সৃষ্টিকূলে তাওহিদের সাক্ষ্য

মাওলানা লিয়াকত আলী | Mar 06, 2021 02:58 pm
সৃষ্টিকূলে তাওহিদের সাক্ষ্য

সৃষ্টিকূলে তাওহিদের সাক্ষ্য - ছবি সংগৃহীত

 

আল্লাহতায়ালাই যে সারা জগতের প্রতিপালক এবং এতে তিনি একক, তার সাথে কেউ শরিক নেই, সে ব্যাপারে অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। সৃষ্টি জগতের অণু-পরমাণু থেকে শুরু করে সর্ববৃহৎ কাঠামো পর্যন্ত সবকিছুই সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহতায়ালাই রাব্বুল আলামিন। সুতরাং তিনিই সারা জগতের প্রকৃত উপাস্য। এই সুশৃঙ্খল সুসংলগ্ন অনন্য সৃষ্টিজগৎ নিজের অবাচনিক ভাষায় সাক্ষ্য দেয়, তার একজন মহান স্রষ্টা রয়েছেন। আর তিনি হলেন আল্লাহ তায়ালা। সুস্থ বিবেকের পক্ষে এমনটি কল্পনা করা সম্ভব নয় যে, এই সৃষ্টিজগৎ অস্তিত্ব লাভ করেছে কোনো স্রষ্টা ছাড়াই এবং আবির্ভূত হয়েছে আপনা আপনি। এমন কল্পনা মেনে নেয়া যেকোনো সুস্থ বিবেকেরই পরিপন্থী। বস্তুত আল্লাহতায়ালাই যে সারা জগতের প্রতিপালক এবং এতে তার সাথে কোনো শরিক নেই, তা সব মানুষের কাছে একটি স্বতঃসিদ্ধ বিষয় এবং মানুষের সহজাত বিশ্বাসের অন্তর্গত। এমনকি পৌত্তলিক ও নিরীশ^রবাদীরাও একান্ত পরিবেশে তা স্বীকার করে। এ প্রসঙ্গে কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে-আপনি যদি তাদের প্রশ্ন করেন, আসমান ও পৃথিবী কে সৃষ্টি করেছেন? তারা অবশ্যই বলবে, এগুলো সৃষ্টি করেছেন পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ। (সূরা যুখরুফ, আয়াত ৯) আরো ইরশাদ হয়েছে- আপনি যদি তাদের প্রশ্ন করেন, কে তাদের সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে আল্লাহ। তাহলে তারা কোথা থেকে বিভ্রান্ত হয়? (সূরা যুখরুফ, আয়াত ৮৭)

মানুষের হৃদয়ের গহিনে যে বিশ্বাস স্থায়ী আসন গ্রহণ করে রেখেছে, অর্থাৎ আল্লাহতায়ালাই সারা জগতের প্রতিপালক ও স্রষ্টা, তা বারবার স্মরণ করে দিয়েছে কুরআন মাজিদ। ইরশাদ হয়েছে- তাদের রাসূলগণ বললেন, সেই আল্লাহর ব্যাপারে কি কোনো সন্দেহ আছে, যিনি আসমানগুলো ও পৃথিবীর স্রষ্টা? (সূরা ইবরাহিম, আয়াত ১০)
বস্তুত কেউ মুখে মহান স্রষ্টার অস্তিত্ব অস্বীকার করলেও সে মনে মনে ঠিকই আল্লাহর অস্তিত্বে দৃঢ়বিশ্বাস পোষণ করে। এ ধরনের অস্বীকারকারী অবিশ্বাসী ব্যক্তিদের ব্যাপারে ইরশাদ হয়েছে, তাদের অন্তর তাতে দৃঢ়বিশ্বাস করলেও তারা তা অস্বীকার করে অন্যায়ভাবে ও অহঙ্কারবশত। (সূরা নামল, আয়াত ১৪) অর্থাৎ স্রষ্টার অস্তিত্ব সম্পর্কে কিছু সংখ্যক মানুষের এই অস্বীকার নিছক অহঙ্কার ও বিদ্বেষবশত। মানুষের সহজাত প্রবৃত্তিতে ঠিকই স্রষ্টার অস্তিত্ব সম্পর্কে গভীর অনুভব রয়েছে।

