কোন কোন উপসর্গে বুঝবেন গলব্লাডারে স্টোন

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Mar 10, 2021 01:34 pm
গলব্লাডারে স্টোন

গলব্লাডারে স্টোন - ছবি সংগৃহীত

 

আমাদের লিভারের পাশেই রয়েছে গলব্লাডার বা পিত্তথলি। পিত্তথলি থেকে নিঃসৃত পিত্তরস খাবার হজমে সাহায্য করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে, বিলিরুবিনের আধিক্য দেখা দিলে বা পিত্তরস জমে গিয়ে পিত্তথলিতে পাথর সৃষ্টি করতে পারে। পুরুষদের তুলনায় নারীরাই গলব্লাডারের সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন। সাধারণত পেটের ওপরের অংশে ডান দিকে তীব্র ব্যথা হওয়া, জ্বর বা বার বার বমি হলেই এগুলোকে গলব্লাডার স্টোন বা পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে মনে করা হয়। আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেয়া যাক...

গলব্লাডার স্টোন বা পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ :

১) পেটের ওপরের অংশে ডান দিকে তীব্র ব্যথা হওয়া এবং ওই ব্যথা ডান কাঁধে ছড়িয়ে পড়া।

২) কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে।

৩) জ্বরের সঙ্গে বমি বমি ভাব বা বমিও হতে পারে।

৪) চর্বিজাতিয় খাবার, অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার বা গোশত খেলেই পেটে ব্যথা হওয়া।

৫) জ্বরের সঙ্গে জন্ডিসের লক্ষণও প্রকাশ পেতে পারে।

এ সমস্ত লক্ষণ দেখলেই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। এই উপসর্গগুলোকে একেবারেই অবহেলা করবেন না। সামান্য সমস্যাতেও ইচ্ছে মতো গ্যাসের ওষুধ না খেয়ে কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


ফর্সা হওয়ার ক্রিম মাখার আগে সতর্ক হন, হতে পারে স্কিন ইনফেকশন
শ্যামবর্ণ? ফর্সা হওয়ার জন্য ফেয়ারনেস ক্রিম মাখেন? গায়ের রং আমুল বদলে ফেলতে ফেয়ারনেস ক্রিমের ওপর ভরসা করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহারের ফলে ত্বকে অনেক রকম ক্ষতি হতে পারে। ফেয়ারনেস ক্রিমে মেশানো হচ্ছে স্টেরয়েড। যার পোশাকি নাম কর্টিকো-স্টেরয়েড। আর এই স্টেরয়েড শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর। এরফলে নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

মুড়কির মতো বাজারে বিকোচ্ছে দেদার ফেয়ারনেস ক্রিম। সারা দেশে স্টেরয়েড-যুক্ত ফর্সা হওয়ার ক্রিমের ১৪০০ কোটি টাকার বাজার। তথ্য বলছে সাধারণ মানুষের ফর্সা হওয়ার আকাঙ্খায় প্রতি বছর দেশে ফেয়ারনেস ক্রিমের বাজার ১৬% হারে বাড়ছে। ফর্সা হওয়ার ক্রিমে বিপদ অনেক। যার নিট ফল মারাত্মক চর্মরোগ।

ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহারের ফলে হতে পারে

১) ‘রোসাসিয়া’ বা লাল বর্ণ ত্বক হয়ে যেতে পারে।


২) অনেক সময় স্থায়ীভাবে ত্বক খুব পাতলা হয়ে যায়। তখন ত্বকের নীচের রক্ত নালীগুলোও স্পষ্টভাবে দেখা যায়।

৩) হাইপো-পিগমেন্টেশন, অবাঞ্ছিত লোমের আধিক্যের মতো একাধিক লক্ষণ দেখা যায় ত্বকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বহু ফেয়ারনেস ক্রিমে থাকে ক্ষতিকর স্টেরয়েড। যা আমার-আপনার ত্বকের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। ফেয়ারনেস ক্রিমের মাসুল দিয়ে মুখে তৈরি হচ্ছে পোড়া দাগ। কেউ ভুগছেন ত্বকের জটিল অসুখে, কেউ গায়ে রোদ লাগলেই অসহ্য জ্বালায় অস্থির। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফর্সা হওয়ার ক্রিমে হরমোনের গোলমাল হয়ে মেয়েদের আচমকা দাড়ি-গোঁফ গজানোর মতো ঘটনাও বিরল নয়।

পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আলু-পটলের মতো ফর্সা হওয়ার ক্রিম বিক্রিতে রাশ টানার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশ, বিনা প্রেসক্রিপশনে স্টেরয়েড-যুক্ত ফেয়ারনেস ক্রিম আর কেনা যাবে না। স্টেরয়েড-যুক্ত মুখে গায়ে মাখার ক্রিমগুলিকে শিডিউল-H তালিকায় রাখা হয়েছে। শিডিউল-H তালিকায় থাকা ক্রিমের টিউবে-মোড়কে ৫ মিলিমিটার চওড়া লাল দাগ থাকবে। তাতে শিডিউলড ড্রাগ লেখা থাকবে।

সূত্র : জি নিউজ

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us