আপনার হাতেই আছে হ্যাপি হরমোন

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Mar 10, 2021 03:48 pm
আপনার হাতেই আছে হ্যাপি হরমোন

আপনার হাতেই আছে হ্যাপি হরমোন - ছবি সংগৃহীত

 

হাসতে ভুলে গেছেন? টেনশন, চাপ আপনার হাসি শুষে নিয়েছে? মন খুলে হাসুন। যত পারেন হাসুন। প্রাণ খুলে হাসুন। যত হাসবেন, তত বাড়বে আয়ু। হার্ট থাকবে চাঙ্গা। এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল স্কুলের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, হাসলে আয়ু বাড়ে। হার্ট ভাল থাকে। ওজন কমায়। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হজম ভাল হয়। ভাল থাকে ফুসফুস। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়। ব্যথা কমায়। নরওয়ের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, যাঁদের সেন্স অফ হিউমার প্রখর, যাঁরা সবসময় আশাবাদী, তাঁরা বাকিদের থেকে ৫৫ শতাংশ বেশি বাঁচেন।দিনে ১৫ মিনিট হাসুন। ফলে, শরীরে হ্যাপি হরমোনের ক্ষরণ হয়। ডিপ্রেশন কমে। সম্পর্কের উন্নতি হয়। সম্পর্ক ভাল থাকে। মন খুলে হাসলে স্ট্রেস হরমোন কমে।

মনে রাখবেন সোরোটিন মস্তিষ্কে ভাল থাকার অনুভূতি প্রদান করে। একেই মূলত হ্যাপি হরমোন বলা হয়। সেরোটিন মানব আচরণের পরিবর্তনের জন্য দায়ি। এই হরমোন শুধু মস্তিষ্কই নয়, পুরো শরীরকেই নিয়ন্ত্রণে রাখে।

বাড়িতেই ওয়ার্ক আউট করুন।এরপর রৌদ্রস্নান করুন। সূর্যের আলো শরীরে সেরোটোনিন বাড়ায়। প্রতিদিন রোদে ৩০ মিনিট বসে থাকুন। স্ট্রেস ফ্রি হবে এই প্রক্রিয়ায়।

মনের মতো খাওয়া দাওয়া করুন। সুষম খাদ্য খান। বাদামি চাল, দুধের পনির, সাদা রুটি এবং আনারস আপানার শরীরে হ্যাপি হরমোনের ভাগ বাড়িয়ে দেবে।

মেডিটেশন করুন। ধ্যান করুন। কোনও শান্ত শব্দে একই ধাঁচের একটি মিউজিক (ইন্সট্রুমেন্টাল) চালিয়ে চোখ বুজে থাকুন ২০ মিনিট। সন্ধে নামার মুখে খোলা আকাশের নিচে বসে থাকুন চোখ বুজে।


লবণ তো খাচ্ছেন রোজ, জানেন কি তার বিষাক্ত গুণ?
লবণ প্রীতি বা নুন প্রেম। জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির অস্থি মজ্জায়। কিন্তু বাড়তি লবণ যে শরীরের পক্ষে কতটা ক্ষতিকারক তা আমরা অনেকেই জানি না। ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন বা হু-এর সাম্প্রতিক গবেষণা এই লবণ নিয়েই তুলে ধরেছে আশঙ্কার পরিসংখ্যান।

* সমীক্ষায় দেখা গেছে, গড়পড়তা বাঙালির পাতে থাকে প্রয়োজনের দ্বিগুণ নুন তৈরি হয় হৃদরোগের আশঙ্কা

* অকাল মৃত্যুরও কারণ হতে পারে বাড়তি লবণ খাওয়ার অভ্যাস

* ১৯ উর্ধ্ব উপমহাদেশের রোজ ১০.৯৮ গ্রাম লবণ খান

* হু-এর গাইডলাইন অনুযায়ী খাওয়া উচিত রোজ ৫ গ্রাম লবণ

* দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতেই লবণ খাওয়ার প্রবণতা বেশি

* রাজ্যের মধ্যে বাড়তি লবণ খাওয়ার শীর্ষে রয়েছে ত্রিপুরা

* দিনে ১৪ গ্রামেরও বেশি লবণ খান এ রাজ্যের বাসিন্দারা

খাদ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন,গত ৩০ বছরের খাদ্যাভ্যাসে আমূল পরিবর্তন এসেছে খাদ্যশষ্য, শাক সবজি,ফলমূলের পরিবর্তে খাদ্যতালিকায় জাঁকিয়ে বসেছে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্ট ফুড। এইসব খাবারে লবণের পরিমাণ থাকে অনেকটাই বেশি শর্করা ও ফ্যাটের পরিমাণও থাকে বিপদসীমার ওপরে।

বাসা বাঁধছে রোগ

জাঙ্ক ফুডে থাকে অতিরিক্ত লবণ, শর্করা, ক্ষতিকর ফ্যাট। আর এর থেকেই তৈরি হচ্ছে হাই ব্লাড প্রেসার, শরীরে জমা হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট, বাড়ছে হৃদরোগের আশঙ্কা। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই প্রতিবছর ২কোটি ৩০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় ভারতবর্ষে। ২০৩০ সালে হাই ব্লাড প্রেসারে ভোগা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২১কোটি ৩০ লাখ যার নেপথ্যে রয়েছে লবণের বিষাক্ত ভূমিকা। লবণ একটা সময় পর্যন্ত শরীরের পক্ষে ভালো। তবে বাড়তি লবণ খাওয়ার অভ্যাস প্রতিদিন একটু একটু করে এগিয়ে দিচ্ছে সর্বনাশের দিকে।

সূত্র : জি নিউজ


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us