এজন্য যখন মানুষের প্রবৃত্তি থেকে এই আবরণ সরে যায় এবং তার অহঙ্কার ও বিদ্বেষ দূর হয়, তখন সে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মহান স্রষ্টার শরণাপন্ন হয় এবং কায়মনোবাক্যে সেই সত্তার কাছে নিজেকে সমর্পণ করে। এ প্রসঙ্গে আরব বিশ্বের স্বনামখ্যাত মনীষী ড. আবদুল করীম জায়দান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে একটি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত মিত্র বাহিনীর এক বিমানসেনার সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যুদ্ধের দায়িত্বপালনকালে তার সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি এবং সেই সময়ে তার অনুভূতি সম্পর্কে। জবাবে সেই বৈমানিক বলেন, তিনি লালিত-পালিত হয়েছেন এমন একটি পরিবারে, যেখানে স্রষ্টার কথা কখনো উচ্চারিত হয়নি। তার পিতা ছিলেন নাস্তিক। নাস্তিকতার মধ্যেই ছেলেকে গড়ে তুলেছেন তিনি। তারপর তিনি যখন বিমানবাহিনীতে যোগ দিলেন, তখন সেখানে প্রশিক্ষণ দেয়া হলো এভাবে যে, আমাদের ইন্দ্রিয়ের বাইরে কোনো কিছুর অস্তিত্ব স্বীকার করা যাবে না। যুদ্ধের সময় তিনি একদিন তার জঙ্গিবিমান নিয়ে জার্মান বাহিনীর ওপর হামলা চালাতে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনি অনুভব করলেন, তার বিমানের ইঞ্জিনে ত্রুটি রয়েছে। বিমানটি যেকোনো মুহূর্তে পড়ে যাবে। অতএব তার মৃত্যু অবধারিত। কেননা তিনি যদি জরুরি অবতরণ না করেন, তাহলে বিমানটি বিধ্বস্ত হবে। আর জরুরি অবতরণ করলে ধরা পড়তে হবে শত্রুবাহিনী বা জার্মান বাহিনীর হাতে। ওই বিমানসেনা বলেন, এই মহাসঙ্কটের মুহূর্তে আমি পৃথিবীতে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু কিংবা স্ত্রী কারো কথাই চিন্তা করিনি। বরং আমি আমার তখনকার ৩০ বছরের জীবনে যার কথা কখনো কল্পনাও করিনি, সেই মহান স্রষ্টার প্রতি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করলাম এবং তার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করলাম। বিস্ময়করভাবে আমার বিমানের ইঞ্জিনটি চালু হয়ে গেল। আর আমি নিরাপদে আমার ঘাঁটিতে ফিরে গেলাম। এভাবে আমি নিশ্চিত মৃত্যু থেকে বেঁচে গেলাম।

ঘটনাটি অস্বীকার কোনো কারণ নেই। কেননা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এ ধরনের অসংখ্য ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করি। একজন মানুষ উদাসীনতার কারণে মহান স্রষ্টার কথা হয়তো চিন্তা করেন না। কিন্তু যখন সে কোনো বিপদে পড়ে এবং কোনো উপায় দেখতে না পায়, তখন সে এক অদ্বিতীয় স্রষ্টার কাছে নিজেকে সমর্পণ করে এবং তার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করে। একজন রুগ্ণ ব্যক্তি যখন নিজের বাসস্থানে একাকি বিছানায় শুয়ে থাকে বা হাসপাতালের বেডে চিকিৎসকের অপেক্ষায় থাকে, তখন তার অন্তরে কেবল একটি সত্তার কথাই ভেসে ওঠে। আর সেই সত্তা হলেন রাব্বুল আলামিন। যথার্থই ইরশাদ হয়েছে কুরআন মাজিদে : ঢেউ যখন তাদের আচ্ছন্ন করে চাদোয়ার মতো, তখন তারা আল্লাহকে ডাকে নিখাদ বিশ্বাসের সাথে। তারপর তিনি যখন স্থলভাগে এনে তাদের মুক্তি দেন, তখন তারা হয়ে যায় অংশীবাদী। ( সূরা লুকমান, আয়াত ৩২)

আল্লাহর অস্তিত্বের বিষয়টি স্বতঃসিদ্ধ বিষয়গুলোর একটি। স্বচ্ছতা ও স্পষ্টতার দিক দিয়ে এমন স্বতঃসিদ্ধ বিষয় দ্বিতীয়টি পাওয়া যাবে না। বরং আমরা বলতে পারি, মানুষের বিবেক যদি স্রষ্টার অস্তিত্ব স্বীকার না করে, তাহলে অন্য কিছুই স্বীকার করা যাবে না। মহান স্রষ্টার অস্তিত্বের ওপর যত সংখ্যক ও যত প্রকারের প্রমাণ ও সাক্ষ্য রয়েছে, এমনটি অন্য কোনো বিষয়ে পাওয়া যাবে না।

