সি-যুক্ত ফল খান। ভিটামিন সি ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ করে।

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

ডায়াবেটিসের ভ্যাকসিন!
নুরে আলম সিদ্দিক
টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষ বিটা কোষ ধ্বংস হওয়ায় অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। এ কারণে দেখা দেয় ডায়াবেটিস। টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের রোগ নির্ণয়ের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভ্যাকসিন বিটা কোষকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে। ‘ল্যানসেট’ সমায়িকীতে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ইসরাইল, ইংল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও বুলগেরিয়ার নতুন ডায়াগনোসিস করা ২০০ রোগীকে ভ্যাকসিন দিয়ে দেখা গেছে বিটা কোষ ধ্বংস প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়ায় তারা ইনসুলিন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।

এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে ডায়ামিড ভ্যাকসিন। ইউরোপ ও আমেরিকায় এ ভ্যাকসিন নিয়ে তিন পর্যায়ের গবেষণার শেষ পর্যায়ে আছে। এর আগের দুটো পর্যায়ের গবেষণায় এর কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত ৬৪০ শিশুর ওপর শেষ ধাপের এ গবেষণা করা চলছে। গবেষণার প্রথম পর্যায়ে ৭টি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ শুরু করলেও তৃতীয় পর্যায় পর্যন্ত টিকে আছে ডায়ামিডই। এ ভ্যাকসিন দেয়ার ১৫ মাস পর্যন্ত ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ওপর নজর রাখা হবে। আর পরীক্ষার ফলাফল ভালো হলেই বাজারে আসবে এ ভ্যাকসিন। লাখ লাখ শিশু মুক্তি পাবে ডায়াবেটিসের অভিশাপ থেকে।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us