৯ বারের প্লাস্টিক সার্জারিতে ‘সুদর্শন’ সেই অপমানিত যুবক
৯ বারের প্লাস্টিক সার্জারিতে ‘সুদর্শন’ সেই অপমানিত যুবক - ছবি : সংগৃহীত
তবে, যে চাকরি পেতে নিজের উপর কুয়েনের এহেন পরীক্ষানিরীক্ষা, ওই চাকরিতে এখন মোহভঙ্গ ঘটেছে তার। বর্তমানে তিনি একজন মেক-আপ শিল্পী। জানা গেছে, ৯ বার প্লাস্টিক সার্জারিতে তার খরচ হয়েছে বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১৪ লাখ টাকা। তাতে অবশ্য মাথাব্যথা নেই। এখন নিজের চেহারা নিয়ে কুয়েন সন্তুষ্ট, গর্বিত। আর এই নতুন চেহারা নিয়ে গতানুগতিক অফিসে বসে চাকরি করা তার না-পসন্দ। তাই বেছে নিয়েছেন অন্য পেশা।
দেখতে খারাপ। হ্যান্ডসাম নয় মোটেও। চাকরির ইন্টারভিউ আসে। দিতে গিয়ে হাসির খোরাক হতে হয়। ফিরে আসেন বারবার। কাঁহাতক আর এই অপমান, গঞ্জনা বয়ে বেড়ানো যায়!
ভিয়েতনামের যুবক ডো কুয়েন ঠিক করলেন- যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়। এবার নিজেকে সুপুরুষ করে তুলতে হবে। নাক হবে টিকালো। চোখ হবে মায়াবি। ঠোঁটের কোনে সর্বদা লেগে থাকবে মৃদু হাসি। আপাদমস্তক বদলে যাবে মুখের গড়ন। কিন্তু কীভাবে? বছর ছাব্বিশের কুয়েন ছুটলেন চিকিৎসকদের কাছে। তাদের পরামর্শমতো প্লাস্টিক সার্জারি করালেন তিনি। একবার নয়, দু’বার নয়। পর পর ন’বার। শেষবার সার্জারির পর নিজে নিজেকেই চিনতে পারছিলেন না কুয়েন! সুঠাম-সুদর্শন পুরুষ বলতে যা বোঝায় তিনি এখন ঠিক তাই। সঙ্গে সঙ্গেই সার্জারির আগের ও পরের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে আনন্দের ভাগিদার করেছেন নেট-দুনিয়াকে। কুয়েনের তিনটি ছবি পাশাপাশি দেখে তাজ্জব নেটিজেনরাও। লাইক-কমেন্টের ছড়াছড়ি। অভিনন্দনের বন্যা চিকিৎসা বিজ্ঞানকে।
তবে, যে চাকরি পেতে নিজের উপর কুয়েনের এহেন পরীক্ষানিরীক্ষা, ওই চাকরিতে এখন মোহভঙ্গ ঘটেছে তার। বর্তমানে তিনি একজন মেক-আপ শিল্পী। জানা গেছে, ৯ বার প্লাস্টিক সার্জারিতে তার খরচ হয়েছে বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১৪ লাখ টাকা। তাতে অবশ্য মাথাব্যথা নেই। এখন নিজের চেহারা নিয়ে কুয়েন সন্তুষ্ট, গর্বিত। আর এই নতুন চেহারা নিয়ে গতানুগতিক অফিসে বসে চাকরি করা তার না-পসন্দ। তাই বেছে নিয়েছেন অন্য পেশা।
কুয়েনের চেহারা নিয়ে নেটিজেনদের কৌতূহলও কম নয়। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, শুধুমাত্র চাকরির ইন্টারভিউয়ে হাসির খোরাক হওয়ায় এত বড় সিদ্ধান্ত? ক্ষোভ উগরে দিয়ে কুয়েন জানিয়েছেন, কোনো এক সংস্থায় ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে তাকে অপমানিত হতে হয়েছিল। তিনি কেন এতটা সাধারণ দেখতে, তা নিয়ে সংস্থার কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন করেছিল। সেই থেকেই তার জেদ চেপে বসে। নিজেকে সুদর্শন করে তুলতে যা করার তাই করবেন। সঞ্চিত অর্থ দিয়েই তিনি প্লাস্টিক সার্জারি করানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।
এখন কেমন লাগছে? জবাবে কুয়েন বলছিলেন, ‘সার্জারির পর যখন প্রথম বাড়িতে ফিরি, তখন আমার বাবা-মা-ই আমাকে চিনতে পারেননি। তবে এটাও ঠিক, আমার এই পরিবর্তনের জন্য আমি কিছুটা কষ্ট পাই। আবার আনন্দও পাই।’ স্বাভাবিক চেহারা বদল নিয়ে কুয়েনের সমালোচনা করেছেন নেটিজেনদের অনেকেই। সমালোচনার উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘আপনার যে চেহারায় আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন, সেই চেহারাই তৈরি করা উচিত। আমার ক্ষেত্রেও তাই-ই হয়েছে। এখন আমি আয়নায় নিজেকে দেখলে মনটা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকে।’
সূত্র : র্ব্তমান