তাওহিদুর রবুবিয়্যাতের অনিবার্য দাবি তাওহিদুল উলুহিয়্যাত
অর্থাৎ যেহেতু আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র প্রতিপালক, অতএব ইবাদত কেবল তারই করা যায়। তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করা যায় না। এজন্য কুরআন মাজিদে মুশরিকদের বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে যে, আল্লাহ তায়ালাই তোমাদের একমাত্র প্রতিপালক। সুতরাং তোমরা কেবল তারই ইবাদত করবে, অন্য কারো নয়। যেমন ইরশাদ হয়েছে-তারা কি (আল্লাহর সাথে) এমন কিছুকে শরিক সাব্যস্ত করে যা কোনো কিছুই সৃষ্টি করে না, অথচ তাদের সৃষ্টি করা হয়? (সূরা আরাফ, আয়াত ১৯১)

যিনি সৃষ্টি করেন, তিনি কি তার মতো যে সৃষ্টি করে না? তবুও কি তোমরা বুঝ না? (সূরা নাম্ল, আয়াত ১৭)
হে মানুষেরা, একটি দৃষ্টান্ত দেয়া হলো। তোমরা তা শোন। তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদের ডাক, তারা একত্র হলেও কখনোই একটি মাছিও সৃষ্টি করতে পারবে না। আর তাদের থেকে যদি মাছি কোনো কিছু ছিনিয়ে নেয়, তাহলে তারা কখনোই তা থেকে তা উদ্ধার করতেও পারবে না। প্রার্থনাকারী ও প্রার্থিত উভয়েই দুর্বল। (সূরা হজ, আয়াত-৭৩)
এই আয়াতগুলোতে মুশরিকদের একটি সুস্পষ্ট সত্য স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। তা হলো- তারা আল্লাহ ব্যতীত যাদের উপাসনা করে, তারা একেবারেই অক্ষম, একটি মাছিও তারা সৃষ্টি করতে পারে না। আর মাছি যদি তাদের থেকে কোনো কিছু ছিনিয়ে নেয়, তাহলে তারা তা উদ্ধার করারও ক্ষমতা রাখে না। সুতরাং সুস্থবিবেক কি মেনে নিতে পারে আল্লাহ ব্যতীত কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর পূজা-অর্চনা করা কিংবা তাকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করা? কেননা আল্লাহই একমাত্র স্রষ্টা। তিনি ছাড়া সবাই অক্ষম ও দুর্বল।

কুরআনে মুশরিকদের সামনে যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে যে, তারা যা কিছুর উপাসনা করে, এগুলো আসমান-জমিনের একটি ধূলিকণারও মালিক নয়, আসমান-জমিনের একটি ধূলিকণায়ও তারা আল্লাহর শরিক নয়। তাদের এইসব অসার ও অলীক উপাস্যের কোনো প্রয়োজন নেই আল্লাহর। তিনি তাদের কোনো সহায়তাও চান না। সুতরাং তাদের উচিত একমাত্র আল্লাহরই ইবাদত করা। ইরশাদ হয়েছে- বলুন, তোমরা আল্লাহকে ছাড়া যাদের উপাসনা করো, তাদের ডাকো। তারা তো আসমানে কিংবা পৃথিবীতে একটি ধূলিকণারও মালিক নয় এবং এ দু’য়ের মধ্যে তাদের শরিকানাও নেই, তাদের কাছে তার কোনো সহায়কও নেই। (সূরা সাবা, আয়াত ২২)

মুশরিকরা যেসব সত্য বিশ্বাস করত, সেগুলোর কয়েকটি বারবার উল্লেখ করা হয়েছে কুরআন মাজিদে। যেমন- আল্লাহই আসমান জামনের মালিক ও একমাত্র নিয়ন্তা। তিনি আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় দেন। সুতরাং তাদের উচিত অন্য কারো নয়, বরং তারই উপাসনা করা। ইরশাদ হয়েছে- বলুন, পৃথিবী ও পৃথিবীতে যারা আছে, তারা কার? যদি তোমরা জানো, তবে বলো। এখন তারা বলবে : সবই আল্লাহর। বলুন, তবুও কি তোমরা চিন্তা করো না? বলুন : সপ্তাকাশ ও মহা-আরশের মালিক কে? এখন তারা বলবে : আল্লাহ। বলুন, তবুও কি তোমরা ভয় করবে না? বলুন : তোমাদের জানা থাকলে বলো, কার হাতে সব বস্তুর কর্তৃত্ব, যিনি রক্ষা করেন এবং যার কবল থেকে কেউ রক্ষা করতে পারে না? এখন তারা বলবে : আল্লাহর। বলুন : তাহলে কোথা থেকে তোমাদের জাদু করা হচ্ছে? কিছুই নয়, আমি তাদের কাছে সত্য পৌঁছিয়েছি, আর তারা তো মিথ্যাবাদী। (সূরা মুমিনুন, আয়াত ৮৪-৯০)

সৃষ্টিজগৎ, অণু-পরমাণু, উদ্ভিদ ও প্রযুক্তি নিয়ে যতই গবেষণা করা হচ্ছে এবং নিত্যনতুন আবিষ্কার ঘটছে, ততই তাওহিদের বিষয় প্রমাণিত হচ্ছে এবং বিশ্বাসীদের বিশ্বাস দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হচ্ছে। কেননা এসব আবিষ্কারের মাধ্যমে সৃষ্টিজগতের সূক্ষ্মরহস্য উন্মোচিত হচ্ছে। আর এসবের মাধ্যমে স্রষ্টার ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের ব্যাপ্তি ও বিস্তারের সীমাহীনতা স্পষ্ট হচ্ছে। যেকোনো উৎপাদনের সূক্ষ্মতা থেকে উৎপাদকের মহত্ব ও গুরুত্ব প্রকাশ পায়। তাই এই অনুপম সৃষ্টিজগতের সূক্ষ্ম অণ-পরমাণুই প্রমাণ করে, এসবের পেছনে রয়েছেন এক মহান সত্তা। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, এখন আমি তাদের আমার নিদর্শনাবলি প্রদর্শন করব পৃথিবীর দিগন্তে এবং তাদের নিজেদের মধ্যে; ফলে তাদের কাছে ফুটে উঠবে যে, এ কুরআন সত্য। আপনার পালনকর্তা সর্ববিষয়ে সাক্ষ্যদাতা, এটা কি যথেষ্ট নয়? (সূরা হামিম সিজদা, আয়াত ৫৩)

আরো ইরশাদ হয়েছে, বিশ্বাসীদের জন্য পৃথিবীতে নিদর্শনাবলি রয়েছে এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও, তোমরা কি অনুধাবন করবে না? (সূরা জারিয়াত, আয়াত ২০-২১)

ইসলামের সার নির্যাস বলা যেতে পারে তাওহিদে বিশ্বাস। গোটা কুরআন মাজিদের বিষয়বস্তু তাওহিদকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। কুরআনের আয়াতগুলোতে আছে আল্লাহর গুণাবলি, সৃষ্টি, কার্যকলাপ ও ব্যবস্থাপনার আলোচনা। আর আছে আদেশ-নিষেধ, যা সৃষ্টিজগতে তার প্রতিপালক ও সর্বনিয়ন্তা হওয়ার অনুষঙ্গ। অথবা বিভিন্ন ধরনের প্রতিদানের কথা, যা তার অনুগত বান্দাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে এবং মা’বুদ ও প্রতিপালক হিসেবে তার একত্বভিত্তিক শরিয়ত দিয়ে পাঠানো রাসূলগণের অনুসারীদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে। তেমনি রয়েছে তার বিধানলঙ্ঘনকারীদের বিভিন্ন ধরনের শাস্তির কথা। আরো রয়েছে অতীত যুগের অবিশ্বাসীদের পরিণতির কথা। এটা হচ্ছে তাওহিদের দাবি থেকে বেরিয়ে যাওয়া মানুষদের কথা। মোট কথা তাওহিদই ইসলামের সারনির্যাস ও ভিত্তি। এ থেকেই উৎসারিতে হয়েছে ইসলামের সব ব্যবস্থা, বিধান, আদেশ, নিষেধ ও কর্মপ্রণালী। ইসলামের সব ইবাদাত ও বিধান এই বিশ্বাসই বদ্ধমূল, জোরদার ও স্থাপিত করে মুমিনদের হৃদয়পটে।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us